মার্কিন সম্পর্কবিষয়ক কোচ, লেখক, ইনফ্লুয়েন্সার ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর জিলিয়ান টুরেকি। ইনস্টাগ্রামে তাঁর অনুসারীর সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ৩৫ লাখ। প্রায় দুই দশক ধরে তিনি রিলেশনশিপ কোচ হিসেবে কাজ করছেন। ‘জিলিয়ান অন লাভ’ পডকাস্টও বেশ জনপ্রিয়। সম্প্রতি জিলিয়ান তাঁর ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্টের মাধ্যমে জানিয়েছেন, ২০২৬ সালে সম্পর্কে কোন বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দিতেই হবে।
জিলিয়ান বলেন, ‘সম্পর্কে দায়িত্ব নিন। নেতিবাচক কিছু অনুমান করে নেওয়ার আগেই অপর পক্ষকে প্রশ্ন করুন বা খুলে বলুন। সঙ্গীকে এমনভাবে ভালোবাসুন যাতে নিরাপত্তা, আস্থা ও গভীর যোগাযোগের অনুভূতি তৈরি হয়।’
চট করে জেনে নেওয়া যাক, ২০২৬ সালে সম্পর্কে যে পাঁচ ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিতেই হবে।
১. একসঙ্গে দীর্ঘপথ হাঁটুন
এই ছোট্ট একটা অভ্যাস সম্পর্ককে স্বাস্থ্যকর রাখতে খুবই সাহায্য করবে। সপ্তাহে ৪ দিন ৮ হাজার কদম হাঁটুন একসঙ্গে। এই একটি অভ্যাস সম্পর্কে ছন্দ বজায় রাখতে সাহায্য করবে। একসঙ্গে জিমে যাওয়া, ঘুরতে যাওয়া, নিয়মিত ব্যাডমিন্টন বা দাবা খেলা, সপ্তাহান্তে একসঙ্গে সিনেমা বা সিরিজ দেখাও সম্পর্কের স্পার্ক ধরে রাখতে সহায়ক।
২. বিয়ের পরও ‘ডেট করতে’ ভুলবেন না
সম্পর্ক যত বছরেরই হোক না কেন, একে অন্যকে ডেট করা ভুলবেন না। সেজেগুজে বাইরে ডিনার করুন। বারান্দায় কফি হাতে বসুন। নতুন প্রেমের দিনগুলোর মতো মাঝেমধ্যে কেবল গল্প করেই কাটিয়ে দিন ছুটির অবসর।
৩. সঙ্গীর কথা শুনুন
এর প্রথম শর্ত হচ্ছে সঙ্গীর সঙ্গে লম্বা কথোপকথনে যান। কেবল ‘কেমন আছ? কী খেয়েছ?’ এ রকম সরল প্রশ্নের বাইরে সঙ্গীর কথা মন দিয়ে শুনুন। তাঁর সংকট, পরিকল্পনা, অতীতের কোনো ট্রমা বা চলমান এমন কোনো অবস্থা নিয়ে সঙ্গী বিপন্ন বোধ করছে বা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে কি না, জানুন। ২০২৬ সালে সম্পর্কে সবচেয়ে বড় চাহিদা হলো ‘আবেগপ্রবণ সহজলভ্যতা’। এ ক্ষেত্রে সঙ্গীর কথা মন দিয়ে শোনা সবচেয়ে জরুরি।
৪. সুস্থ সীমারেখা
ভালোবাসা মানে কেবলই একে অপরের ওপর নির্ভরশীল হওয়া নয়। সেই সঙ্গে যেকোনো সম্পর্কের মতো ভালোবাসার সম্পর্কেও নিজস্বতা রেখে সম্মানজনক দূরত্ব, ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বজায় রাখা জরুরি। এটি আপনাদের সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে।
৫. ছোট ছোট প্রশংসা, স্বীকৃতি
২০২৬ সালে ভালোবাসার সম্পর্ক বড় কোনো প্রমাণ চায় না; বরং চায় নিয়মিত ছোট ছোট প্রশংসা, ছোট ছোট বিষয় খেয়াল করা বা অনুপ্রেরণামূলক স্বীকৃতি, যা আপনাদের ভেতর থেকে আরও ভালোটা বের করে আনতে উদ্বুদ্ধ করে। মনে রাখবেন দাম্পত্য সম্পর্ক একটা ‘টিম স্পোর্ট’। আপনি যদি নিজেকে দলের অংশ ভাবতে না পারেন, তাহলে বিয়ের সম্পর্ক আপনার জন্য নয়।