ঈদে কেমন হতে পারে তিন বেলার খাবার টেবিলের সাজ

এত কাজের মধ্যেও সাজানো খাবার টেবিলে বসলে নিমেষেই সুখের অনুভূতি মিলবে
ছবি: কবির হোসেন

কোন বেলায় খাবার পরিবেশন করছেন, সেটা ভাবনায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। সম্ভব হলে এক দিন আগেই দরকারি বাসনপত্র নামিয়ে পরিষ্কার করে রাখুন। কারণ, পবিত্র ঈদুল আজহায় কাজকর্ম একটু বেশিই থাকে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সময়টা তো মাংস কাটাকাটিতেই চলে যায়। এত কাজের মধ্যেও সাজানো খাবার টেবিলে বসলে নিমেষেই সুখের অনুভূতি মিলবে। ঈদের দিন তিন বেলার টেবিল সাজিয়ে দেখালেন আজিজা আহমেদ

সকালে টেবিলে থাকতে পারে তাজা ফুল

সকালে শুভ্র সাজে

সকালে টেবিলের ওপরের কাপড়ের জন্য বেছে নিন আরামদায়ক রং। বেছে নিতে পারেন সাদা ধবধবে কুরুশের কাজ করা টেবিল ক্লথ। ছবির টেবিল ক্লথটি অনেকটা প্রজন্ম সূত্রে পাওয়া। নিশ্চুপ, তবে অভিজাত কারুকাজ। সকালবেলা নাশতায় চেনা খাবারটাই একটু অচেনাভাবে রাখতে পারেন। পাউরুটি বা পরোটা প্রতিদিন যেভাবে দেন, সেভাবে না দিয়ে বেছে নিতে পারেন কাঠের বোর্ড। টেবিল ক্লথটা যেহেতু সাদামাটা, প্লেটগুলোতে থাকুক নকশার কাজ।

একেক নকশা আর রঙের হতে পারে একেকটা প্লেট। এতে টেবিলে ভিন্নতা আসবে। সকালে টেবিলে থাকতে পারে তাজা ফুল। মাঝখানে বড় প্লেটে রাখতে পারেন তাজা ফলমূল। আজকাল কাজের সুবিধার্থে অনেকেই কাপড়ের জায়গায় কাগজের ন্যাপকিন বেছে নিচ্ছেন। ঈদ যেহেতু, নকশা করা ন্যাপকিন ব্যবহার করতে পারেন।

ব্লকের কাজ করা গাঢ় রঙের টেবিল ক্লথ বিছাতে পারেন

 রংচঙে দুপুরে

ঈদুল আজহার দিন বেশির ভাগ বাড়িতে দুপুরের খাবার খেতে কিছুটা দেরি হয়ে যায়, তাই খাবার টেবিলে বসে যেন কেউ বিরক্ত না হয়ে পড়ে। টেবিলের সেন্টার পয়েন্টে মূল খাবারগুলো রাখার চেষ্টা করুন। দুপুরের খাবার টেবিলে ফুলদানির পাশাপাশি জ্বালিয়ে দিন কয়েকটি সুগন্ধি মোমবাতি।

ব্লকের কাজ করা গাঢ় রঙের টেবিল ক্লথ বিছাতে পারেন। সিরামিকের প্লেট আর বাসন বেছে নিন। একেক প্লেটের ওপর রাখতে পারেন একেক রঙের ন্যাপকিন। গ্লাসগুলোও ভিন্ন ভিন্ন রং হতে পারে। মানে রং মিলিয়ে পুরো সেটের বদলে দুপুরে মাল্টি কালারের ব্যবহার করতে পারেন।

মায়াবী এক পরিবেশ তৈরি করতে মোমবাতির জুড়ি মেলা ভার

মোমের মায়াবী আলোয়

রাতের খাবার টেবিলে একটু জমকালো আমেজ থাকলে ভালো। এই সময়ে টেবিলেই যেন খাওয়া আর আড্ডা জমে ওঠে, সেই ভাবনা রাখুন। টেবিল ক্লথটা এই বেলায় থাকুক নকশা করা ও রঙিন। খাবার পরিবেশনের বাটি আর প্লেটগুলো হতে পারে সিরামিকের।

নীল, সবুজ, চাপা সাদা—এই তিনটি রং ঘুরে বেড়াক থালা থেকে বাটিতে, পানির জগ থেকে মোমবাতিতে। মায়াবী এক পরিবেশ তৈরি করতে মোমবাতির জুড়ি মেলা ভার। পানীয় পরিবেশন করুন নতুন ধরনের কোনো কাচের বোতলে।