চঞ্চল চৌধুরী ও তাসনিয়া ফারিণ
চঞ্চল চৌধুরী ও তাসনিয়া ফারিণ

ফারিণের ছবি এঁকে চঞ্চল শোনালেন তাঁর মনের কথা

অভিনয়শিল্পী চঞ্চল চৌধুরীর আরেকটি পরিচয় তিনি একজন চিত্রশিল্পী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের প্রাক্তন এই শিক্ষার্থীর ছবি আঁকার অভ্যাস বহুদিনের। তবে অভিনয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লে তাঁর তুলিতে রং মেশানো কিছুটা কমে যায়।

কয়েক বছর ধরে চঞ্চল চৌধুরী তাঁর কাছের মানুষ, শিল্পী-সহকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের মুখচ্ছবি আঁকছেন। মঙ্গলবার দুপুরে ফেসবুকে তিনি পোস্ট করেছেন এ প্রজন্মের অভিনয়শিল্পী তাসনিয়া ফারিণ ও নাট্যকার হাফিজ রেদুর দুটি স্কেচ। পোস্ট দেওয়ার পরই তাঁদের ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষীদের মধ্যে শুরু হয় উচ্ছ্বাস।

অভিনয়শিল্পী তাসনিয়া ফারিণ

চঞ্চল লিখেছেন, ‘ছবি এঁকে আমি পরম আনন্দ পাই...অনেক দিন পর আজ দুজনের মুখচ্ছবি আঁকলাম—জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ এবং মঞ্চ ও টেলিভিশন নাট্যকার হাফিজ রেদু। একটি চরিত্রে ভালো অভিনয় করতে পারলে যেমন মনটা আনন্দে ভরে ওঠে, ঠিক তেমনি একটি ভালো ছবি আঁকতেও আমার মন নেচে ওঠে। বেঁচে থাকার জন্য এই আনন্দের বিকল্প আমার কাছে নেই।’

নাট্যকার হাফিজ রেদু

ফেসবুক পোস্টের শেষে চঞ্চল আরও লিখেছেন, ‘আমাদের জীবনটা কখন থেমে যাবে, আমরা কেউ জানি না। তবে একটা ভালো কাজ মানুষকে মৃত্যুর পরও বহু বছর বাঁচিয়ে রাখতে পারে। প্রশ্নটা সেখানেই—আমরা কীভাবে বেঁচে থাকতে চাই? ঘৃণা ছড়িয়ে, নাকি ভালো কিছু সৃষ্টি করে?’ চঞ্চলের আঁকা সেই মুখচ্ছবি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে পোস্ট করে ফারিণ লিখেছেন, ‘এক ও অদ্বিতীয় চঞ্চল চৌধুরী।’

চঞ্চল চৌধুরী

চঞ্চল চৌধুরী ১৯৯২ সালে ঢাকায় আসেন এবং ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে। ছোটবেলা থেকেই তাঁর ছবি আঁকার প্রবল ঝোঁক ছিল। পাঠ্যবইয়ের আঁকা ছবিগুলো তাঁকে টানত। তিনি প্রথম আলোকে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘গ্রামের বিয়েবাড়িতে যখন লেখা, আঁকা বা আলপনার দরকার হতো, সেসবের দায়িত্ব আমিই নিতাম।’

চঞ্চলের প্রিয় চিত্রশিল্পীদের মধ্যে আছেন জয়নুল আবেদিন, কামরুল হাসান, পাবলো পিকাসো, লেওনার্দো দা ভিঞ্চি ও ক্লদ মনে। আর তাঁর শিক্ষক ছিলেন মোহাম্মদ কিবরিয়া, রফিকুন নবী (রনবী), আবদুস শাকুর শাহ, শেখ আফজালসহ অনেকে।
চঞ্চলের কাছে অভিনয় আর ছবি আঁকা—দুই-ই সৃষ্টির আনন্দ। তাঁর কথায়, ‘ভালো কাজই মানুষকে টিকিয়ে রাখে—সময়ে, সমাজে, স্মৃতিতে।’