Thank you for trying Sticky AMP!!

রোজার পরে হঠাৎ ভারী খাবার খেলে কী হতে পারে?

একসঙ্গে অনেক বেশি খাবার না খেয়ে ভালো করে চিবিয়ে অল্প অল্প করে খাবেন।

এক মাস রোজা রাখার পর হঠাৎ ভারী খাবার খেলে অনেকেরই বদহজম হয়। কারও পেটে গ্যাস হতে পারে, কারও ডায়রিয়া, আবার কারও কোষ্ঠকাঠিন্য। আসুন জেনে নিই এসব উপসর্গ থেকে কীভাবে মুক্ত থাকা যাবে।

বদহজম থেকে দূরে থাকতে
১. একসঙ্গে অনেক বেশি খাবার খাবেন না। ভালো করে চিবিয়ে অল্প অল্প করে খাবেন।
২. খেতে বসার আধঘণ্টা আগে বা আধঘণ্টা পরে পানি খাবেন। খাবারের মধ্যে অতিরিক্ত পানি খাবেন না।
৩. গরমকালে খাবার বেশিক্ষণ বাইরে রাখবেন না। সম্ভব হলে খাবার ফ্রিজে রাখুন।
৪. খাদ্যতালিকায় সহজপাচ্য খাবার রাখুন।
৫. খালি পেটে চা বা ফল না খাওয়াই ভালো। ফুলকপি, বাঁধাকপি, ভুট্টা, কর্নফ্লেকস খেলে অনেকের হজমের সমস্যা হতে পারে।
৬. খাওয়ার পরপর শুয়ে পড়লে খাবার হজমে অসুবিধা হয়, এদিকে খেয়াল রাখবেন। রাতের খাবার আটটার মধ্যে সেরে ফেলুন।
৭. ভারী খাবারের শেষে নিয়মিত কিছুক্ষণ হাঁটার অভ্যাস করুন। হাঁটা শেষ করে ১-২ ঘণ্টার মধ্যে শুয়ে পড়ুন। ভারী খাবারের পর বাসায় তৈরি বোরহানি বা জিরাপানি খেতে পারেন।

বদহজম হলে কী করবেন?
যদি বদহজম হয়, অ্যাসিডিটি বা গ্যাস হয়, একটু আরাম দিতে পারে জিরাপানি বা টক দই। হলুদ গুলিয়ে খেলে বা আদা-চায়েও এই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে। সকালে খালি পেটে বের হওয়ার অভ্যাস পরিত্যাগ করুন। অ্যাসিডিটির ওষুধে বদহজম নিরাময় হতে পারে, তবে অনেক দিন ধরে এ ধরনের ওষুধ খাওয়া ঠিক নয়। যদি ডায়রিয়া বা বারবার টয়লেট হয়, তাহলে স্যালাইন ও জিংক খেতে হবে। সেই সঙ্গে দুধ ও শাক খাওয়া বাদ দিতে হবে। কাঁচকলা এ ক্ষেত্রে উপকারী। কোন কোন ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক লাগতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে ফাইবারযুক্ত খাবার খেতে হবে।

হতে পারে ফুডপয়জনিং
যদি ফুডপয়জনিং হয়, তাহলে বমি ও ডায়রিয়ার সঙ্গে খাবারটা বেরিয়ে যাওয়ার পর রোগী সুস্থ বোধ করেন। এই অবস্থায় প্রচুর পানি ও খাবার স্যালাইন খাবেন। প্রয়োজনে শিরায় স্যালাইন দেওয়া লাগতে পারে। কোন সংক্রমণ থাকলে অ্যান্টিবায়োটিক লাগতে পারে। সহজে নিরাময় না হলে অতিসত্বর একজন ডাক্তারের সঙ্গে দেখা করে পরামর্শ নিন। বদহজম মানেই খাবারের সমস্যা নয়। অগ্ন্যাশয়ের কোনো সমস্যার কারণেও হতে পারে বদহজম। পিত্তথলির সমস্যায়ও বারবার বদহজম, পেটব্যথা ইত্যাদি হয়। আবার দীর্ঘদিন বদহজম বা ডায়রিয়ার মতো উপসর্গ, থাইরয়েড হরমোনের আধিক্যর কারণেও হতে পারে। তাই দরকার হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
 
ডা. রোজানা রউফ, অ্যাসোসিয়েট কনসালট্যান্ট, মেডিসিন বিভাগ, স্কয়ার হাসপাতাল