ছোট একখানা লবি। একচিলতে জায়গা। থাকে দু-একজনের বসার আয়োজন। ঘর না হয়েও অনায়াসেই আয়েশি সময় যাপনের স্থান হয়ে উঠতে পারে বাড়ির এমন কোনো জায়গা। এসব জায়গা সাজানোর নানা দিক নিয়ে আরএমএ আর্কিটেক্টসের প্রধান স্থপতি রাফিয়া মারিয়াম আহমেদের সঙ্গে কথা বলে লিখেছেন রাফিয়া আলম
নবদম্পতির ছোট্ট সংসারে দুজনের আলাদা করে বসার জায়গা হতে পারে লবি বা এ ধরনের কোনো স্থান। বড় পরিবারেও বাড়ির কোনো একটা কোণে এমন আয়োজন করা যেতে পারে। হতে পারে সেটা বারান্দার কাছাকাছি কোনো জায়গা, অনায়াসে সেখানে আড্ডা দিতে পারেন দুজন মানুষ। সেখানেই হতে পারে চা-কফির আয়োজন।
এই জায়গায় বসার জন্য চেয়ার হওয়া চাই আরামদায়ক। শুধু কাঠ দিয়ে তৈরি করা চেয়ারে তেমন আরাম মিলবে না। তাই ফোম আর কাপড়ের মতো উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছে, এমন চেয়ার বেছে নেওয়া ভালো। আরাম করে বসতে হলে চেয়ারে হাতল থাকাও প্রয়োজন। রাখা যেতে পারে আরামকেদারা। কিংবা এমন চেয়ার, যাতে পিঠ এলিয়ে বসা যায়।
রাখতে পারেন ছোট্ট একখানা টেবিল। আয়েশ করে পা রাখতে হলে ফুট রেস্ট রাখুন চেয়ারের কাছে। আরও রাখুন ঠিকঠাক আলোর ব্যবস্থা। প্রাকৃতিক আলো এলে পরিবেশটা সুন্দর দেখাবে। সুন্দর একখানা ল্যাম্পশেডও রাখতে পারেন। অন্দরের উপযোগী গাছ রাখতে পারেন একপাশে। সতেজ হয়ে উঠবে ওই একচিলতে জায়গা। এই জায়গার জন্য হালকা ধরনের রং বেছে নিতে পারেন, তাতে চোখে আরাম লাগবে।
সদ্য বিবাহিত দম্পতির একে অন্যকে জানার থাকে। নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া তৈরি হওয়ার জন্য বিয়ের প্রথম দিককার সময়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। চেনাজানা থাকলেও ব্যক্তিগত জীবনের অনেক কিছুই বিয়ের আগে থাকে অজানা। একসঙ্গে সময় কাটালে, আড্ডা দিলে তবেই না বোঝা যায় সামনের দিনগুলোকে কীভাবে আরও সুন্দর করে তোলা যায়।
সারা দিনের ক্লান্তি নিয়ে বিকেলে একসঙ্গে চা-কফি বা সন্ধ্যায় নাশতা খাওয়ার জন্য ঘরে এমন আলাদা একটা জায়গা পাওয়া দারুণ ব্যাপার। ছুটির দিন সকালে বসার জন্যও এই জায়গাটা চমৎকার। অবসর সময়ে একা বসে বই পড়া, ডায়েরি লেখা বা এ ধরনের শখের কাজ করার জন্যও জায়গাটা কাজে লাগানো যায়। বাড়িতে এমন একটা জায়গা থাকলে চাইলে পেশাগত কাজের কিছু প্রয়োজনও সেখানে মেটাতে পারবেন। চট করে একটা কাজ করে নেওয়ার জন্য ল্যাপটপ কম্পিউটার নিয়ে বসে পড়তে পারবেন এমন জায়গাতেই।