
অনেক নারী আছেন, যাঁরা স্বামী বাসায় এলে পিল খান, চলে গেলে বন্ধ করে দেন। আবার অনেকে কয়েক দিন খেয়ে বন্ধ করে দেন। অনেকে ইমার্জেন্সি পিল খেয়ে থাকেন, যা ঠিক নয়। অপরিকল্পিত গর্ভধারণ বন্ধ করতে হলে জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল নিয়ম করে খেতে হবে।
বিশ্ব জন্মনিয়ন্ত্রণ দিবস উপলক্ষে প্রথম আলোর বিশেষ আয়োজন ‘অপরিকল্পিত গর্ভধারণ আর নয়’ শীর্ষক ওয়েবিনারে এসব কথা বলেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা। ওয়েবিনারটি প্রথম আলোর ফেসবুক পেজে গত রোববার রাত সাড়ে আটটায় সরাসরি সম্প্রচারিত হয়।
অনুষ্ঠানে অবসটেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশের (ওজিএসবি) নির্বাচিত সভাপতি ফারহানা দেওয়ান বলেন, কিছু পিল এক পাতায় ২১টি থাকে, আবার কিছু ক্ষেত্রে এক পাতায় ২৮টি পিল থাকে। যাঁরা এক পাতার ২১টি পিল খান, তাঁদের পরামর্শ দেওয়া হয় মাসিক হওয়ার পাঁচ দিন পর থেকে খাওয়া শুরু করতে। আর যেটাতে ২৮টি পিল থাকে, মাসিক শুরুর দিন থেকেই তার পিল খাওয়া শুরু করতে বলা হয়। নিয়ম মেনে পিল খেলে অপরিকল্পিত গর্ভপাত বন্ধ হবে।
এ সময় ওজিএসবির সভাপতি ফেরদৌসী বেগম বলেন, ‘আমাদের নিজেদের টিকে থাকতে হলে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে হলে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির কোনো বিকল্প নেই। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে বাল্যবিবাহ বন্ধ করাও গুরুত্বপূর্ণ। বাল্যবিবাহে বাংলাদেশ বিশ্বের প্রথম ১০টির ১টি। এটি জনসংখ্যা অনেক দ্রুত বাড়তে সাহায্য করে। সে জন্য জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ব্যবহার বাড়াতে হবে এবং বাল্যবিবাহও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন ওজিএসবির মহাসচিব গুলশান আরা। এ ছাড়া ওজিএসবির সাবেক সভাপতি লায়লা আর্জুমান্দ বানু, অধ্যাপক সামিনা চৌধুরী, অধ্যাপক আনোয়ারা বেগম, অধ্যাপক কোহিনূর বেগম, অধ্যাপক লতিফা শামসুদ্দিন ও ওজিএসবির সাবেক মহাসচিব সালেহা বেগম চৌধুরী আলোচনায় অংশ নেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের স্ত্রী ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুলতানা রাজিয়া এবং জয়নুল হক সিকদার উইমেনস মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের স্ত্রী ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নাঈমা শারমিন হক।
ওয়েবিনারটি আয়োজনে ছিল প্রথম আলো ডটকম। অনুষ্ঠানটি ছিল নুভিস্তা ফার্মা নিবেদিত। এটি নুভিস্তা ফার্মার এলিসা ও মারভেলন ব্র্যান্ডের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।