
একুশের প্রথম কবিতার রচয়িতা কবি মাহবুব উল আলম চৌধুরী চট্টগ্রামে ভাষা আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। কেবল তা-ই নয়, বায়ান্নর একুশে ফেব্রুয়ারি স্মরণে তাঁর রচিত কবিতাটি হয়ে উঠেছিল প্রতিবাদের অস্ত্র। ১২ নভেম্বর মাহবুব উল আলম চৌধুরীর ৯০তম জন্মোৎসব উপলক্ষে উচ্চারক আবৃত্তি কুঞ্জ আয়োজিত স্মরণ অনুষ্ঠানে আলোচকেরা এ কথা বলেন।
নগরের থিয়েটার ইনস্টিটিউট চট্টগ্রাম (টিআইসি) মিলনায়তনে ‘সূর্যাস্তের রক্তরাগ’ শিরোনামে এই অনুষ্ঠানে ছিল কথামালা, একক ও বৃন্দ আবৃত্তি। আয়োজনের শুরুতে আবৃত্তিশিল্পী ফারুক তাহেরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অনুপম সেন।
অনুপম সেন বলেন, কবি মাহবুব উল আলম চৌধুরী ছিলেন প্রগতিবাদী কবি। বাঙালির সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য তিনি সংগ্রাম করেছেন। অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ উন্নয়ন করপোরেশনের পরিচালক ফোরকান আহমদ। কথামালার পর মৌসুমী চক্রবর্তী ও এ এস এম এরফানের সঞ্চালনায় মাহবুব উল আলম চৌধুরীকে নিবেদন করে কবিতা পাঠ করেন কবি সাথী দাশ, আনন্দ মোহন রক্ষিত ও কামরুল হাসান বাদল। এরপর কবির কর্ম ও জীবন নিয়ে নির্মিত তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। তথ্যচিত্র প্রদর্শনের পর কবির কবিতা থেকে আবৃত্তি করেন আমন্ত্রিত আবৃত্তিশিল্পী অঞ্চল চৌধুরী, মিলি চৌধুরী, হাসান জাহাঙ্গীর, মছরুর হোসেন, শারমিন মৃত্তিকা, রিয়াজুল কবির, আসাদ উল্লাহ, সেলিম ভূঁইয়া, ভান্ডারী আরিফ ও ফারজানা ইসলাম। কবিপত্নী জওশন আরা রহমানের পাঠানো শুভেচ্ছা বক্তব্য পাঠ করেন কবির নাতনি তাসরিন চৌধুরী।
এরপর আবৃত্তি করেন উচ্চারক আবৃত্তি কুঞ্জের শিল্পীরা। ভালো লেগেছে সাজ্জাদ তপু, এ এস এম এরফান, শাহ হোসাইনের কবিতা আবৃত্তি। তাঁরা ছাড়াও আবৃত্তি করেন শামীমা ইয়াছমিন, মাশরুরা শারমিন, মন্দিরা বিশ্বাস, এ্যানি চৌধুরী ও তারানা কবির। সব শেষে সমবেত কণ্ঠে ‘কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি’ পাঠ করেন উচ্চারকের শিল্পীরা।