Thank you for trying Sticky AMP!!

কিশোরীর মুখে অবাঞ্ছিত লোম

কিশোরীদের বয়ঃসন্ধির আগে খুবই হালকা বাদামি রঙের ত্বকের রঙের মতো লোম বৃদ্ধি পেতে থাকে। কিন্তু কোনো কোনো কিশোরী মুখে কিশোরদের মতো একটু বেশি লোম লক্ষ করে বিচলিত হয়। কেননা এ লোমগুলোর অবস্থান, রং ও বিস্তৃতি অনেকটা ছেলেদের দাড়ি-গোঁফের মতোই। মেয়েদের এমন অবাঞ্ছিত লোমকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় হারসুইটিজম বলে। এ রকম লোম কিশোরীর বগলে, বুকে বা অন্য স্থানেও থাকতে পারে। কারও কারও হাত–পায়ের লোমগুলো পুরুষালি ধাঁচের হয়। মেয়েদের দেহে এই পুরুষালি লোমের কারণ অতিরিক্ত পুরুষ হরমোন এন্ড্রোজেনের উপস্থিতি অথবা এর কার্যকারিতা বেড়ে যাওয়া।

>হরমোনের অসামঞ্জস্য ঠিক করতে দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা নিতে হয়

এ অবস্থায় শুধু অতিরিক্ত পুরুষালি লোমই নয়, শরীরের আরও কিছু পরিবর্তন দেখা যায়। যেমন: অতিরিক্ত দুর্গন্ধময় ঘাম হওয়া, শরীরের গঠনে পুরুষালি অবয়ব প্রতিভাত হওয়া, ওজন বৃদ্ধি, ঘাড়ে কালো দাগ ইত্যাদি। এ সমস্যায় আক্রান্ত অধিকাংশ কিশোরীরই ঋতুস্রাব স্বাভাবিক থাকে না।

যেসব রোগের লক্ষণ হিসেবে মেয়েদের শরীরে এমন অবাঞ্ছিত লোম হতে পারে:

১. পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম, ২. কনজেনিটাল অ্যান্ড্রোনাল হাইপারপ্লাসিয়া, ৩. কুশিং সিনড্রোম

৪. গ্রোথ হরমোনের অতিরিক্ত উপস্থিতি, ৫. ওভারি বা অ্যান্ড্রোনাল গ্রন্থির টিউমার, ৬. ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স, ৭. হাইপোথাইরয়েডিজম, ৮. স্থূলতা।

অবাঞ্ছিত লোম কোনো স্থায়ী হরমোনজনিত রোগের লক্ষণ হতে পারে, যা সময়মতো চিকিৎসার আওতায় আনলে ভালো ফল পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। হরমোন বিশেষজ্ঞরা আক্রান্ত কিশোরীর উচ্চতা, ওজন থেকে শুরু করে অতিরিক্ত লোমের বিস্তার, ঋতুস্রাবের ইতিহাস ইত্যাদি নিয়ে প্রাথমিক ধারণায় পৌঁছার চেষ্টা করেন। টেস্টোস্টেরন হরমোন পরিমাপের প্রয়োজন হয়, কারও কারও ক্ষেত্রে থাইরয়েড হরমোন, এলএইচ, এফএসএইচ, প্রোল্যাকটিন, কার্টিসোল ইত্যাদি হরমোনও পরিমাপ করতে হতে পারে।

ওজন কমানোর চেষ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হরমোনের অসামঞ্জস্য ঠিক করতে দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা নিতে হয়। লোমের চিকিৎসায় নানা আধুনিক পদ্ধতি কার্যকর, তবে তা ব্যয়বহুল হতে পারে।