দোকান থেকে যতই বানানো পোশাক কেনা হোক, একদম নিজের মাপমতো পোশাক বানানোর আনন্দই আলাদা। কাপড় কিনে বানানো পোশাকের হাতা থেকে শুরু করে গলার নকশা—সবকিছুই করা যায় নিজের পছন্দমতো। একটাই মুশকিল, দেখা যায় মজুরি আর কাপড়ের দাম প্রায় কাছাকাছি। তাই আমরা খুঁজতে বেড়িয়েছিলাম এমন কিছু জায়গা যেখানে অপেক্ষাকৃত কম দামে সালোয়ার-কামিজ বানানো যায়।
রামপুরা টিভি সেন্টারের পাশে গলিতে আবদুল্লাহ টেইলার্স অ্যান্ড ফেব্রিকসের অবস্থান। টেইলার্সটি পূর্ব রামপুরায় পড়েছে। এখানে সুতি বা লিনেন কাপড়ের সালোয়ার-কামিজ বানাতে খরচ হয় ২৫০ টাকা। আর কামিজে আলাদা ইনার লাগালে ৫০০ টাকা লাগবে, জানান দরজি নাজমা আকতার।
মিরপুরে কম দামে সালোয়ার কামিজ বা পোশাক বানাতে মা জননী লেডিস টেইলার্সের দ্বারস্থ হতে পারেন। পল্লবীতে সাগুফতা হাউজিংয়ের পাশের এই টেইলার্সের দরজি সিরাজ। ৪৫০ টাকা মজুরিতে তিনি সেলাই করেন জমকালো সব সিল্ক ও জর্জেটের কামিজ। সুতি কাপড়ে খরচ কিছুটা কম। ৩৫০ টাকায় বানাতে পারবেন সুতি থ্রি–পিসগুলো। মিরপুর ডিওএইচএসের শপিং কমপ্লেক্সে রয়েছে বেশ কিছু দরজির দোকান।
শপিং কমপ্লেক্সের তৃতীয় তলার বিসমিল্লাহ টেইলার্সে সালোয়ার–কামিজ বানাতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী মালিহা বলেন, ‘আশপাশের অন্যান্য টেইলার্সের চেয়ে এখানে বেশ কমেই কামিজ বানাতে পারি। তাদের সেলাইয়ের মানও ভালো। তাই সব সময় এখানেই আসা হয়। সুতির সালোয়ার-কামিজ বানাতে খরচ হয় ৫০০ টাকা আর কামিজে ইনার যুক্ত করতে হলে খরচ পড়ে ৬৫০ টাকা।’
নাখালপাড়ায় কম দামে সালোয়ার-কামিজ বানাতে পারবেন নাখালপাড়ার ৮ নম্বর গলির এনি টেইলার্সে। এনি টেইলার্সের দরজি মোহাম্মদ মিলন বলেন, এখানে সালোয়ার-কামিজ বানাতে খরচ পড়বে ৪০০ টাকা।
উত্তরার ৬ নম্বর সেক্টরের ১৫ নম্বর সড়কে আছে চাহিদা বুটিক, এখানেই দরজির কাজ করেন মোহাম্মদ রাকিব। সুতি, সিল্কের সালোয়ার–কামিজ ছাড়াও এখানে বিভিন্ন ডিজাইনের ওয়েস্টার্ন পোশাকও বানাতে পারেন। অন্যান্য দোকান থেকে কিছুটা কম দামই পড়বে। রাকিব জানান, সুতি হোক বা সিল্ক—সালোয়ারসহ কামিজ বানাতে খরচ পড়বে ৫০০ টাকা। সুতি থ্রি–পিসে সাধারণত ফলস বা ভেতরে শেমিজ দেওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে সিল্ক বা ডিজাইনার ড্রেসে ফলস লাগাতে চাইলে খরচ কিছুটা বাড়তে পারে।
রাজধানীর কুড়িলে কম খরচে জামা বানায় স্বর্ণালি টেইলার্স। টেইলার্সের স্বত্বাধিকারী সেলিম মিয়া জানান, ৪০০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যেই এখানে বানাতে পারবেন সুতি, লিনেন, সিল্ক ও জর্জেটের বিভিন্ন জামা। সুতি থ্রি–পিস বানাতে দাম পড়বে ৪০০ টাকা। তবে সালোয়ার–কামিজ ফলসসহ বানাতে খরচ কিছুটা বাড়তে পারবে।
মোহাম্মদপুরের সলিমুল্লাহ রোডে একটু সামনে এগিয়েই দেখতে পাবেন ধানসিঁড়ি লেডিস টেইলার্স। এখানেও বেশ কমে সালোয়ার–কামিজ বানাতে পারবেন। সুতি কামিজ–সালোয়ারসহ বানাতে দাম পড়বে ৫০০ টাকা। সাধারণ সিল্ক বা জর্জেটের কামিজের দরজি খরচ ৬০০ টাকা থেকে শুরু।