একজিমা দীর্ঘমেয়াদি ত্বকের সমস্যা। এর প্রধান লক্ষণ চুলকানি, লালচে ভাব, শুষ্কতা ও ত্বকের ওপরের স্তর ওঠা। অনেক সময় ওষুধের পাশাপাশি কিছু দৈনন্দিন ব্যবহার্য রাসায়নিক পদার্থ একজিমার উপসর্গ আরও বাড়িয়ে দেয়। তাই একজিমা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এসব রাসায়নিক সম্পর্কে সচেতন থাকা জরুরি।
বাইরের বাতাসে থাকা বিভিন্ন দূষিত উপাদান একজিমা বাড়াতে পারে। গাড়ির ধোঁয়া, কারখানার গ্যাস, ধুলাবালি, ধোঁয়া ও স্মগ ত্বকে প্রদাহ সৃষ্টি করে। দীর্ঘদিন এসব দূষণের সংস্পর্শে থাকলে ত্বকের প্রাকৃতিক সুরক্ষা স্তর দুর্বল হয়ে যায়, ফলে একজিমার উপসর্গ বেড়ে যেতে পারে।
অনেক সময় আমরা বুঝতেই পারি না, ঘরের ভেতরের কিছু জিনিস একজিমার জন্য দায়ী। দেয়ালের রং, নতুন আসবাব, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার তরল, গ্লু বা পালিশ থেকে নির্গত ভোলাটাইল অর্গানিক কম্পাউন্ড ত্বকে জ্বালা সৃষ্টি করে। তীব্র গন্ধযুক্ত ক্লিনার, সলভেন্ট ও কীটনাশক ব্যবহার একজিমা রোগীদের জন্য বিশেষভাবে ক্ষতিকর।
একজিমা আক্রান্ত ত্বকের সবচেয়ে বড় শত্রু সুগন্ধি ও রংযুক্ত প্রসাধনী। সাবান, শ্যাম্পু, লোশন বা ক্রিমে থাকা ফ্র্যাগরেন্স, অ্যালকোহল, প্রোপিলিন গ্লাইকোল, কোকামিডোপ্রোপাইল বিটেইন এবং কিছু প্রিজারভেটিভ ত্বকে অ্যালার্জি ও জ্বালা তৈরি করতে পারে। চুলের রং, নেইলপলিশ ও মেকআপে এমন রাসায়নিক থাকতে পারে, যা একজিমা বাড়ায়।
নতুন কাপড়ে ব্যবহৃত রং ও ফরমালডিহাইড–জাতীয় রাসায়নিক অনেক সময় ত্বকে সমস্যা তৈরি করে। এ ছাড়া শক্তিশালী ডিটারজেন্ট ও ফ্যাব্রিক সফটেনারের অবশিষ্টাংশ ত্বকের সংস্পর্শে এসে একজিমা বাড়াতে পারে। তাই নতুন কাপড় পরার আগে ধুয়ে নেওয়া এবং সুগন্ধহীন ডিটারজেন্ট ব্যবহার করা ভালো।
একজিমা থাকলে সুগন্ধিমুক্ত ও রঞ্জনবিহীন পণ্য ব্যবহার করতে হবে।
ঘরে ভালোভাবে বাতাস চলাচলযোগ্য রাখতে হবে।
নতুন কোনো পণ্য ব্যবহারের আগে ছোট জায়গায় পরীক্ষা করা (প্যাচ টেস্ট) খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার চেষ্টা করতে হবে, প্রসাধনী ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে।
প্রয়োজনে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়াই সবচেয়ে নিরাপদ।