Thank you for trying Sticky AMP!!

নোবেল ও মিমি দুজনই কেউ নাটক, বিজ্ঞাপনচিত্র আর চলচ্চিত্রে একত্রে কাজ করেননি

একই দিনে দুই শহরে জন্ম মিমি ও নোবেলের

‘পরিচয়ের পর থেকে এখন পর্যন্ত দুই বা তিনবার মিমিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে পেরেছি। এ ছাড়া সব সময় মিমিই আমাকে আগে ফোন করে শুভেচ্ছা জানাত। আমি অনেকবার প্ল্যান করেও তাঁর সঙ্গে পেরে উঠিনি।’ জন্মদিনের বিকেলে প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপে কথাগুলো বলছিলেন অভিনেতা ও মডেল আদিল হোসেন নোবেল।
গতকাল রোববার ছিল মডেল নোবেল ও অভিনেত্রী আফসানা মিমির জন্মদিন। ১৯৬৮ সালের ২০ ডিসেম্বর দুজনের জন্ম। নোবেলের জন্ম চট্টগ্রামের চন্দ্রঘোনা মিশনারি হাসপাতালে আর আফসানা মিমির ঢাকার হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে।

আদিল হোসেন নোবেল

একই অঙ্গনে দীর্ঘদিন কাজ করলেও পর্দায় একসঙ্গে তাঁদের দেখা যায়নি। নোবেল একটি মোবাইল ফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা। আর নির্মাতা আফসানা মিমি সম্প্রতি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন বিভাগের পরিচালক হিসেবে যোগ দিয়েছেন। বিনোদন অঙ্গনে কাজ করতে এসে নব্বইয়ের দশকে তাঁদের পরিচয়। তখন থেকেই বন্ধুত্ব, যা এখনো অটুট।

করোনাকালে জন্মদিন কেমন কাটল জানতে চাইলে মিমি জানালেন, সবাই অনেক ভালোবাসা, আদর, শুভেচ্ছা জানিয়েছে। কিন্তু করোনার প্রকোপে অনেক মানুষ স্বজন হারাচ্ছেন বলে খারাপ লাগছে। নোবেলের উত্তরও তেমনই ছিল। বললেন, ‘করোনার এই সময়ে মানুষ মনে করে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে, ফেসবুকে নানা কথা লিখছে, দোয়া করছে, এটাই তো বড় অর্জন।’

আফসানা মিমি

দুজনের কাছেই প্রশ্ন রাখা হয়, জীবনের সেরা জন্মদিন ছিল কোনটি। মিমি বলেন, ‘আমি তখন গ্র্যাজুয়েশন করছি। একদিন মা বললেন, “চলো একটা গিফট কিনব।” বেইলি রোডের একটা দোকান থেকে তাঁর কথামতো বাচ্চাদের একটা গিফট কেনা হলো। মা আমাকে হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে নিয়ে গেলেন। বললেন, “এখানেই তুমি জন্মেছ। আজ এখানে জন্মেছে, এ রকম একটা বাচ্চাকে তুমি এই গিফটটা দাও।” তারপর একটা বাচ্চাকে উপহারটা দিলাম। এটা আমার অভ্যাস হয়ে গেল। প্রতিবছর জন্মদিন এলে দিনের কোনো এক সময়ে হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে যাই। ওই দিন যে বাচ্চা জন্মে, তাঁকে উপহার দিয়ে আসি।’ যদিও করোনার কারণে এ বছর সেটা করা হয়নি।

নোবেলের সেরা জন্মদিন ৫০ বছর পূর্তির দিনটা। দিনটা কলকাতায় উদ্‌যাপনের উদ্যোগ নেন তাঁর স্ত্রী। কিন্তু ঘুণাক্ষরেও সেটা তাঁকে জানতে দেননি। পরিবার, আত্মীয় ও বন্ধুদের বেশ কয়েকজনকে সেখানে নেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন।

প্রথম আলোর আয়োজনে সানসিল্ক-নকশা বিয়ে উৎসবের মঞ্চে হাঁটছেন মডেল নোবেল, মিম ও নাবিলা

ভারতেরও কয়েকজন বন্ধুকে সেই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ করা হয়। নোবেল বললেন, ‘বিমানে ওঠার পর দেখি বিমানে বড় ভাই, ভাবি, আব্বা-আম্মা—সবাই। আমি তো বিস্মিত!’
তিন দশকের পরিচয়ে নোবেল ও মিমি দুজনই কেউ নাটক, বিজ্ঞাপনচিত্র আর চলচ্চিত্রে একত্রে কাজ করেননি। একবারই শুধু পর্দায় দেখা গিয়েছিল, সে–ও চ্যানেল আইয়ের তারকাকথন অনুষ্ঠানে। নোবেল প্রসঙ্গে মিমি বলেন, ‘যখন থেকে পর্দায় দেখেছি, তখন থেকে ভীষণ ভালো লাগত নোবেলকে। তবে বেশির ভাগ সময় নোবেলকে দেখেছি আরেক প্রিয় মানুষ, মৌয়ের সঙ্গে। এখন নোবেলকে আরও বেশি ভালো লাগে। নোবেলকে দেখে ভাবি, ইশ্‌, সে নিজের কত যত্ন করে। ওর থেকে আমাকে শিখতে হবে।’ মিমিকে নিয়ে নোবেল বলেন, ‘মিমিকে সব সময় সুইট একটা চরিত্র মনে হতো। মুখে সব সময় হাসি লেগে থাকে।’