মুক্তার পোশাকে ভাইরাল অনন্যা পান্ডে

কয়েক বছর ধরেই ট্রেন্ডে আছে মুক্তা দিয়ে তৈরি পোশাক।
মুক্তার পোশাকে ভাইরাল অনন্যা পান্ডে
২০২২ সালে কান চলচ্চিত্র উৎসবে দীপিকা পাড়ুকোন মুক্তার ব্লাউজের সঙ্গে মুক্তার বড় একটি নেকলেস পরেন। সেই আইকনিক লুক ভারতীয় তথা বিশ্ব ফ্যাশনে রীতিমতো ঝড় তোলে।
সেখান থেকে করসেট, টপ, ব্লাউজ, শাড়ি, পোশাকের স্ট্রাইপ, স্লিপ ড্রেস, বডিকন বা গাউন—সবখানেই রাজত্ব করতে থাকে মুক্তা।
এরপর ২০২৩ সালে মেট গালায় আলিয়া ভাট পরেন ভিক্টোরিয়ান যুগ ও মধ্যযুগে ইউরোপে জনপ্রিয়তা পাওয়া নিচের দিকে ফোলানো একটি ক্রিনোলিন গাউন। গুনে গুনে ঠিক এক লাখ মুক্তা দিয়ে বানানো হয়েছিল পোশাকটি।
এবার মুক্তার বডিকন পোশাকে আলোচনায় বলিউড তারকা অনন্যা পান্ডে।
অনন্যার এই পোশাক তৈরি করেছেন জনপ্রিয় ভারতীয় ডিজাইনার জুটি আবু জানি ও সন্দ্বীপ খোসলা।
ভারতের ‘জিকিউ ম্যাগাজিন’–এর স্টাইল অ্যাওয়ার্ডে এই পোশাকে হাজির হন অনন্যা।
ছাঁচের মতো বডিকন পোশাকটির হাতায় আর নিচের অংশে আছে মুক্তার ঝালর।
কোমরের দিকে কেন ফোলানো হলো, তা নিয়ে বিতর্কও চলছে। অনেকের কাছেই পোশাকটি কিঞ্চিৎ দৃষ্টিকটু লেগেছে। আদতে নিতম্বের কাছ থেকে ফোলানো ফ্যাশনের উদাহরণ পাওয়া যায় ভিক্টোরিয়ান যুগের শেষ দিকে ইউরোপে, বিশেষ করে জার্মানি ও অস্ট্রীয় ক্রিনোলিন পেটিকোট থেকে।
মুক্তার তৈরি কোটিও পাচ্ছে জনপ্রিয়তা।
পিছিয়ে নেই মুক্তার ব্যাগও।
বলিউড তারকারাও হরহামেশা দেখা দিয়েছেন মুক্তার পোশাকে। ছবিতে কিয়ারা আদভানি ও সিদ্ধার্থ মালহোত্রা।
কৃতি শ্যাননের পরনের শাড়ির ব্লাউজটির নকশা বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। অনেকেই দেখা দিয়েছেন এই নকশার ব্লাউজে।
কম যান না জাহ্নবী কাপুরও।
ট্রেন্ডে গা ভাসিয়েছেন মালাইকা অরোরা।
ফ্যাশনের আলাপে সোনম থাকবেন না, তা কি হয়! সোনমের জালি মুখোশে বসানো হয়েছে মুক্তা।
এভাবে আলিয়া ভাটের মতো একাধিক মুক্তার গয়না লেয়ারিং করে পরাও আছে ট্রেন্ডে।
‘পার্ল গার্ল’ শানায়া কাপুরের শাড়িটিও তৈরি হয়েছে ১ লাখ মুক্তায়।
এই ছবির একটাই ক্যাপশন—‘হাউ মাচ পার্ল ইজ টু মাচ পার্ল?’  
মুক্তার গয়নার ফ্যাশন সব সময়ই প্রাসঙ্গিক।