বারান্দা ছোট হলেও সাজানো সম্ভব

নিকনো উঠান, গাছের ডালে ঝোলানো দোলনা কিংবা বাগান, কোনোটাই এই শহরে ফ্ল্যাট বা অ্যাপার্টমেন্টে নেই। তবে একখণ্ড বারান্দা বা ব্যালকনি নিশ্চয়ই আছে। মুশকিল হচ্ছে, অনেকে ঘরের এই ব্যালকনিকে স্টোরেজে পরিণত করে ফেলেন। তা না করে, বরং সেই ব্যালকনিটাই না হয় সাজিয়ে নিলেন নিজের সাধ্য আর সুযোগমতো। চলুন জেনে নিই, ব্যালকনি সাজানোর বিভিন্ন কৌশল।

ছোট বারান্দায় বসার ব্যবস্থা
ছবি: নকশা

যদি আপনার বসার ঘরের পাশেই থাকে একটা বারান্দা, তবে এর ব্যবহার হতে পারে একটু অন্য রকম। এই ধরুন ভাঁজ করা দরজা দিয়ে বারান্দাটা আলাদা করা থাকতে পারে বসার ঘর থেকে। দরজা সরিয়ে দিলেই বারান্দার ইনফিনিটি ভিউ বসার ঘরেও চলে আসবে। এ ক্ষেত্রে বসার ঘর ছোট মনে হওয়ার সুযোগও থাকবে না।

ব্যালকনি সাজাতে পারেন গাছ দিয়ে। আপনার ব্যালকনিতে ঠিক কতখানি রোদ আসছে, সে অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন ধরনের গাছ রাখতে পারেন। তবে চেষ্টা করুন বারোমাসি ফুল গাছ রাখতে। আর রোদ না পড়লে, সেখানে লাগাতে পারেন বিভিন্ন রকম পাতাবাহার। বারান্দা ছোট হলে গ্রিল থেকে ঝুলিয়ে দিতে পারেন লতানো গাছ। বর্তমানে এ রকম অনেক তাক এবং গাছ ঝোলানোর সরঞ্জাম পাওয়া যাচ্ছে অনলাইনে বিভিন্ন পেজে।

ক্লান্ত দুপুর বা বিকেলের অবসরে বারান্দাতেই মিলতে পারে একটু প্রশান্তি। বারান্দায় কিছু আসবাব রাখতে পারেন। বসার অল্প কিছু ব্যবস্থা। ব্যালকনির আকারের ওপর নির্ভর করে রাখতে পারেন চেয়ার বা টুল। সঙ্গে একটা টি-টেবিল। আবার অতটা জায়গা না থাকলে একটা মাদুর পেতে নিন। সঙ্গে রাখুন কিছু আরামদায়ক কুশন। অনেকেই ইদানীং সবুজ ঘাসের কার্পেট বিছিয়ে নেন পুরো বারান্দায়। এর বাইরে দোলনার ব্যবহার তো হরহামেশাই হয়ে আসছে। বারান্দার আকার বড় হলে দোলনার বদলে চাইলে হ্যামকও লাগাতে পারেন। অবসরের বইপড়া, বিকেলের চা-নাশতার আড্ডা কিংবা বারান্দার এক চিলতে রোদে আরামকেদারায় বসে পা নাচানো—সবটাই হতে পারে।

বারান্দায় থাকুক পছন্দের গাছ

এবারে আসি বারান্দার আলোর ব্যবহারে। বারান্দা সাজাতে হলুদ মরিচ বাতি বা ফেয়ারি লাইট বেশ জনপ্রিয়। এর বাইরেও রাখতে পারেন, কাগজ বা কাঠের ল্যাম্পশেড। সিলিং থেকে ভিন্ন ধরনের বেত বা বাঁশের ঝোলানো ল্যাম্পের ব্যবহারও বাড়ছে ইদানীং। এ ছাড়া বিভিন্ন হ্যান্ডিক্রাফট বা পেইন্টিং দিয়েও সাজিয়ে তুলতে পারেন ঘরের বারান্দা।

লেখক: স্থপতি