
একবার মন্টু মিয়া আর তার এক বন্ধু মোটরসাইকেলে করে বাসায় ফিরছিল।
বন্ধুটি বেপরোয়া গতিতে বাইক চালাতে শুরু করতেই মন্টু মিয়ার অবস্থা খারাপ। চিৎকার করে বলল, ‘আরে দোস্ত, এত জোরে চালাচ্ছিস কেন?’
বন্ধু বলল, ‘দোস্ত, চুপ করে বসে থাক! বাইকের ব্রেক ছিঁড়ে গেছে, অ্যাকসিডেন্ট করার আগেই বাসায় পৌঁছাতে হবে।’
গাড়ির ভেতর একগাদা বুনো পশুপাখি দেখে ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি থামিয়ে চালককে বললেন, ‘গাড়িতে এত পশুপাখি কেন? এগুলোকে চিড়িয়াখানায় নিয়ে যান।’
চালক বললেন, ‘ঠিক আছে।’
কিন্তু পরদিন আবার একই কাণ্ড। একই ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি থামালেন, ‘গতকাল পশুপাখিগুলোকে চিড়িয়াখানায় নিয়ে যেতে বলেছিলাম। যাননি কেন?’
লোকটার জবাব, ‘কাল ওদের চিড়িয়াখানায় নিয়ে গিয়েছিলাম। আজ নিয়ে যাচ্ছি শিশুপার্কে।’
বাংলা স্যারকে যমের মতো ভয় পায় স্কুলের সবাই। সেই স্যার দিয়েছেন রচনা লিখতে।
ক্লাসে এসে স্যার বললেন, ‘“সাহসিকতা” বিষয়ে রচনা লিখে আনতে বলেছিলাম, এনেছ?’
ক্লাসের প্রায় সবাই বলল, ‘এনেছি, স্যার।’
বল্টুই কেবল আমতা–আমতা করছিল।
স্যার জিজ্ঞেস করলেন, ‘সমস্যা কী?’
বল্টু বলল, ‘আমিও এনেছি, স্যার। কিন্তু আপনাকে দেখাতে সাহস পাচ্ছি না!’
মাতাল হিসেবে বদি মিয়ার ভীষণ বদনাম।
প্রতিদিনের মতো গভীর রাতে ফিরেছেন বাসায়।
দরজা খুলে দিয়েছে তার ছেলে।
বদি মিয়া জিজ্ঞেস করলেন, ‘বল্টু, তোর কি ধারণা, আমি খুব খারাপ বাবা?’
ছেলে বলল, ‘বাবা, আমার নাম ঝন্টু!’