একতরফা বন্ধুত্ব বেশি দিন টেকে না। আপনার বন্ধু যদি আপনাকে নিজের বন্ধু মনে না করেন, তাহলে তাঁর আচরণ আপনার মনে কষ্ট দেবে। তাই একতরফা বন্ধুত্ব চিনে তা থেকে সরে আসাই বুদ্ধিমানের কাজ বলে মনে করেন মার্কিন স্নায়ুবিজ্ঞানী ও চিকিৎসক সানাম হাফিজ। একতরফা বন্ধুত্বের ১২টি লক্ষণ উল্লেখ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে অবস্থিত মানসিক স্বাস্থ্যসেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান কমপ্রিহেন্ড দ্য মাইন্ডের এই পরিচালক।
সব সময় আপনিই তাঁকে ফোন করেন। তিনি নিজে কখনোই আপনার খোঁজ নেন না।
দেখা করার উদ্যোগটা সব সময় আপনিই নেন।
আপনি তাঁর জন্মদিন বা যেকোনো বিশেষ দিন মনে রাখলেও, তিনি আপনারটা মনে রাখেন না।
সাধারণ একটা মেসেজের জবাব দিতেও তিনি অনেক সময় নেন।
মাঝেমধ্যে তিনি একেবারে উধাও হয়ে যান। কিছুদিন পর এমনভাবে ফিরে আসেন, যেন কিছুই হয়নি।
আপনার সাফল্যে তিনি আন্তরিকভাবে খুশি হন না।
প্রয়োজন ছাড়া যোগাযোগ করেন না।
প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা পালন করেন না।
আপনার ব্যক্তিগত জীবন বা কাজের খোঁজ নেন না।
তাঁর সঙ্গে সময় কাটালে আপনি আনন্দিত না বরং ক্লান্ত বোধ করেন।
আপনি তাঁর সঙ্গে খোলামেলা কথা বলতে ভয় পান।
উপকার করলে, তার কৃতজ্ঞতা বা উপকার ফেরত পাওয়ার আশা করতে পারেন না।
উত্তর ‘হ্যাঁ’ হলে যা করতে পারেন—
নিজে থেকে ফোন বা মেসেজ দেওয়া কমিয়ে দিন এবং দেখুন বন্ধুটি উদ্যোগ নেয় কি না।
দেখার করার উদ্যোগ নেওয়া বন্ধ করুন। বন্ধুকে বলুন, তুমি যেদিন দেখা করতে চাইবে, সেদিন দেখা হবে। এরপর অপেক্ষা করুন। তিনি উদ্যোগ নিলে নেবেন, না নিলে দুঃখ পাওয়ার কিছু নেই।
তিনি আপনার জন্মদিন বা বিশেষ কোনো দিন মনে না রাখলে তাঁকে আগে থেকেই জানিয়ে দিন যে আপনার বিশেষ দিনটি সামনেই আসছে। এরপরও তিনি যদি কোনো উদ্যোগ না নেন বা আপনাকে সামান্য শুভেচ্ছা না জানান, তাহলে এমন বন্ধুত্ব না থাকাই ভালো।
তাঁর ছোটখাটো প্রয়োজনে পাশে থাকা কমিয়ে দিন। একদিন তাঁকে ‘না’ বলেন দেখুন। এরপর তাঁর আচরণ লক্ষ করুন। তিনি যদি দূরে সরে যান, তাহলে বুঝে নেবেন তিনি আপনাকে বন্ধু মনে করেন না। এমন একতরফা বন্ধুত্ব থেকে নিজেই সরে আসুন।