ক্যাম্পাস: পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

ছোট ক্যাম্পাস, বড় স্বপ্ন

ছোট ক্যাম্পাস। গায়ে গায়ে লাগানো ভবন। এখনো চলছে নির্মাণযজ্ঞ। নতুন নতুন স্থাপনায় ভরে উঠছে চারপাশ। এর মধ্যেই নানা রঙের ফুল ফুটেছে। দিনে দিনে বড় হচ্ছে চারাগাছগুলো। একটু একটু করে বাড়ছে ক্যাম্পাসের পরিধি। বাড়ছে সম্ভাবনা। বড় বড় স্বপ্ন জাগাতে শুরু করেছেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

২০০৮-২০০৯ শিক্ষাবর্ষে মাত্র দুই শ শিক্ষার্থী নিয়ে অস্থায়ী ক্যাম্পাসে যাত্রা শুরু করে পাবিপ্রবি। ২০১০ সালে পাবনা জেলা শহর থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে রাজাপুর এলাকায় পাবনা-ঢাকা মহাসড়কের পাশে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অধিগ্রহণ করা হয় ৩০ একর জমি। স্থায়ী ঠিকানা পায় পাবিপ্রবি। ২০১৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি নিজস্ব ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় শিক্ষা কার্যক্রম। সেই থেকে একটু একটু করে এগিয়ে চলেছে শিক্ষা, গবেষণা, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক চর্চাসহ নানান কার্যক্রম।

স্বাধীনতা চত্বর মুখর গানে গানে

এখন ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি, বিজ্ঞান, বিজনেস স্টাডিজ, মানবিক ও সমাজবিজ্ঞান এবং জীব ও ভূবিজ্ঞান—এ পাঁচ অনুষদে পড়ানো হচ্ছে ২১টি বিষয়। প্রকৌশলবিদ্যা, বিজ্ঞানচর্চার পাশাপাশি আছে বাংলা সাহিত্য, ইতিহাস বিষয়ে পড়ার সুযোগ। এখানে আছে কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল, তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল, ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, তথ্য ও যোগাযোগ প্রকৌশল, পুরকৌশল ও স্থাপত্যের মতো বিষয়। এ ছাড়া নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা, গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, ফার্মাসি, রসায়ন, পরিসংখ্যান, ব্যবসায় প্রশাসন, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট, অর্থনীতি, বাংলা, সমাজকর্ম, ইংরেজি, লোকপ্রশাসন, ইতিহাস ও বাংলাদেশ স্টাডিজ এবং ভূগোল ও পরিসংখ্যান বিষয়ে পড়ানো হচ্ছে। শিক্ষক আছেন ১৭৮ জন। শিক্ষার্থীর সংখ্যা সাড়ে চার হাজার। দেওয়া হচ্ছে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং, বিএসসি (অনার্স), বিফার্ম (অনার্স), বিআর্ক, বিএসএস (অনার্স), বিএ (অনার্স), বিবিএ, এমবিএ, এমএসসি, এমএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং, এম ইঞ্জিনিয়ারিং, এমফিল ও পিইচডি ডিগ্রি।

ক্যাম্পাসে একদিন

ঘড়ির কাঁটা সবে আটটার ঘর পেরিয়েছে। পুবের আকাশে ঝলমলে সূর্য। ক্যাম্পাসজুড়ে নীরবতা। হর্ন বাজিয়ে একে একে বাসগুলো ক্যাম্পাসে ঢুকতেই নীরবতা ভেঙে খান খান। দলে দলে শিক্ষার্থীরা নামছেন বাস থেকে। প্রধান ফটক দিয়ে একে একে আসছে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বহনকারী যানবাহন। একটু একটু করে জাগতে শুরু করল ক্যাম্পাস। কিছুক্ষণের মধ্যেই হল থেকে বেরিয়ে এলেন আবাসিক শিক্ষার্থীরা। আড়মোড়া ভেঙে জেগে উঠল পুরো ক্যাম্পাস।

দলে দলে ছুটছে সবাই। কেউ ক্লাসে, কেউবা আড্ডায়। মূল ফটক দিয়ে ক্যাম্পাসে ঢুকলেই চোখে পড়ে নির্মাণযজ্ঞ। ফটক থেকে শুরু করে অন্দরমহল—সবখানেই চলছে কাজ। ইট-পাথরে বিবর্ণ চারপাশ। একটু এগোতেই অন্য দৃশ্য। প্রশাসনিক ভবনের সামনে রোপণ করা হয়েছে বাহারি ফুলের গাছ। এরপরই স্বাধীনতা চত্বর ও শহীদ মিনার। একটু ডানে হাঁটলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী স্মারক ম্যুরাল। পাশেই স্বচ্ছ জলের লেক ও কবি বন্দে আলী মিয়া মুক্তমঞ্চ। নানান রঙের ফুলে পুরো এলাকাই বর্ণিল।

পেছনে নতুন ভবন, মাঠ ঘাসে সবুজ হওয়ার আগেই জমেছে ফুটবল ম্যাচ

লেকের ঘাট, মুক্তমঞ্চ প্রিয় আড্ডাস্থল হয়ে উঠেছে শিক্ষার্থীদের কাছে। কেউ কেউ দল বেঁধে বই–খাতায় মন দিয়েছেন, কেউবা স্রেফ গল্প-আড্ডায় মশগুল। লেকের পাড়ে বসেই কথা হলো কয়েক শিক্ষার্থীর সঙ্গে।

ক্যাম্পাসের যেকোনো অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করে শিক্ষার্থীদের মাতিয়ে তোলেন বাংলা বিভাগের রওনক জাহান। কদিন আগেই বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের অনুষ্ঠানে নেচেছেন তিনি। হয়ে উঠেছেন ক্যাম্পাসের প্রিয়মুখ। চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে পাবনায় পড়তে এলেও ক্যাম্পাসটা খুব আপন হয়ে গেছে, বললেন রওনক। ভবিষ্যতে নাচ নিয়ে আরও এগিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন দেখেন।

নওগাঁর প্রিয়া দাস অবশ্য পুলিশ হতে চান। মানুষের পাশে থাকতে চান, তাদের সেবা করতে চান। স্বপ্নের দুটি গল্প শোনার পরই স্বপ্নভঙ্গের গল্প শোনালেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফাতিহাতুল কুবরা। ইচ্ছা ছিল মেডিকেলে পড়ার কিন্তু সুযোগ হয়নি। তাই ইংরেজি সাহিত্যে ভর্তি হয়েছেন। নতুন করে স্বপ্ন বুনছেন প্রশাসন ক্যাডারে চাকরি করার।

রাজবাড়ীর আবির হাসান পড়েন অর্থনীতি বিষয়ে, দ্বিতীয় বর্ষে। খালিদ হোসেন বাংলায়, তৃতীয় বর্ষে। টাঙ্গাইলের নাজমুল ইসলাম ফার্মাসিতে স্নাতকোত্তর পড়ছেন। আর রাজবাড়ীর টিপু কুমার গুপ্ত পড়েন পরিসংখ্যান চতুর্থ বর্ষে। সবারই ইচ্ছা—ভালো মানুষ হওয়া। স্বপ্ন ঘুষ-দুর্নীতিমুক্ত কর্মস্থল গড়া।

মুক্তমঞ্চে চলছে নাটক

ঢাকার উত্তরা থেকে পাবনায় পড়তে এসেছেন ইংরেজি প্রথম বর্ষের ওয়াহিদুজ্জামান। প্রথম প্রথম মানিয়ে নিতে কষ্ট হলেও এখন বেশ মন বসে গেছে। ছোট পরিসরে বড় আশায় বুক বেঁধেছেন। জীবনের প্রথম ধাপে একটু পা পিছলে গেলেও ভবিষ্যতে ভালো কিছু করার স্বপ্ন দেখছেন তিনি।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গল্প-কথায় দুপুর গড়িয়ে বিকেল। ততক্ষণে ক্লাস শেষ করে বের হচ্ছেন অনেকে। বেলা দুইটা থেকে আবার বাস ছুটবে বিভিন্ন গন্তব্যে। এবার ক্যাম্পাস ছেড়ে ফিরতে শুরু করে সবাই। আবার নীরবতা নেমে আসে ক্যাম্পাসে।

সংগঠন ও ক্লাব

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিধি ছোট হলেও শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও সাংগঠনিক তৎপরতা ইতিমধ্যেই চোখে পড়ার মতো অবস্থায় পৌঁছেছে। জেলাভিত্তিক প্রায় ২৫টি সংগঠন নিজেরা নিজেদের পাশে অবস্থান করছে, অংশ নিচ্ছে সামাজিক নানা কর্মকাণ্ডে। এ ছাড়া নাট্য সংগঠন ‘অনিরুদ্ধ’, আবৃত্তি সংগঠন ‘কণ্ঠস্বর’, নৃত্য সংগঠন ‘ডান্স ক্লাব’, ডিবেটিং সোসাইটি, স্কিল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি, স্বেচ্ছায় রক্তদাতা সংগঠন ‘হেল্প’ ও ‘জোনাকি’, সাইক্লিস্ট ক্লাব, ক্রিকেট ক্লাব, প্রথম আলো বন্ধুসভা, প্রোগ্রামিং ক্লাব এবং ফটোগ্রাফি সোসাইটিসহ বেশ কিছু সংগঠন নানা কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই তাদের অবস্থান জানান দিয়েছে।

এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়টিতে আছে আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট। ছাপা বই ও ই-বুক মিলে ৫০ হাজার বইয়ের সমৃদ্ধ এক আধুনিক লাইব্রেরিও আছে।

ক্যাম্পাসে একদল শিক্ষার্থী

সাফল্য ও সম্ভাবনা

তথ্য ও যোগাযোগ প্রকৌশল বিভাগের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী তরুণ দেবনাথের ‘স্মার্ট হুইলচেয়ার’ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে উদ্ভাবনযাত্রার শুরু। মুঠোফোন নিয়ন্ত্রিত চেয়ারটি খুব সহজেই প্রতিবন্ধীদের বহন ও পথচলায় সহযোগিতা করে। আরও কিছু উদ্ভাবন নিয়ে কাজ করছেন শিক্ষার্থীরা। ফার্মাসি বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ গ্রহণ ও বার্ধক্যজনিত স্নায়ুক্ষয় রোধ, ডায়াবেটিস ও বস্তিবাসীদের ওপর রাসায়নিকের প্রভাব রোধ নিয়ে গবেষণা করছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগ শুধু পাবনা জেলার জন্যই ২৮টি প্রকল্প তৈরি করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য তাঁতিদের জন্য বসতবাড়ি, পাবনা জেলখানা, বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি নায়িকা সুচিত্রা সেন ও কবি বন্দে আলী মিয়া সংগ্রহশালা।

স্থাপত্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বিজয় দাশগুপ্ত জানান, বিভিন্ন প্রকল্প তৈরির পাশাপাশি তাঁদের শিক্ষার্থীরা যানজটমুক্ত শহর, ভূমিকম্প প্রতিরোধী বাড়ি, ভবনের স্থায়িত্ব শেষ হওয়ার পর করণীয়সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষণা করছেন। নতুন আরও কিছু প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল, ইলেকট্রনিকস ও টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ।

এই বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে নিজস্ব পরিবহন

তড়িৎ ও ইলেকট্রিক্যাল প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী রাফসান জামি সম্প্রতি এনার্জেটিক ফিউচার লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড জয় করেছেন। দুজন শিক্ষার্থী অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রে গবেষণারত। দেশের তৃতীয় গবেষক হিসেবে ইন্টারন্যাশনাল ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউটে কাজ করছেন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রথম ব্যাচের ছাত্র মোহাম্মদ জুলহাস। বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনে কাজ করছেন সিএসই বিভাগের পঞ্চম ব্যাচের শিক্ষার্থী এস এম আবু রায়হান। আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা অ্যালপার ডগার (এডি) সায়েন্টিফিক ইনডেক্স র‌্যাঙ্কিং ২০২২-এ স্থান পেয়েছেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬ জন গবেষক। তাঁদের মধ্যে ২৫ জন শিক্ষক ও একজন শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়টির ৪৪ জন শিক্ষক দেশ ও দেশের বাইরে থেকে পিএইচডি অর্জন করেছেন। এ ছাড়া বহু শিক্ষার্থী দেশ–বিদেশে বিভিন্ন সরকারি–বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন।

তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান দিলীপ কুমার সরকার জানান, নতুন বিশ্ববিদ্যালয়, তাই অনেক সীমাবদ্ধতাই ছিল। ফলে অনেক কিছুই এত দিন পূরণ হয়নি। তবে সীমাবদ্ধতা দূর হয়ে উঁকি দিচ্ছে নতুন নতুন সম্ভাবনা।

মাত্র ৩০ একর জমিতে গড়া বিশ্ববিদ্যালয়টির গাদাগাদি অবস্থা শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হতাশ করে। ক্যাম্পাসের পরিধি বাড়ানোটা এখন তাই সময়ের দাবি। গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি করতে প্রয়োজন যন্ত্রপাতি। এগুলো করা গেলে শিক্ষার্থীরা দেশ–বিদেশে আরও সুনাম বয়ে আনতে পারবেন বলে মনে করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মনোহর পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয় গড়তে চান প্রথম নারী উপাচার্য হাফিজা খাতুন

গত ১৩ এপ্রিল পাবিপ্রবির প্রথম নারী উপাচার্য হিসেবে যোগ দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক হাফিজা খাতুন। দায়িত্ব গ্রহণের পরই বিশ্ববিদ্যালয়কে আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন।

উপাচার্য বলেন, ‘শিক্ষার মান বাড়াতে হলে আমাদের অবশ্যই পরিধি বাড়াতে হবে। আধুনিক ও গুণগত মানসম্পন্ন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কমপক্ষে ১০০ থেকে ১৫০ একর জায়গা দরকার। আমরা সে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের সুযোগ-সুবিধা সীমিত। সেটাকে আরও বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। শিক্ষকসংকট আছে, ল্যাব সুবিধাও অপ্রতুল। একটি খেলার মাঠ ছাড়া উন্মুক্ত কোনো জায়গাই নেই। এসব প্রতিকূলতা কাটিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে একটি আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের কাজ চলছে। আমাদের সাধারণ লক্ষ্য হচ্ছে, একটি ভালো একাডেমিক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উচ্চশিক্ষার প্রসার। সুনির্দিষ্ট মিশন হলো, প্রয়োজনীয় ও আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা নিশ্চিত করা। জ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর সমাজ গঠনের জন্য দক্ষ ও মানসম্মত জনশক্তি তৈরি করা। উচ্চ মানের শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করা। গবেষণার মাধ্যমে নতুন নতুন উদ্ভাবন আমাদের অন্যতম লক্ষ্য। এসব মাথায় রেখেই আমরা কাজ করছি। আশা করি, খুব শিগগির সব লক্ষ্য অর্জনের মধ্য দিয়ে দেশসেরা হবে এই বিশ্ববিদ্যালয়।’

উপাচার্য হাফিজা খাতুন

একনজরে

প্রতিষ্ঠা: ৫ জুন ২০০৮

আয়তন: ৩০ একর

অনুষদ: ৫টি

বিভাগ: ২১টি

শিক্ষক: ১৭৮ জন

শিক্ষার্থী: ৪,৫০০ জন

হল: ৪টি

উপাচার্য: হাফিজা খাতুন