নারীদের শরীরে অবাঞ্ছিত লোমের সবচেয়ে প্রচলিত কারণটি হলো, পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম
নারীদের শরীরে অবাঞ্ছিত লোমের সবচেয়ে প্রচলিত কারণটি হলো, পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম

মুখের অবাঞ্ছিত লোমের কারণে বাইরে যেতে অস্বস্তি লাগে, সমাধান কী

স্বাস্থ্য জিজ্ঞাসা বিভাগে পাঠক সমস্যার কথা লিখে পাঠান। সেখান থেকে নির্বাচিত একটি সমস্যার পরামর্শ দিয়েছেন ল্যাবএইড আইকনিক (কলাবাগান, ঢাকা)–এর এন্ডোক্রাইনোলজি (ডায়াবেটিস ও হরমোন রোগ বিশেষজ্ঞ) কনসালট্যান্ট ডা. সুষমিতা পাল

প্রশ্ন: আমি একজন নারী, বয়স ২০ বছর। আমার হাত, পা ও মুখে অনেক লোম। বাইরে গেলেই অস্বস্তিতে পড়ি। হরমোন টেস্টও করেছি। ডাক্তার দেখানোর পর আমাকে ক্যাবারগোলিন নামক একটি ট্যাবলেট খেতে বলেছিল। তেমন একটা কাজ হয়নি। এখন এমন কোনো ওষুধ বা মলমের পরামর্শ চাচ্ছি, যা আমার অবাঞ্ছিত লোম দূর করতে সাহায্য করবে, বিশেষ করে মুখের লোম।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, ফেনী

পরামর্শ: বর্ণনা পড়ে মনে হচ্ছে, হাত ও পায়ের লোমের তুলনায় মুখের লোম নিয়ে আপনি বেশি চিন্তিত। সাধারণত যেকোনো শারীরিক সমস্যায় দুশ্চিন্তা হতেই পারে। তবে আশার কথা হলো, এ ধরনের সমস্যা সহজেই দূর করা যায়।

এ ক্ষেত্রে আপনার বর্ণনায় আরও কিছু বিষয় উল্লেখ থাকলে যথাযথ পরামর্শ দিতে সুবিধা হতো। যেমন মুখের ঠিক কোন অংশে অবাঞ্ছিত লোম দেখা দিয়েছে? মাসিক নিয়মিত হয় কি না, আপনার ওজন কেমন, নিয়মিত কোনো ওষুধ কিংবা হারবালজাতীয় কিছু সেবন করেন কি না, পরিবারের অন্য কোনো সদস্যের এমন অবাঞ্ছিত লোম আছে কি না।

নারীদের শরীরে অবাঞ্ছিত লোমের সবচেয়ে প্রচলিত কারণটি হলো, পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম। অন্যান্য হরমোনজনিত সমস্যাতেও এ রকম হতে পারে। আপনি ক্যাবারগোলিন নামক ওষুধ খাওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন, যা প্রোল্যাকটিন নামক হরমোনের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। প্রোল্যাকটিন হরমোন কী কারণে বেড়েছিল এবং সেটা বর্তমানে কেমন মাত্রায় আছে, জেনে নেওয়া জরুরি।

আপনি একজন হরমোন রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বা এন্ডোক্রাইনোলজিস্টের শরণাপন্ন হয়ে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে সঠিক কারণ জেনে নিন।

হরমোনজনিত কারণে অতিরিক্ত লোম দেখা দিয়ে থাকলে সুচিকিৎসার মাধ্যমে তা নিরাময় সম্ভব। দুশ্চিন্তা না করে ধৈর্যসহকারে সুচিকিৎসা গ্রহণ করুন। আশা করি, উপকার পাবেন।