মাসের শুরুতে বেতন পেলে পকেট থাকে গরম, মন থাকে ফুরফুরে। কিন্তু মাস শেষে? অনেকের বেলায় ঠিক এর বিপরীত চিত্র—পকেট খালি, মনমেজাজও চড়া। নিত্যপণ্যের দাম, প্রয়োজনীয় এবং অপ্রয়োজনীয় খরচসহ নানা কারণেই মাস শেষে হাতে কিছুই থাকে না কারও কারও। তবে একটু সচেতন হলে এই পরিস্থিতি থেকে বের হওয়া সম্ভব। চলুন জেনে নিই কিছু সহজ ও বাস্তব পরামর্শ, যেসব মেনে চললে মাস শেষে কিছু টাকা হাতে রাখা সম্ভব হবে।
প্রতিদিন কত টাকা কোথায় খরচ হচ্ছে, সেটার হিসাব না থাকলে কোথায় টাকা অপচয় হচ্ছে, তা-ও জানা যাবে না। খাতা বা মুঠোফোনের নোট অ্যাপে খরচ লেখার অভ্যাস শুরু করুন। মাস শেষে কোন কোন খরচ ছিল অপ্রয়োজনীয়, তা খুঁজে বের করা সহজ হবে। এটা করলে পরবর্তী মাস থেকে আপনি হয়তো আরও সাবধানী হয়ে যাবেন।
বেতন হাতে পাওয়ার পরই খরচের পরিকল্পনা করে নিন। বাসাভাড়া, খাবার, যাতায়াত, বিদ্যুৎ, পানি, জরুরি খরচ ইত্যাদি মিলিয়ে মোট বাজেট তৈরি করুন। তারপর হিসাব করুন হাতে কত টাকা রাখলে চলতে পারবেন।
সামান্য অজুহাতে চট করে রাইড শেয়ার, ঝটপট ফুড ডেলিভারি বা অনলাইন অর্ডার করে ফেলেন? এসব খরচ ছোট মনে হলেও মাস শেষে বড় অঙ্কের টাকা চলে যায় এসবের পেছনেই। তাই পরিকল্পনা ছাড়া এমন খরচ বন্ধ করুন।
মাসের শুরুতেই আপনার আয় থেকে একটি নির্দিষ্ট অংশ সরিয়ে সঞ্চয় হিসেবে রাখুন। পাশাপাশি তা আলাদা একটি খাতায় টুকেও রাখুন। মনে রাখবেন, ‘যা বাঁচে তা জমাব’ না বলে বরং ‘আগে জমাব, পরে খরচ করব’ এই নীতি অনুসরণ করাই ভালো।
‘অফার শেষ হওয়ার আগে কিনুন’—এমন প্রলোভনে পড়ে অপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনা থেকে বিরত থাকুন। আপনার সত্যিই কোনো জিনিস লাগছে কি না, সেটা বুঝে তারপর কেনাকাটা করুন।
মাসে অন্তত এক দিন এক টাকাও খরচ করবেন না। পরিবারের সঙ্গে বিনা খরচে সময় কাটান। এমন দিনে বই পড়ুন, হাঁটতে বের হন, বাসায় বসে টিভিতে কিছু দেখুন, ঘরের খাবার খান, গাছপালার যত্ন নিন, বাসার ছোটদের সঙ্গে খেলুন। এমন অভ্যাস ধীরে ধীরে খরচ কমাতে সহায়ক হবে।
কোনো মাসে পকেটে টান পড়লে সহজেই ধার নেন? বারবার ধার নেওয়ার অভ্যাস মাস শেষে ঘাটতি আরও বাড়িয়ে দেয়; বরং কিছু খরচ কাটছাঁট করুন এবং ধার নেওয়া এড়িয়ে চলুন।
সূত্র: ক্যাশ কোর্স