দেশি-বিদেশি মিলিয়ে অনেক ফলই তো এখন ঢাকায় সুলভ। এসব ফল আমরা খাই। অথচ আমরা অনেকেই জানি না কোন কোন ফলে বেশি প্রোটিন রয়েছে। তাই ফল খাওয়ার ক্ষেত্রে সচেতন হলে নিজের খাবারে যোগ করা যায় বাড়তি পুষ্টি। একনজরে তাই দেখে নেওয়া যেতে পারে কোন ফলে কেমন প্রোটিন থাকে।
আমাদের দেশে পেয়ারা একবারেই সুলভ। দেশি পেয়ারার পাশাপাশি নানা জাতের পেয়ারা এখন বাজারে রয়েছে। এই ফল দারুণ প্রোটিনসমৃদ্ধ। প্রতি কাপ পেয়ারায় অন্তত ৪.২ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। এ ছাড়া এতে আরও রয়েছে ভিটামিন সি আর প্রচুর পরিমাণে আঁশ। সবচেয়ে বড় কথা হলো, এই ফলটির কিছুই ফেলা যায় না। খাওয়া যায় সবই।
আমাদের দেশের ফল নয়। তবে বিদেশ থেকে আসে। বিভিন্ন সুপারশপে পাওয়া যায়। দাম একটু বেশি। ফলে ফলটি খেতে যেমন মজা তেমনি পুষ্টিকরও। এক কাপ চৌকো করে কাটা অ্যাভাকাডোয় মিলবে ৩ গ্রাম প্রোটিন। আর যদি ভর্তা করে ফেলেন তাহলে প্রোটিনের পরিমাণ বেড়ে হবে ৪.৬ গ্রাম। এতে অবশ্য আরও আছে উপকারী ফ্যাট, আঁশ, পটাশিয়াম। খাওয়া যায় নানাভাবে।
আমাদের দেশের জাতীয় ফল। এখন কাঁঠালের মৌসুম যদিও নয়, তবে জেনে রাখা যেতে পারে এর প্রোটিনের পরিমাণ। এক কাপে পাওয়া যায় ২.৮ গ্রাম। সঙ্গে আঁশ আর অন্যান্য উপাদান তো আছে। কাঁঠাল কাঁচা অবস্থায় রান্না করে খাওয়া যায়; আর পাকলে তো কথাই নেই।
আমাদের দেশের ফল নয় বলেই দাম বেশি। তবে অমিল নয়। পাওয়া যাবে সুপারশপগুলোতে। এক কাপ কিউইতে আছে ২ গ্রাম প্রোটিন। এর খোসা থেকে সবই খাওয়া যায়। তবে ইচ্ছে করলে খোসা ছাড়িয়েও নেওয়া যেতে পারে।
এটাও এখন ঢাকায় অমিল নয়। এক কাপে পাবেন ২.৩ গ্রাম প্রোটিন। শুকনো আপ্রিকট দিয়েও নানা মুখরোচক খাবার তৈরি করা যায়। এমনিও খাওয়া যায়।
কিশমিশ নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। বাংলার ফল না হলেও যে বাঙালির কিশমিশ অনুরাগ নেই, তা কোনভাবেই বলা যাবে না। ১ আউন্স বা ৬০টি কিশমিশের প্রোটিনের পরিমাণ ১ গ্রাম। কিশমিশ খাওয়া যায় নানাভাবে। তবে বাঙালির মোগলাই পদ আর মিষ্টান্নে কিশমিশ থাকে স্বমহিমায়।
কলায় আয়রন আর পটাশিয়াম থাকে প্রচুর পরিমাণে। যেকোনো সময়েই খাওয়া যায়। খাওয়া যায় পাকা কিংবা কাঁচা দুইভাবেই। পেশিতে চনমনে রাখতে কলার বিকল্প নেই। একটা মাঝারি সাইজের কলায় প্রোটিন থাকে ১.৩ গ্রাম।
ভিটামিন সির দারুণ উৎস। মাঝারি সাইজের একটা কমলায় ১.২ গ্রাম প্রোটিন থাকে। তুবে রস করলে প্রোটিনের পরিমাণ কমে যায়। এ জন্য রস না করে খাওয়াই ভালো। তাতে প্রোটিনের পরিমাণ যেমন বেশি পাওয়া যায়, তেমনি মেলে আঁশের উপকারিতাও।
তথ্যসূত্র: ওয়েবএমডি