Thank you for trying Sticky AMP!!

যেখানে যেমন পোশাক দরকার, সেটাই পরতে চেষ্টা করেন ফুটবলার জামাল ভূঁইয়া

ফুটবলার জামাল ভূঁইয়া কী খান, ফিটনেস ঠিক রাখতে কী করেন

সাদামাটা পোশাকে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। নিজের পছন্দের পোশাকের ব্যাপারে এই মিডফিল্ডার বলছিলেন, ‘সাধারণত আমি ট্র্যাকসুট পরি। তবে দেশের বাইরে গেলে পশ্চিমা কাপড়চোপড় পরতে পছন্দ করি।’ জামালের জন্ম এবং বেড়ে ওঠা ডেনমার্কে হলে কী হবে, জীবনযাপনে তিনি পুরোপুরি বাঙালি। তাই তো বাংলাদেশের কোনো অনুষ্ঠানে গেলে পরতে ভালোবাসেন বাঙালি পোশাক। জামাল বলেন, ‘সাদামাটা আরামদায়ক পোশাক পরতে ভালো লাগে। বিশেষ করে দেশের ভেতর যখন কোনো অনুষ্ঠানে যাই, পাঞ্জাবি বা শার্ট পরি।’

ফিটনেসের ব্যাপারে খুব সচেতন জামাল। আসলে জাতীয় দলে জায়গা ধরে রাখতে ফিটনেস ঠিক রাখার বিকল্প নেই। নিজের ওজন বেড়ে যাচ্ছে কি না, সব সময় খেয়াল রাখতে হয়। জাতীয় দলের ক্যাম্প অথবা ক্লাব ফুটবল, যেখানেই হোক না কেন, অনুশীলন শেষে বাড়তি পরিশ্রম করেন তিনি। নিয়মিত জিমে যান।

জাতীয় দলের ক্যাম্পে গেলেও বাড়তি পরিশ্রমের চেষ্টা করেন বাংলাদেশ ফুটবল দলের অধিনায়ক

ফিটনেস ধরে রাখতে নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন করেন। জামাল মনে করেন, অনেক সময় মানসিক চাপ কমিয়ে দেয় বাড়তি প্রশিক্ষণ। তিনি বলেন, ‘যেদিন অনুশীলন থাকে, সেদিন জিমে যেতে পারি না। তবে অনুশীলন না থাকলে আলাদা সময় বের করে জিমে যাই।’

এ তো গেল শরীরচর্চা। শরীর ফিট রাখতে খাবার কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। নিয়মিত কী খান এই ফুটবলার? জানা গেল, জামালের খাবারের তালিকায় থাকে পাস্তা, ওটস, শাকসবজি ও মুরগি। পছন্দের খাবারের প্রসঙ্গে জামাল বলেন, ‘ঝালজাতীয় খাবার একদম খেতে পারি না। খেলে সমস্যা হয়। তেলজাতীয় খাবারও এড়িয়ে চলি। বিরিয়ানি বাদ রাখতে চেষ্টা করি। সবজি, সালাদ আর মুরগির মাংস নিয়মিত খাই।’

বেড়াতে গেলে পরেন এমন পোশাক

সময়ের সঙ্গে ফুটবল তারকাদের চুলের ছাঁটে যোগ হয়েছে ভিন্নতা। বছরজুড়ে তরুণেরা প্রিয় ফুটবলারদের চুলের স্টাইল অনুসরণ করেন। ফুটবল আর ফ্যাশন যেন এক সুতায় বেঁধে রেখেছেন পর্তুগালের তারকা ফুটবলার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। মাঠে রোনালদোকে বেশির ভাগ সময় স্পাইক করা চুলে দেখা যায়। কখনো দেন হেয়ার জেল। বাংলাদেশি তরুণেরাও মেসি, রোনালদো বা নেইমারের অনুসরণে চুলে নানা রকম ছাঁট দিয়ে থাকেন। তবে এই তারকাদের কাউকে অনুসরণ করেন না জামাল ভূঁইয়া। চুলের ছাঁট নিয়ে জামাল বললেন, ‘আমার যেটা ভালো লাগে, সেটাই করি। যেভাবে আমাকে ভালো লাগবে, সুন্দর লাগবে, চুলে সেই ছাঁট দিতে চেষ্টা করি।’

ফুটবলারদের থাকে অনেক রকম শখ। কেউ সংগ্রহে রাখেন বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্টাইলিশ জুতা বা কেডস। কারও নজর নানা রকম রোদচশমায়। এসবে জামাল ভূঁইয়ার আগ্রহ না থাকলেও ঘড়ির প্রতি বিশেষ দুর্বলতা আছে। জামাল বলেন, ‘বিদেশে গেলে ঘড়ির দোকানে ঢুঁ মারি। নানা রকম ঘড়ি কেনার শখ আমার আছে। এর বাইরে ব্র্যান্ডের জিনিস খুব বেশি পরি না।’

ফুটবলার থিয়াগো সিলভা আর এনগোলো কান্তেকে ভালো লাগে জামালের

মাঠের বাইরে দুজন ফুটবলারের ব্যক্তিত্ব জামালের খুব ভালো লাগে। তিনি বলেন, ‘থিয়াগো সিলভা আর এনগোলো কান্তেকে ভালো লাগে। ফুটবল মাঠের বাইরে তাঁদের জীবনযাপন, কথাবার্তা ও আচরণ দেখে মুগ্ধ হই।’

দেশে ও দেশের বাইরে জামালের অনেক ভক্ত। নিজে বড় কোনো তারকা ফুটবলারকে অনুসরণ না করলেও অনেকে বাংলাদেশের ফুটবলের ‘পোস্টারবয়’ জামালকে অনুসরণ করেন। এসব দেখে বেশ ভালো লাগে জামালের, ‘আমি কী করি, কোথায় যাচ্ছি, কী খাচ্ছি—সবকিছু জানে আমার এই ভক্তরা। তারা আমাকে খুব ভালোবাসে। তাদের ভালোবাসার কারণে প্রতিদিন নতুন উদ্যমে মাঠে নামতে ইচ্ছে করে।’