Thank you for trying Sticky AMP!!

এক পাঠকের স্বপ্ন যেভাবে পূরণ করল নকশা

স্কুলে থাকা অবস্থাই প্রথম আলোর নিয়মিত পাঠক। এসএসসি পরীক্ষার পর দীর্ঘ ছুটিতে ‘নকশা’ই হয়ে ওঠে তাঁর অবসরের প্রধান সঙ্গী। বলছিলাম প্রথম আলোর ক্রোড়পত্র ‘নকশা’র পাঠক মেরিন নাজনীনের কথা। ঢাকা ব্যাংকের কারওয়ান বাজার শাখার তিনি একজন কর্মকর্তা। ভালোবাসেন ঘোরাঘুরি, লেখালেখি আর নিজের বিভিন্ন সুন্দর মুহূর্তের ছবি তুলতে।

মেরিন ভালোবাসেন নিজের বিভিন্ন সুন্দর মুহূর্তের ছবি তুলতে।

ব্যাংকেই একদিন এই প্রতিবেদকের পরিচয় জানার পর তাঁর উচ্ছ্বাসই বলে দিচ্ছিল ‘নকশা’র কতটা একনিষ্ঠ পাঠক তিনি। জানালেন, ‘নকশা’র রেসিপি দেখে রান্না করা, ফ্যাশনের ছবি দেখে আয়নার সামনে সেই সাজে ট্রায়াল দেওয়া—একসময় এগুলোই ছিল তাঁর নিয়মিত কাজ। সেই সময় থেকেই একটা ইচ্ছা মনের মধ্যে ঢুকে যায়। প্রথম আলোর আলোকচিত্রী কবির হোসেনের ক্যামেরায় তোলা তাঁর ছবি ‘নকশা’র পাতায় দেখবেন, বলছিলেন মেরিন নাজনীন। ‘নকশার এত সুন্দর সুন্দর ছবি কে তোলে দেখতে গিয়ে কবির হোসেন নামটার সঙ্গে পরিচিত হই।’

মেরিন নাজনীন পেশায় ব্যাংকার। আগের ছবি এটি।

সেই ইচ্ছা পূরণ করতে ‘নকশা’র পক্ষ থেকে ৫ নভেম্বর তাঁকে মিরপুর পারসোনায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সোজা চুল আর ছিমছাম লুকের মেরিনকে কিছুটা নতুনভাবেই সাজানো হলো। পারসোনার পরিচালক নুজহাত খানের নির্দেশানুযায়ী মেরিনের লুকের পরিবর্তন আনতে চুলে ক্রিম্পি কার্ল করা হলো।

এই ইচ্ছা যে কখনো পূর্ণ হবে, ভাবতেই পারেননি মেরিন

এই শুটের জন্য মেরিন পরেছিলেন কো–অর্ড সেট। কো–অর্ডের ওপরের শার্টের পার্টটা খোলা রেখে নিচে পরানো হয়েছে ট্যাংক টপ। মেকআপে খুব বেশি বাহুল্য ছিল না। অনুষঙ্গ হিসেবে গলায় পরানো হয়েছিল চিক, যা তাঁর পুরো লুকে বেশ কিছুটা পরিবর্তন আনে। নিজেকে নতুন এই লুকে দেখে খুশি মেরিন। জানালেন, এই ইচ্ছা যে কখনো পূর্ণ হবে, ভাবতেই পারেননি।