তাসনিয়া ফারিণ কেন চা–কফি খান না

চা-কফি না খেয়েই দিব্যি রাতভর শুটিং চালিয়ে যেতে পারেন ফারিণ
তাসনিয়া ফারিণ

মিরপুরের একটি রেস্তোরাঁয় সকাল থেকেই চলছিল তাসণিয়া ফারিণের ফটোশুট। ‘প্রথম আলো’র লাইফস্টাইল ক্রোড়পত্র ‘নকশা’র জন্য একটি বিশেষ শুট করলেন অভিনেত্রী। গত সোমবার সকালে স্পটে আসতেই তাঁকে চা–কফি অফার করা হলো। বিনয়ের সঙ্গে না করলেন তিনি।

সকাল, দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে যায়। দীর্ঘ সময় ধরে চলল শুটিং। শুটিংয়ের পর ফারিণের কাছে আবারও জানতে চাইলাম, চা বা কফি কি দিতে বলব? তিনি বললেন, কোনোটিই লাগবে না। তখনই জানালেন একটা মজার তথ্য। জীবনে কখনো চা-কফি খাননি। শুনে কিছুটা অবাকই হলাম। ক্লান্ত লাগছে কি না জানতে চাইলে ফারিণ বললেন, ‘মানুষ যেমন বলে যে চা-কফি না খেলে দিনটাই ভালো যায় না, আমার ক্ষেত্রে কখনো তা হয় না। বরং আমি বরাবরই নিজেকে এমনভাবে তৈরি করেছি যেন কোনো খাবার বা কিছুর ওপর বিশেষ অভ্যস্ততা আমার জীবনের চলার পথে বাধা না হয়ে দাঁড়ায়।’

অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ জীবনে কখনো চা-কফি খাননি

ছোটবেলা থেকেই নিজেকে আত্মনির্ভরশীল হিসেবে গড়ে তুলেছেন ফারিণ। পড়াশোনায় যেমন ভালো ছিলেন, তেমনি মায়ের ইচ্ছা পূরণ করতে এক্সট্রা কারিকুলার কার্যক্রমেও ছিলেন সমান পারদর্শী। ‘যখন যা–ই করতাম, মন দিয়ে করার চেষ্টা করতাম,’ বললেন ফারিণ। ‘আমাদের পেশাগত জীবন অনেক ব্যস্ত। সব সময়ই কাজের এত চাপে থাকি, দেখা যায় অন্যরা সবাই সেই ক্লান্তি কাটাতে কাপের পর কাপ চা খাচ্ছে। রাতে টানা শুটিং থাকলে তো কথাই নেই। প্রত্যেকেরই ঘুম আসে আর দেখা যায়, চা-কফি খেয়ে টানা রাত জাগছে সবাই।’

কোনো কিছুর ওপর নির্ভরশীল হয়ে বাঁচতে চান না ফারিণ

কিন্তু চা-কফি না খেয়েই দিব্যি রাতভর শুটিং চালিয়ে যেতে পারেন ফারিণ। সেটেও বারবার তাঁকে চা বা কফি খাওয়ার কথা জিজ্ঞেস করার পরও যখন না করেন, তখন সবাই কিছুটা অবাকই হন। কোনো কিছুর ওপর নির্ভরশীল হয়ে বাঁচতে চান না ফারিণ। সঙ্গে এটাও বললেন, ‘আমাকে যদি কোনো দ্বীপে পাঠিয়ে দেওয়া হয়, তাহলেও আমি বাঁচতে পারব, ন্যূনতম বেঁচে থাকার মতো খাবারটুকু হলেই চলবে।’

অনেক মানুষকেই ফারিণ দেখেছেন, চা বা কফি না পেলে তাঁদের মেজাজ বিগড়ে যায়। ফারিণের ক্ষেত্রে কখনোই তা হয় না।

নাটক বা বিজ্ঞাপনে যদি চা বা কফি খাওয়ার কোনো দৃশ্য থাকে তখন কী করেন ফারিণ? বললেন, ‘বেশির ভাগ সময় খাওয়ার অভিনয় করি। আর যদি কোনো দৃশ্যে চা বা কফি খেতেই হয়, তখন কাছাকাছি রঙের কোনো পানীয় দিতে বলি।’