অধিকাংশ ক্ষেত্রে আপনিই আপনার ভাগ্যনিয়ন্ত্রক। গ্রহ-নক্ষত্রের প্রভাব জীবনে ভূমিকা রাখলেও আপনার সিদ্ধান্ত ও কর্মই চূড়ান্ত পরিণতি নির্ধারণ করে। সাহস, ধৈর্য ও সঠিক মানসিকতা আপনাকে যেকোনো পরিস্থিতিতে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। এখন থেকে ‘এ সপ্তাহের রাশিফল’ পড়ুন প্রতি শনিবার। লিখছেন জ্যোতিষী চিন্ময় বড়ুয়া।
মেষরা ত্বরিতগতির, সাহসী এবং নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে আগ্রহী। তাড়াহুড়ায় কখনো কখনো ভুল হতেই পারে। তবে ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া মেষদের বৈশিষ্ট্য নয়! তাই এ সপ্তাহে ধৈর্য ধরাই হবে আপনার সবচেয়ে বড় শক্তি। শরীর তো মন-প্রাণের বাহন, তাকেও বিশ্রাম দিন, খাওয়ায় শৃঙ্খলা আনুন আর ঘুমে ছন্দ ফিরিয়ে আনুন। ঠিকমতো ঘুম না হলে সাহসী মেষ ঝিমিয়ে পড়বে যে। ভালো ঘুম হলে কাজে জোর থাকবে। মানুষ আপনাকে ‘ফলো’ করবে আর আপনি নিজের মতো করেই ছক কেটে এগিয়ে যাবেন। সময়টা আপনার।
আপনার সময় এখন আছে ‘স্ট্যাবিলিটি মোড’-এ। অর্থ, সম্পর্ক, পরিবার—সবকিছুর ভারসাম্য রাখতে পারলে দিনগুলো খুবই ভালো কাটবে। যদি পুরোনো কোনো পরিকল্পনা থমকে থাকে, সেটি এবার আবার সামনে আনুন। নিজের আরামকে অগ্রাধিকার দিন, কিন্তু আলসেমি নয়!
মনের ভাব প্রকাশে আপনি দুর্দান্ত। আর এখন সেটাই আপনার মূল শক্তি। যে কথাটি আগে বলা হয়নি, সেটা এখন বললে সুফল মিলবে। ছোটখাটো যাত্রা বা দৌড়ঝাঁপ থাকতে পারে, যেসব আপনার পক্ষে কার্যকরও হবে। শুধুই চিন্তা না করে কিছু বাস্তবেও রূপান্তর করা প্রয়োজন এ সপ্তাহে।
আপনার মন এখন বাস্তবতা ও আবেগের মধ্যে একটি সূক্ষ্ম ভারসাম্য রক্ষা করছে। কিছু বিষয় হয়তো আপনি মনের গভীরে রেখেছেন, যা আপনার আচরণেই ফুটে উঠবে। কথার চেয়ে বেশি কার্যকর হবে বুঝেশুনে চলা, যেন কোনো অপ্রয়োজনীয় জটিলতা সৃষ্টি না হয়। কর্কট রাশির জন্য মা বিশেষ আবেগের জায়গা। এ সপ্তাহে মায়ের স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখুন।
নিজের দিকে তাকান, আত্মবিশ্বাস কিন্তু দিনে দিনে বাড়ছে। নেতৃত্ব দেওয়ার, নিজের মত প্রকাশ করার এবং দায়িত্ব নেওয়ার জন্য এটা দারুণ সময়। তবে শুধু দেখানোর জন্য কিছু করবেন না, লোকে এখন ‘ক্যান্ডিট’টাই খুঁজে বেড়ায়।
আপনার অন্তর্দৃষ্টি এখন শাণিত তলোয়ারের মতো, কোনো কিছুই যেন চোখ এড়ায় না। তবে অতিরিক্ত বিশ্লেষণে মন কখনো ভারাক্রান্ত হয়ে উঠতে পারে। এ সপ্তাহ পুরোনোকে ছেঁটে ফেলার, মনের গোপন কোণে জমে থাকা ধুলার পরত সরানোর সময়। কর্মক্ষেত্রে চাই সংযম, বিশেষত মিলেমিশে কাজ করার জায়গায়। সম্পর্কের সুতাগুলো ধরে রাখতে হলে সময় দিতে হবে সহনশীলতাকে।
কাজের জায়গায় আপনার নরম, ভারসাম্যপূর্ণ মনোভাব সমস্যাগুলোকে সহজেই সমাধান করতে সাহায্য করবে। তবে মাঝেমধ্যে নিজের মতামত স্পষ্টভাবে প্রকাশ করাও প্রয়োজন, যেন কোনো দ্বন্দ্ব বা অপ্রকাশিত ইচ্ছাও সামনে আসতে পারে। ভারসাম্য রক্ষা করার পাশাপাশি নিজের সঠিক মতামত তুলে ধরা কখনো কখনো আপনাকে আরও বেশি সম্মান এনে দেবে। এ সপ্তাহে আমরা দেখতে পাব স্পষ্টভাষী তুলাকে, যিনি শিকল ভাঙতে চান।
সপ্তাহের শুরুটা হতে পারে গম্ভীর, তবে ধীরে ধীরে মেজাজ হালকা হবে। আবেগ সংযত রাখলে কাজ ও সম্পর্ক দুটোই হবে সহজ। কিছু পুরোনো তথ্য উন্মোচিত হতে পারে, যা সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলবে। বৃশ্চিক কখনো কিছু ভুলতে পারে না, প্রাচীন বিষয়ও মনের গহিনে থেকে যায়। এটা অবশ্য আপনাকে আরও সচেতন করবে।
আপনার মাথায় অনেক কিছু ঘুরছে, বিশেষ করে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা। আপনি যেটা শিখতে বা জানতে চাইছেন, সেটা খুঁজে নেওয়ার সঠিক সময় এটা। শুধু ‘সব জানি’–টাইপ অ্যাপ্রোচ না নিয়ে, নতুন জিনিস শেখার মানসিকতা রাখলে লাভবান হবেন।
আপনি তো বরাবরই মাটির কাছাকাছি, বাস্তবতার মাটি ছুঁয়ে চলেন। এ সপ্তাহ আপনাকে এনে দেবে কাজ ও অর্থ নিয়ে কিছু গাঢ় ও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ। কেউ হয়তো আপনার ভরসায় এগিয়ে আসবে, তাতে ক্ষতি নেই, তবে নিজের সীমানাটাও স্পষ্ট করে আঁকুন। সামনে ব্যয়ের ঢেউ উঠতে পারে, তাই সময় থাকতে খানিক বেঁধে চলাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
আসল আবিষ্কার মানে নতুন দৃশ্য খোঁজা নয়, বরং পুরোনোকে নতুন চোখে দেখা। ঠিক এ নবদৃষ্টিই আপনাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে অজানার পথে। নতুন মুখ, অচেনা ভাবনা আর কিছু ঝলমলে অভিজ্ঞতা মানসিক ক্লান্তিকে মুছে এনে দেবে একরকম নবজাগরণ। প্রযুক্তির জগতে কিংবা অনলাইনের পরিসরে মিলতে পারে সম্ভাবনার দ্বার, যেন নতুন আকাশে ওড়ার ডাক।
মীনরা ভীষণ আবেগপ্রবণ ও স্বপ্নচারী। তবে এতে ভয় বা সংকোচের কিছু নেই। বরং এই অনুভূতির গভীরতাই আপনাকে মানুষের না বলা কথাগুলো বুঝতে সাহায্য করবে। সম্পর্কের সুতা যদি আপনার পক্ষ থেকে যত্নে বাঁধা হয়, অনেক জটই খুলে যাবে সহজে। স্বপ্ন দেখতে ভুলবেন না। তবে মনে রাখবেন, বাস্তবতার জমিনেই সে স্বপ্নের শিকড় গাঁথা থাকা চাই। মীনের জন্য এই সপ্তাহ বাস্তবতার জমিনে পা রাখার সময়। নিজের প্রতিভার অনেকটাই তো অপচয় হলো! স্বপ্নের পাশে বাস্তবতাকেও জায়গা দিন এবার...।