
বেশ কয়েক বছর ধরে বিশ্বখ্যাত মার্কিন সংবাদপত্র নিউইয়র্ক টাইমস–এর অনলাইন সংস্করণে সুস্থতা বিষয়ে লেখালেখি করছেন জ্যানসি ডুন বশ। এ জন্য তিনি যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানসিক বিশেষজ্ঞ ও মনোবিদ ও মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক পরামর্শদাতাদের সঙ্গে কথা বলে সুখী হওয়ার সেরা পাঁচ উপায় বাতলে দিয়েছেন।
চাইলে সুখ খুঁজে পাওয়া সম্ভব। আর এই সুখ আপনি ক্যারিয়ার, সফলতা বা অর্থসম্পদের মধ্যে খুঁজে পাবেন না। বরং আপনাকে সুখী করতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে আপনার আপনজনদের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক। আপনার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানুষটি কে? সেই মানুষের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক কেমন? মূলত এই প্রশ্নের উত্তরের ভেতরেই লুকিয়ে আছে আপনি কতটা সুখী, তার উত্তর। বন্ধুত্ব, সামাজিক বলয়, নতুন সম্পর্কও মানুষকে সুখী করে।
প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে মনে করুন, দিনের কোন কোন বিষয়ের জন্য আপনি কৃতজ্ঞ। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন। ছোট ছোট ইতিবাচকতাগুলো টুকে রাখুন। দিনের, সপ্তাহের, মাসের, বছরের ইতিবাচক ঘটনাগুলো লিখে রাখুন। সেসবের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন। এই চর্চা আপনাকে সুখী হতে সাহায্য করবে। ধন্যবাদ জানাতে ভুলবেন না। মনে রাখবেন, ছোট্ট একটা ‘ধন্যবাদ’–এর অসীম ক্ষমতা!
সুখী হওয়ার জন্য শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবনের কোনো বিকল্প নেই। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যান। নির্দিষ্ট সময়ে উঠুন। দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক, ষান্মাসিক, বার্ষিক লক্ষ্য পূরণ করুন। নিশ্চিত করুন, প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার যেন উদ্দেশ্য থাকে।
প্রতিদিন এমন কিছু করুন, যা আপনি ভালোবাসেন, যা আপনাকে সুখী করে। বই পড়া, মানুষের সঙ্গে গল্প করা, গাছের যত্ন নেওয়া, ঘুরে বেড়ানো, হাঁটা, ব্যায়াম করা, রান্না করা, ছবি আঁকা, সৃজনশীল কাজ করা, নতুন কোনো ভাষা শেখা, যেকোনো কোর্স করা, নতুন কিছু শেখা, প্রকৃতি, পোষা প্রাণী বা শিশুদের সঙ্গে সময় কাটানো—হতে পারে যেকোনো কিছুই।
প্রতিদিন অন্যের জন্য কিছু করুন। সহনশীল হোন, ক্ষমা করুন। হুট করে প্রতিক্রিয়া না জানিয়ে বরং নিজেকে সংযত করুন। ইতিবাচক কথা বলা, চিন্তা করার চর্চা করুন। নিজের প্রতি, অন্যের প্রতি, যেকোনো প্রাণ ও প্রকৃতির প্রতি যতটা সম্ভব দয়ালু আচরণ করুন।
সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস