
কোকেনজাতীয় মাদক সেবন করলে মস্তিষ্কের ওপর যে রকম প্রভাব পড়ে, দীর্ঘদিন নিয়মিত বেশি চিনি খাওয়ার ফলেও একই ধরনের প্রতিক্রিয়া হতে পারে। তাই চিনির প্রতি মানুষের আসক্তির বিষয়টিকে মাদকাসক্তির ‘সমতুল্য’ বিবেচনা করার পরামর্শ দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার একদল বিজ্ঞানী।
কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির ওই গবেষকেরা বলেন, অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার ফলে মস্তিষ্কে উদ্দীপনার মাত্রা বেড়ে যায়। বিভিন্ন মাদকদ্রব্য সেবন করলেও মস্তিষ্কে একই রকম পরিবর্তন হয়।
ওই গবেষকেরা পৃথক এক গবেষণায় দেখতে পান, দীর্ঘ মেয়াদে সুক্রোজ গ্রহণের প্রভাবে খাওয়াদাওয়ায় বিশৃঙ্খলা তৈরি হতে পারে। এতে বদলে যেতে পারে মানুষের আচরণও।
কুইন্সল্যান্ডের ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব হেলথ অ্যান্ড বায়োমেডিকেল ইনোভেশনের স্নায়ুবিজ্ঞানী অধ্যাপক সেলেনা বারলেট বলেন, নিকোটিনের আসক্তি দূর করতে যেসব ওষুধ প্রয়োগ করা হয়, সেগুলোই চিনির প্রতি আসক্তি দূর করার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
বারলেট আরও বলেন, অতিরিক্ত চিনি খেলে শরীরের ওজন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সরাসরি প্রভাব পড়ে। তা ছাড়া চিনি মানুষের মস্তিষ্কের ‘আনন্দকেন্দ্রে’ ঠিক সেই রকম উদ্দীপনা জোগায়, যেমনটা তামাক, কোকেন ও মরফিনের মতো মাদকদ্রব্যগুলো করে থাকে। চিনিজাতীয় খাবার পরিণত বয়সে মানুষের স্নায়ুতন্ত্র ও মনোজগতেও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।