একটা সময়ে জিনস মানেই ছিল অনেক মোটা কাপড় আর শীতের সময়ে আরামদায়ক, এমন। কিন্তু এখন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে গেছে জিনস। যেহেতু তরুণ-তরুণীরা দিনের অনেকটা সময় বাইরে থাকে, তাই তাদের আরামের কথা ভেবেই এখন জিনসের প্যান্ট তৈরি করা হয়। ফ্যাশন হাউস ওটুর ডিজাইনার আসিফ হোসেন বলেন, ‘এখন জিনসের প্যান্ট অনেক পাতলা ও নরম কাপড়ের হওয়ায় এর জনপ্রিয়তা বেড়েছে অনেক। রং ও সুতার ব্যবহারে এখন মাথায় রাখা হয় ঋতু। তাই শীত-গ্রীষ্ম সব সময়ই জিনস আরামদায়ক।’যেমন চলছে ‘এ সময়ের ট্রেন্ড মূলত হালকা কাপড়ের জিনস। ন্যারো কাটের প্যান্টগুলো বেশি চলছে। কেউ কেউ আবার স্কিন ফিটিং নিচ্ছে। যাঁদের বয়স ত্রিশের ওপরে, এমন লোকেরা স্লিম ফিট পছন্দ করছেন বেশি,’ বলেন অ্যালফোসির ডিজাইনার আফতাব আহমেদ। ঢাকার এলিফ্যান্ট রোড ও নিউমার্কেটের জিনসের প্যান্ট বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্যান্টের দুই পাশে মোটা সেলাই অনেকে পছন্দ করেন। কেউ কেউ আবার বিশেষ নজর রাখেন পকেটের স্টাইলের দিকে। জিপারের চেয়ে বেশি চলছে স্টিলের অথবা প্লাস্টিকের বোতাম দেওয়া প্যান্টগুলো। অনেকে প্যান্ট কিনে দোকান থেকে ইচ্ছামতো কাটিয়েও নিচ্ছে। রঙের মধ্যে এখন চলছে কালো, নীল ও খাকি।কাপড় ও রং ‘জিনস তৈরিতে আমরা শতভাগ সুতি কাপড় ব্যবহার করি,’ বলেন ডিজাইনার আসিফ হোসেন। জিনসের প্যান্ট তৈরিতে যেহেতু রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহূত হয়, তাই এদিকে ক্রেতাদের নজর রাখতে বলেন বিক্রেতারা। জিনসের কাপড়ে কেমিক্যাল ওয়াশ করা হয়, তাই ভালো কেমিক্যাল ব্যবহার করা না হলে ক্রেতাদের অ্যালার্জিসহ নানা সমস্যা হতে পারে। কাপড় নরম করতে নাইলন বা পলিয়েস্টার সুতা ব্যবহার করা হয়। সুতার রঙে বেশি ব্যবহূত হয় হলুদ, সোনালি, কালো আর নীল।যেখানে কিনবেনদেশের প্রায় সব শহরেই কিনতে পারেন জিনসের প্যান্ট। এ ছাড়া ঢাকার মধ্যে যেতে পারেন ওটু, প্লাস পয়েন্ট, অ্যালফোসি, ক্যাটস আই, আর্টিস্টি, ফ্রিল্যান্ড, ফ্যাশন প্যারাডাইস, বিগ বস, লা রিভ, জিনস গ্যালারি ইত্যাদি দোকানে। এ ছাড়া নিউমার্কেট, এলিফ্যান্ট রোড, বঙ্গবাজার, গুলিস্তান, বসুন্ধরা সিটি, মিরপুর, গ্লোব শপিং সেন্টার, পিংক সিটি ও প্লাজা এ আর থেকে কিনে নিতে পারেন আপনার পছন্দের জিনস।