শেহতাজ-প্রীতম দম্পতির প্রথম ঈদ হবে নিজেদের বাড়িতে
বিয়ের পর শেহতাজ মনিরা হাশেম-প্রীতম হাসান দম্পতির প্রথম ঈদ। এই ঈদেই তাঁরা একসঙ্গে নতুন বাসায় উঠতে যাচ্ছেন। সঙ্গে থাকছে ঈদ নিয়ে আরও আয়োজন
বিয়ের পর প্রথম ঈদ। উদ্যাপনটা তাই একটু বিশেষ হবে, এটাই স্বাভাবিক। অন্য একটা কারণে শেহতাজ মনিরা হাশেম-প্রীতম হাসান দম্পতির কাছে এই ঈদ আরও বেশি বিশেষ। এই ঈদেই তাঁরা একসঙ্গে নতুন বাসায় উঠতে যাচ্ছেন। ‘এত দিন আমি ছিলাম শ্যামলীতে, মায়ের বাসায়,’ বলছিলেন শেহতাজ। আর প্রীতম থাকতেন তাঁর বাসায়। ঈদের মধ্যেই লেকসিটি কনকর্ডে নিজেদের বাসায় উঠবেন তাঁরা। এই নিয়েই এখন চলছে তোড়জোড়। এবারের ঈদের বেশির ভাগ আয়োজনই তাই বাসা সাজানোকে ঘিরে থাকবে বলে জানালেন এই দম্পতি।
এ জন্য ঈদে এখন পর্যন্ত কেনাকাটায় খুব একটা সময় দিতে পারেননি। ‘কিছুদিন আগেই ব্যাংকক বেড়াতে গিয়েছিলাম, সেখান থেকেই প্রচুর শপিং করেছি। হয়তো সেগুলো দিয়েই ঈদ উদ্যাপন হবে,’ বলছিলেন প্রীতম হাসান। সঙ্গে সঙ্গে শেহতাজ যোগ করলেন, ‘আবার এমনও দেখা যাবে যে দুজনই হয়তো শেষ মুহূর্তে কেনাকাটা করতে বের হয়েছি। আসলে কোনো উৎসবেই আমাদের পরিকল্পনা করে কিছু হয় না। শেষ মুহূর্তে সবকিছু করে থাকি আমরা।’
সাধারণত ঈদে গজ কাপড় কিনে পোশাক বানাতে ভালোবাসেন শেহতাজ। চাঁদনী চক ও পিংক সিটি থেকে গজ কাপড় কিনে থাকেন। প্রীতম জানালেন, বসুন্ধরা সিটি শপিং মল ও যমুনা ফিউচার পার্ক থেকে সাধারণত কেনাকাটা করেন তিনি।
ওয়েস্টার্ন আউটফিটেই তাঁদের বেশি দেখা যায়। তবে ঈদের দিন একটু ট্র্যাডিশনাল পোশাক পরতে ভালোবাসেন। বিশেষ কোনো ব্র্যান্ডের প্রতি ফ্যাসিনেশন নেই শেহতাজের। যখন যেটা দেখে ভালো লাগে সেটা কিনে থাকেন। অনলাইন থেকেও কেনাকাটা করেন প্রচুর। এ ছাড়া ঈদের সময় অনেক উপহার পেয়ে থাকেন। ঈদে সেখান থেকেই যেকোনো একটা পোশাক পরে নেন।
ঈদের দিন সকালে হালকা রঙের পোশাক পরতে পছন্দ করেন শেহতাজ। পোশাকের রঙের ক্ষেত্রে বেবি পিংক টোন বিশেষ পছন্দ। ভালোবাসেন কুর্তি পরতে। এ জন্য ঈদে হালকা কাজের কুর্তি বেছে নেবেন। দুপুরের দিকে দাওয়াতে গেলে একটু গর্জিয়াস কামিজ পরবেন। রাতেও এমন পোশাক পরার পরিকল্পনা আছে। তবে প্রীতমের ঈদের পোশাক নিয়ে কী পরিকল্পনা, সে তথ্য এখনো যাওয়া যায়নি। বেশ মজা করে শেহতাজ বলছিলেন, ‘থ্রি–কোয়ার্টার প্যান্ট ও টি–শার্ট পরেই ঘুরে বেড়াতে ভালোবাসে ও। এ ধরনের পোশাক কিনে দিলেই ও বেশি খুশি হয়।’
রান্নার প্রতি বিশেষ আগ্রহ আছে শেহতাজের। সবজি আর ওটস দিয়ে নানা মজার রান্না করতে পারেন। শেহতাজের হাতের এসব রান্না খেতে প্রীতম ভালোবাসেন। ‘কাজের কারণে সব সময়ই ভারী খাবার খাওয়া হয়। যে কারণে ঈদের দিন খাবারদাবার খাওয়ার প্রতি খুব একটা আগ্রহ থাকে না,’ বলছিলেন প্রীতম।
‘আসলে আমরা দুজনই কাজ নিয়ে এতটা ব্যস্ত থাকি যে একসঙ্গে সময় কাটানোর খুব একটা সুযোগ হয় না। আর তাই ঈদের এই ছুটিতে কেনাকাটা, খাওয়াদাওয়ার চেয়েও একসঙ্গে সময় কাটানোটাই আমাকে বেশি আনন্দ দেবে,’ এমনটাই বলছিলেন প্রীতম।
Also Read: ঈদের দিন ঐশী সাজবেন স্নিগ্ধ সাজে