সবকিছুতে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগলেও সূত্রগুলো অবহেলা আর ধুলায় মাখামাখি হয়ে একাকার। আজকের এই আধুনিকতায় সেবেলার সূত্র এবেলায় কেমন কাজে দেয় তা-ই দেখা যাক।

কিছু ভাঙার শব্দে ঘুম ভাঙল। কিন্তু তারপর আর কোনো প্রতিউত্তর এল না। ঘটনাটা বোঝার জন্য ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি, মায়ের হাত থেকে প্লেট পড়ে ভেঙে গেছে। চট করেই মাথায় এল নিউটন তো বলেছিলেন, প্রতিটা ক্রিয়ারই একটা সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে। প্লেট অন্য কারও হাত থেকে পড়লে সেখানে মায়ের পক্ষ থেকে উপহারস্বরূপ প্রতিক্রিয়া আসত। অথচ মায়ের বেলায় প্রতিক্রিয়া আসছে না। নিউটনের সেবেলার সূত্র এবেলায় ‘শর্ত প্রযোজ্য’ হয়ে গেল!
শক্তির নাকি সৃষ্টি এবং ধ্বংস নেই। শুনে তো মহাখুশি আমি। খুশি হওয়ার উপযুক্ত কারণ ছিল। ক্লাস ক্যাপ্টেন ছিলাম যে আমি! যার সঙ্গে একটু শত্রুতা ছিল তাকেই স্যারের হাতে মার খাওয়াতাম।
তারপর বছর ঘুরল। কিসের সূত্র কিসের কী, এক দিনেই সব শক্তি হাওয়া। নতুন ক্লাস ক্যাপ্টেনের সে কী হম্বিতম্বি! সে কী শক্তি! সেবেলায় নিউটন সাহেব এমন অবস্থায় পড়লে দেখা যেত এমন সূত্র কীভাবে বের হয়!
বয়স যখন একটু বাড়ল, বিজ্ঞানের জ্ঞানও বাড়ল আরেকটু। শিখলাম, ঘর্ষণ বলের প্রভাবে বস্তুর গতি কমতে থাকে। সাহস নিয়ে ভালো লাগার মানুষটার সঙ্গে পিচঢালা রাস্তায় হাঁটতে শুরু করলাম।
কিন্তু কিসের কী, ঘর্ষণ বলের প্রভাবে গতি কমল না। উল্টো তার প্রেমে হুমড়ি খেয়ে পড়লাম। সেবেলায় হয়তো ভালোবাসা নামক কোনোকিছুই ছিল না!