
রোগবালাই যেমন আছে, তেমনি আছে উপশমের উপায়। স্বাস্থ্য ও বিভিন্ন রোগ নিয়ে পাঠকদের পাঠানো প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা।
আমার বয়স ৭৯ বছর। করোনার টিকা এখনো নেওয়া হয়নি। যে ওষুধে সালফার আছে, তা সেবন করলে আমার ভয়ানক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়। বছর দুই আগে এ রকম হয়েছিল। করোনার টিকায় সালফার আছে কি না জানি না। টিকা নেব কি?—এম এ কাসেম, ঢাকা।
করোনার টিকায় সালফার ব্যবহৃত হয়নি। তাই এতে আপনার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হওয়ার আশঙ্কা কম। আপনি টিকা নিতে পারবেন। তবে কারও যদি ইতিপূর্বে কোনো ওষুধ বা ইনজেকশনে তীব্র প্রতিক্রিয়ার ইতিহাস থেকে থাকে, তবে বড় কোনো হাসপাতালকে টিকাকেন্দ্র হিসেবে বেছে নেওয়া উচিত, যাতে কোনো সমস্যা হলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়।
কোভিড-১৯–এর টিকা নিয়ে রক্তদান করা যাবে?—আরাফাত মাহমুদ
যেহেতু করোনার টিকায় কোনো জীবিত ভাইরাস ব্যবহৃত হয়নি, তাই এটি নেওয়ার পর রক্তদানে বাধা নেই। ফাইজারের টিকায় এমআরএনএ ব্যবহৃত হয়েছে, আর কোভিশিল্ড (যা আমাদের দেশে দেওয়া হচ্ছে) তাতে নিষ্ক্রিয় ভাইরাসের প্রোটিন উপাদান ব্যবহৃত হয়েছে। তাই এগুলো দিয়ে রক্তদানে কোনো সমস্যা হবে না।
পরামর্শ দিয়েছেন—অধ্যাপক ডা. সোহেল মাহমুদ আরাফাত, চেয়ারম্যান, মেডিসিন অনুষদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)।
কিছু লিখতে গেলে আমার ডান হাতের তর্জনী দিয়ে কলম ধরে রাখতে জোর পাচ্ছি না। ফলে হাতের লেখা খারাপ হচ্ছে বা বেশি সময় নিয়ে লিখতে কষ্ট হচ্ছে। এই রোগের নাম নাকি রাইটার্স ক্র্যাম্প। পরামর্শ চাই। আমার বয়স ৪২। পেশায় শিক্ষক।—সুনিতা দে, সিলেট।
এটি স্নায়ুতন্ত্রের একধরনের রোগ। যা আঙুল, তালু ও বাহুকে আক্রান্ত করে। যখন হাত দিয়ে সব করা যায়, শুধু লেখার সময় অসুবিধা হয়, সেটিকে রাইটার্স ক্রাম্প বলা হয়ে থাকে। আপনার দৈনন্দিন কাজ ছাড়া শুধু লেখার কাজে অসুবিধা হলে সেটি রাইটার্স ক্রাম্প। এই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য বলপেন, কালির কলম ব্যবহার করবেন। যেসব কলম তুলনামূলকভাবে চওড়া, সেটি দিয়ে লিখতে হবে অথবা কলমের গায়ে কাপড়ের ফিতা পেঁচিয়ে বলের মতো করে নেবেন এবং লেখার সময়ে কলমের মধ্যবর্তী অংশে থাকা বলটি হাতের তালুতে থাকবে। যদি সুফল না পান বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে ইনজেকশন নিতে হবে। সবকিছু যদি ব্যর্থ হয়, তবে অন্য হাতে লেখার অভ্যাস করতে হবে।
পরামর্শ দিয়েছেন—অধ্যাপক ডা. শাহরুখ আহমেদ, স্নায়ুরোগ ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, সিনিয়র কনসালট্যান্ট, ল্যাবএইড হাসপাতাল, ঢাকা।
আমার বয়স ২৩ বছর। পুরুষ। ডায়াবেটিস ৫ দশমিক ৫ থাকে। আমি মাঝেমধ্যেই বিছানায় প্রস্রাব করে ফেলি। এ ছাড়া ঘন ঘন মূত্রত্যাগের বেগ হয়। বিশেষ করে যেদিন খুব ক্লান্ত লাগে এবং বেশি ঘুম পায়। প্রস্রাব হয়ে যাওয়ার পর ঘুম ভেঙে যায়। এটা কী সমস্যা এবং এর সমাধান কী?—অমিত, খুলনা।
রক্তে শর্করার সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। তবে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা থেকে এমন হতে পারে। আপনি একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
পরামর্শ দিয়েছেন—ডা. ইন্দ্রজিত প্রসাদ, সহযোগী অধ্যাপক, এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ।