পাঠকের সুখ–দুঃখ, হাসি–আনন্দ, পছন্দ, ভালোলাগা, ভালোবাসাসহ যে কোনো না বলা কথা শুনতে চায় মনের বাক্স। প্রতি সপ্তাহে পাঠকের পাঠানো সেসব লেখা থেকে নির্বাচিত কিছু লেখা আজ প্রকাশিত হলো এখানে
এভাবে তো চাইনি, যেভাবে দালান থাকে খুব কাছাকাছি। প্রণয়, পূর্ণতার সহজ সহজ বুঝের মধ্যেও অবুঝ আমি। মূল্যহীন বেওয়ারিশ অনুভূতি কড়া নাড়ে তোমার দুয়ারে। এক আকাশ সমান অযোগ্যতাকে পূর্ণতায় ভরিয়ে দিয়েছ তুমি। ভালোবাসা বলেকয়ে আসে না, হঠাৎ একটা ঝোড়ো হাওয়ার মতো এসে মনে ঝাঁকা দিয়ে যায়।
ভালোবাসা কী অদ্ভুত তাই না! দমকা হাওয়ার মতো এসে দুমড়েমুচড়ে মন ভেঙে দিয়ে চলে যায়। তবু মানুষ ভালোবাসে। আশায় বাঁচে। আসলে তোমাকে আমার অনুভূতি বলে বোঝাতে পারব না। অনেকবার লিখতে চেষ্টা করেছি, কিন্তু কোনো শব্দ খুঁজে পাই না। শব্দহীনতা আমাকে গ্রাস করে। তাই সহজে বলে ফেলি ভালোবাসি।
ইচ্ছায়–অনিচ্ছায় আমাদের মধ্যে অনেকবার দূরত্ব বেড়েছে। প্রতিবারই অনুভব করেছি তোমাকে আমার কতটুকু প্রয়োজন। তোমাকে ছাড়া আমার চলবে না। দিন শেষে তোমাকেই লাগবে। কেমন যেন একটা মায়া কাজ করে তোমার জন্য। দূরত্বের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মায়া বাড়ে। এ জন্যই মায়াবতী বলি তোমাকে।
রিয়াদ হোসেন, নারায়ণগঞ্জ
প্রিয়তম নিরব, তোমার ফারজানা বলছি। হ্যাঁ, শুধু তোমার। অনেক মনে পড়ে রিকশায় বসে তোমার কাঁধে মাথা দিয়ে শহর ঘোরার কথা, তোমার হাতে খাওয়ার কথা। তোমাকে অনেক ভালোবাসি। তোমাকে নিজের করে পাওয়ার বড় আশা। পেলে তোমায় লুকিয়ে রাখব আমার মনের বক্সে। শুধু চিরতরে তুমি আমার হয়ে যাও।
ফারজানা, খুলনা
আমি অধুনার একজন নিয়মিত পাঠক। অনেকের মনের কথা পড়ি। ইচ্ছা করে নিজের মনের কথা বলতে। তাই আজ মনের সব কথা বলছি। আমি তোমাকে ভালোবাসি। তুমি মনে কর আমি তোমার মনের কথা বুঝতে পারি না। কিন্তু আমি তোমার চোখের দিকে তাকালে সব বুঝতে পারি। তবে এ চোখের চাহনি সংক্ষিপ্ত। আমাদের এ সম্পর্ক কখনো গড়ার নয়। তবু আমি তোমাকে আমার মনের কথা বলাম। এটাই অনেক আমার কাছে।
পুষ্প, রংপুর
তোমাকে প্রিয় অধুনাতে লিখেছিলাম ২১ অক্টোবর ২০২০ সালে। আজ ঠিক ১১ মাস ২৫ দিন পর আবার লিখছি। লেখা প্রকাশ হওয়ার সময় হয়তো এক বছর পূর্ণ হয়ে যাবে। এই এক বছরে অনেক ঘটনা প্রবাহিত হয়েছে, কিন্তু তোমার প্রতি আমার ভালোবাসা কেবলই বেড়েছে। শত অবহেলা, অপমানেও তোমাকে ভুলিতে পারিনি। ঠিক কতটুকু ভালোবাসলে তোমাকে পাব বলতে পারো। আর কতটুকু অপেক্ষার পর ফিরে আসবে? এ অপেক্ষার যাতনা যে কী তীব্র, তোমাকে কীভাবে বোঝাই। তোমাকে দেখার অসুখ আমাকে পেয়ে বসেছে। একবার কি দেখা দেবে? ভালো না হয় না-ই বাসলে, একটু জিজ্ঞেস করতে তো পারো, ঠিকঠাক ঘুম হচ্ছে কি না। প্রতিদিন অন্যের প্রোফাইল থেকে তোমায় দেখে সাধ মেটে বলো! হঠাৎ করে একদিন ফোন দিয়ে তো বলতে পারো, এটা আমার নম্বর, অন্য নম্বর থেকে আর ফোন দেবে না।
একটি গানের লাইন দিয়ে শেষ করতে চাই, ‘ডুবে ডুবে ভালোবাসি, তুমি না বাসলেও আমি বাসি।’
নাইমুল হাসান, ঢাকা কলেজ
কেমন আছ প্রিয়? আশা করি ঈশ্বরের কৃপায় ভালো আছ। জীবনের কতটা সময় তোমার আপন মানুষ ছিলাম জানি না। সত্যিই কি আমায় ভালোবেসেছিলে? যাহোক, তোমায় কিছুদিনের জন্য আপন করে পেয়েছি এটাই–বা কম কিসে। স্বপ্নের পরির ভালোবাসা পাওয়া অনেক কিছু। যাহোক জীবনের দীর্ঘ সময় একসঙ্গে পূজা করছিলাম। এবার আমি ছিলাম না। একবারও কি মনে পড়েছে আমায়? আমার অনুপস্থিতি অনুভব করেছ কি?
সাগর রায়, ঢাকা
অধুনা, প্রথম আলো, প্রগতি ইনস্যুরেন্স ভবন, ২০–২১ কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫। ই-মেইল: adhuna@prothomalo.com, ফেসবুক: facebook.com/adhuna.PA খামের ওপর ও ই-মেইলের subject–এ লিখুন ‘মনের বাক্স’