Thank you for trying Sticky AMP!!

পানি কখন কতটুকু খাবেন

পর্যাপ্ত পানি পানের যেমন সুফল আছে তেমনি অপর্যাপ্ত পানি পানের কারণে পড়তে হয় নানা সমস্যায়।

আমাদের শরীরে প্রায় তিন ভাগের দুই ভাগই পানি। সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে তাই পানি পানের বিকল্প নেই। কিন্তু কতটুকু পানি পান করব সারা দিনে? কখন বেশি আর কখন কম পানি পান করা উচিত? পর্যাপ্ত পানি পানের যেমন সুফল আছে, তেমনি অপর্যাপ্ত পানি পানের কারণে পড়তে হয় নানা সমস্যায়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এ বি এম আবদুল্লাহ জানিয়েছেন পানি পানের নানা টুকিটাকি।

দিনে কতটুকু পানি পান করবেন
প্রাপ্তবয়স্ক ও কর্মক্ষম নারী-পুরুষের প্রতিদিন দুই থেকে তিন লিটার পানি পান করা প্রয়োজন। তবে দিনে কতটুকু পানি পান করতে হবে, তা নির্ভর করে মূলত আবহাওয়া ও শারীরিক শ্রমের ওপর। শীতকালের চেয়ে গরমকালে শরীরে পানির চাহিদা বেড়ে যায় আবহাওয়ার কারণেই। আর যাঁরা কায়িক পরিশ্রম বেশি করেন, তাঁদের বেশি পানি পান করতে হবে। যারা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি ঘামেন, তাঁদের জন্য একটু বেশি পানি পান করা জরুরি। অনেকে মনে করেন সকালে খালি পেটে অনেক পানি পান করা ভালো। এর সুনির্দিষ্ট বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই। তবে কিছু শারীরিক সমস্যায় এই অভ্যাসে উপকার পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু সাধারণভাবে যখনই পানির তৃষ্ণা তৈরি হবে, তখনই পানি পান করে শরীরের ঘাটতি মেটানো উচিত।

পর্যাপ্ত পানি পানের সুফল
পর্যাপ্ত পানি পানে কিডনি, যকৃৎ, হৃৎপিণ্ড ও মস্তিষ্ক ভালো থাকে। শরীরে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে। পানি শরীরের ভেতরের কোষগুলোকে সবল ও স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে। পানি পানের ঘাটতি দেখা দিলে এই কোষগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে অবশ্যই বিশুদ্ধ পানি পানের বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। কেননা পান করার পানি বিশুদ্ধ না হলে ডায়রিয়া, কলেরা ও টাইফয়েডের মতো পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। কমপক্ষে আধঘণ্টা ভালো করে ফুটিয়ে তারপর ঠান্ডা করার মধ্য দিয়ে পানি জীবাণুমুক্ত হতে পারে। অথবা সঠিক পদ্ধতিতে ফিল্টার করেও পানি পান করা যেতে পারে। এ ছাড়া বাজার থেকে বোতলজাত পানি কেনার ক্ষেত্রেও সেগুলো দেখে শুনে কেনা উচিত।

অপর্যাপ্ত পানি পানের সমস্যা
পর্যাপ্ত পানি পান না করলে মানবদেহে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়। পানির ঘাটতি থেকে রক্তচাপ কমে যেতে পারে। এ থেকে শরীরে রক্ত চলাচল কমে আসা এবং কিডনি অকেজো হয়ে পড়ারও আশঙ্কা থাকে।

নারীদের মধ্যে অনেকে অনেক সময় প্রয়োজনের তুলনায় কম পানি পান করেন। বিশেষত যাদের নানা কাজে বাইরে বেরোতে হয় তাঁদের মধ্যে এই প্রবণতা বেশি। এর প্রধান কারণ আমাদের শহর-নগরে পর্যাপ্ত ও ভালো পাবলিক টয়লেটের ব্যবস্থা না থাকা। আর পানি কম পান করায় তাদের ইউরিন ইনফেকশন এবং কিডনির জটিলতা বৃদ্ধি পায়। তাই দিনের বেলায় এই পানির ঘাটতি মেটাতে ঘরে ফিরে বেশি করে পানি পান করা উচিত।

আরও পড়ুন: