কানের ফারানকুলোসিসের প্রধান কারণ হলো স্ট্যাফিলোকক্কাস অরিয়াস নামক ব্যাকটেরিয়া, যা ত্বকের লোমকূপে প্রবেশ করে সংক্রমণ ঘটায়
কানের ফারানকুলোসিসের প্রধান কারণ হলো স্ট্যাফিলোকক্কাস অরিয়াস নামক ব্যাকটেরিয়া, যা ত্বকের লোমকূপে প্রবেশ করে সংক্রমণ ঘটায়

কানের ফোড়া ফারানকুলোসিসের কারণ, চিকিৎসা ও সমাধান

কানের ফারানকুলোসিস হলো বাহ্যিক শ্রবণনালির চুলের ফোলিকেলে সৃষ্ট সংক্রমণ, যা প্রধানত স্ট্যাফিলোকক্কাস অরিয়াস নামক ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়ে থাকে। এর ফলে কানের ভেতর লাল ও ব্যথাযুক্ত ফোলা তৈরি হয়, যা কানের চ্যানেল বন্ধ করে দিতে পারে।

কারণ

কানের ফারানকুলোসিসের প্রধান কারণ হলো স্ট্যাফিলোকক্কাস অরিয়াস নামক ব্যাকটেরিয়া, যা ত্বকের লোমকূপে প্রবেশ করে সংক্রমণ ঘটায়।

কানের ভেতরে ছোটখাটো ক্ষত থাকলে ব্যাকটেরিয়া সহজেই প্রবেশ করতে পারে এবং সংক্রমণ ঘটাতে পারে।

কানের ভেতরে ছোটখাটো ক্ষত থাকলে ব্যাকটেরিয়া সহজেই প্রবেশ করতে পারে এবং সংক্রমণ ঘটাতে পারে।

ঝুঁকি কী

কটন বাড বা অন্য কিছু দিয়ে কান খোঁচানো বাইরের বস্তু ঢুকে যাওয়া জলে সাঁতার, অ্যালার্জি, ডায়াবেটিস, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া ইত্যাদি।

উপসর্গ

কানের বাইরের অংশ বা পিনায় তীব্র ব্যথা। আক্রান্ত স্থানে ফোলাভাব। চ্যানেল ব্লক হয়ে বন্ধ হওয়া। ফোড়া ফেটে পুঁজ নির্গত হওয়া। কানে ব্যথা এবং ফোলাভাবের কারণে কান বন্ধ হয়ে যাওয়ার অনুভূতি হতে পারে। হালকা জ্বর হতে পারে।

নির্ণয়

ভালো করে কান পরীক্ষা করে নির্ণয় করা হয়।

কখনো কখনো পুঁজ বা ডিসচার্জের কালচার সেনসিটিভিটি টেস্ট পরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে।

ঝুঁকি জানতে রক্তের গ্লুকোজ পরীক্ষা ও অন্যান্য পরীক্ষা করতে হবে।

চিকিৎসা

  • মৃদুভাবে কানের ভেতর পরিষ্কার করতে হবে।

  • ওষুধযুক্ত ছোট তুলা বা মেডিকেটেড উইক ব্যবহার করা যেতে পারে।

  • ইফথামোল গ্লিসারিন সলিউশন

  • অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ

  • দীর্ঘস্থায়ী ক্ষেত্রে গরম সেঁক দিলে ফোড়া ফেটে বের হতে সাহায্য করে।

  • বড় বা গভীর ক্ষত হলে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে।

  • বিশ্রাম ও ব্যথানাশক

  • মুখে খাবার অ্যান্টিবায়োটিক, যেমন: ফ্লুক্সাসিলিন, ক্লিনডামাইসিন, সেফালেক্সিন, সাধারণত ৫-১৪ দিন সময় লাগে।

প্রতিরোধ

ব্যক্তিগত টাওয়েল, ইয়ারফোন বা অন্যান্য আইটেম শেয়ার না করা।

ডায়াবেটিস বা অন্যান্য ইমিউনো সমস্যা ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করা।

নিয়মিত কান পরিচ্ছন্ন রাখা ও পানি ঢোকা থেকে বিরত থাকা। কানে কাঠি বা কটন বাড দিয়ে খোঁচানো এড়িয়ে চলা।

অধ্যাপক ডা. এম আলমগীর চৌধুরী, ইএনটি, আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ, ধানমন্ডি, ঢাকা