Thank you for trying Sticky AMP!!

শিশুর নিউমোনিয়া কখন প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে?

নিউমোনিয়া হলো ফুসফুসের প্রদাহ। আমাদের ফুসফুসে ছোট ছোট বাতাসভর্তি থলে (অ্যালভিওলাই) থাকে। এই অ্যালভিওলাইতে সংক্রমণের ফলেই নিউমোনিয়া হয়। নিউমোনিয়া বিভিন্ন ধরনের জীবাণু দিয়ে হতে পারে এবং একেক বয়সী শিশুর ক্ষেত্রে একেক রকম জীবাণু থেকে নিউমোনিয়া হয়।

একেক বয়সী শিশুর ক্ষেত্রে একেক রকম জীবাণু থেকে নিউমোনিয়া হয়

বিপদচিহ্নগুলো কী

জ্বর, কাশি, বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, শ্বাসকষ্টে বুকের দুধ বা অন্য খাবার খেতে না পারা—কোনো শিশুর এসব উপসর্গ দেখা দিলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তবে কিছু কিছু উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকের অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য অপেক্ষা না করে দ্রুত শিশুকে হাসপাতালে নিতে হবে। সে জন্য বিপদচিহ্নগুলো জানতে হবে।

দুই মাস বয়সের নিচের শিশুদের বিপদচিহ্ন

১. অচেতন বা অতিরিক্ত দুর্বল হয়ে যাওয়া।

২. খিঁচুনি।

৩. কিছু খেতে না পারা।

৪. বমি।

৫. হঠাৎ করে শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়া।

৬. নাক বা জিহ্বা কালো বা নীল বর্ণ ধারণ করা।

৭. যেকোনো ধরনের রক্তপাত।

৮. নবজাতকের ওজন যদি ১ হাজার ৫০০ গ্রামের কম থাকে এবং নিউমোনিয়া হয়।

৯. জ্বর অথবা শিশুর শরীর একেবারে ঠান্ডা হয়ে যাওয়া।

১০. শিশুর নড়াচড়া একদম কমে যাওয়া।

দুই মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের বিপদচিহ্ন

খিঁচুনি, দুর্বল হয়ে যাওয়া বা নড়াচড়া কমে যাওয়া, খেতে না পারা, বমি। সেই সঙ্গে শ্বাসকষ্ট, জ্বর, ডায়রিয়া, কানে ব্যথা থাকলে নিকটস্থ হাসপাতালে পাঠাতে হবে। সঠিক সময়ে হাসপাতালে পাঠাতে ব্যর্থ হলে শিশুর নানা ধরনের জটিলতা যেমন ফুসফুসে পুঁজ বা পানি জমা বা সারা শরীরে ইনফেকশন ছড়িয়ে শিশুর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই বিপদচিহ্নগুলো খেয়াল রাখুন, শিশুকে রক্ষা করুন।

ডা. রাহনুমা আমিন: মেডিকেল অফিসার, শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট এবং হাসপাতাল