স্টাইল

ও পিয়া ও পিয়া

পাশ্চাত্য ঢঙের পোশাক ভালো লাগে পিয়ার। ছবি: সুমন ইউসুফ
পাশ্চাত্য ঢঙের পোশাক ভালো লাগে পিয়ার। ছবি: সুমন ইউসুফ

র‌্যাম্প, নাটক, চলচ্চিত্র—তিন ক্ষেত্রেই তিনি প্রশংসিত। অবসরের সঙ্গী ৬০-৭০ দশকের জ্যাজ বা ক্লাসিক্যাল গান কিংবা বই। অভিনয়শিল্পী ও মডেল পিয়া অধুনার আয়োজনে তাঁর স্টাইল তুলে ধরলেন।
পাঠকদের জন্য মডেলিংয়ের মাধ্যমে সব সময়ই তুলে ধরছেন চলতি সময়ের ফ্যাশন। পরছেন বিভিন্ন ধরনের পোশাক। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে তৈরি করে নিয়েছেন নিজস্ব ফ্যাশন ধারণা। পিয়া বলেন, ‘পোশাকে কোনো নতুনত্ব এলে সেটা আমি পরে দেখি। কিন্তু যদি আমাকে না মানায়, তাহলে সেই পোশাকটি আর পরি না। ফ্যাশন হচ্ছে আপনি নিজে যেটা বহন করতে পারবেন আরামের সঙ্গে। পাশাপাশি সামাজিকভাবে যেন সেটা স্বীকৃতি পায়, সেটার দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। আমার পোশাক যেন আরেকজনকে বিরক্ত না করে।’ সব সময় যে ব্র্যার‌্যান্ড নিয়েই থাকতে হবে, এমন নীতিতে বিশ্বাসী নন অভিনয়শিল্পী ও মডেল জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া। সাধারণ দোকানে কিছু পছন্দ হলেও কিনে ফেলেন চটপট।

সোনার গয়না পছন্দ

পোশাকে পিয়ার প্রথম পছন্দ শাড়ি। তালিকায় এরপর আছে গাউন। ফিটিং ভালো হয় বলে গাউনগুলো সাধারণত ব্র্যার‌্যান্ডভিত্তিক কেনা হয়ে থাকে। ইদানীং খুব ভালো লাগে বলে পরেন। কারণ হিসেবে জানান, জমকালো দাওয়াত কিংবা ক্যাজুয়াল অনুষ্ঠান—সবখানেই চমৎকার মানিয়ে যায়। সাজার সময় চুলটার প্রতি বেশি মনোযোগ দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু বেশির ভাগ সময় সেটাই ঠিকমতো করা হয়ে ওঠে না। দাওয়াতে, অনুষ্ঠানে খুব হালকা মেকআপ করে থাকেন। শুটিং ছাড়া খুব একটা সাজেন না। ব্যাগের ভেতরে খুঁজলে আয়না তো দূরের কথা, লিপস্টিক পাওয়া যাবে কি না, এ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন পিয়া।

পিয়ার শখ দাবা খেলা

পছন্দ করেন আনুষ্ঠানিক ঘড়ি পরতে। মাইকেল কোর, গেস, এ্যানক্লেন, সিকে ব্র্যার‌্যান্ডের ঘড়ি পছন্দ করেন। তালিকায় আরও আছে রোলেক্সের নাম। যদিও এখনো কেনা হয়ে ওঠেনি। কখনো না কখনো কিনবেন বলে জানান পিয়া। সুগন্ধির মধ্যে ভারচাসি প্রিয়। ব্যাগের মধ্যে লুই ভ্যুটন এগিয়ে আছে। কেনাকাটা করতে পছন্দ করেন। কিন্তু সেটা পোশাকের নয়। জুতা, মেকআপ, বাসা সাজানোর জিনিসই বেশি প্রাধান্য পায় বলে জানান। জুতার ব্র্যার‌্যান্ডে এলডোর নামটাই উচ্চারণ করলেন। সুযোগ পেলেই হাই হিল পরে ফেলেন।

পার্টিতে পরেন এমন পোশাক

শুটিং না থাকলে বাড়ির জন্য বাজার করেন, ঘর গোছান আর বই পড়া তো আছেই। পিয়া আইন নিয়ে পড়ছেন ঢাকার লন্ডন কলেজ অব লিগ্যাল স্টাডিজে। পছন্দ করেন দাবা খেলতে। ভালোবাসেন রান্না করতে। পিয়া বলেন, ‘দেশীয় রান্নাগুলোই একটু ভিন্নভাবে করার চেষ্টা করি। সপ্তাহে দু-তিন দিন রান্না করি। রান্না করাটা একটা শিল্প। আমি রান্না করার সময় পুরা মনোযোগ ওখানেই দিই। তখন অন্য কোনো কাজ করতে পারি না।’
সোনার গয়নার প্রতি দুর্বলতা আছে। সুযোগ পেলেই একটু একটু করে সোনার গয়না কিনে ফেলেন। দেড় ভরির একজোড়া কানের দুল দিয়ে এই যাত্রা শুরু হয়। খাবার সময় একদম খাঁটি বাঙালিয়ানা স্বভাব। ডাল, ভাত, একটু ঝাল মাংস প্রিয়। বাইরের খাওয়া একেবারেই খেতে পারেন না। বড়জোর এক কাপ কফি খান।

সেলফি তোলাটাও চাই পিয়ার