আত্মবিশ্বাসী মানুষেরা নিজের শক্তিশালী দিকগুলো সম্পর্কে জানেন
আত্মবিশ্বাসী মানুষেরা নিজের শক্তিশালী দিকগুলো সম্পর্কে জানেন

আত্মবিশ্বাসী মানুষের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তিন বৈশিষ্ট্য, মিলিয়ে নিন নিজের সঙ্গে

আত্মবিশ্বাসী মানুষের ওপরেই যে সব সময় ‘স্পটলাইট’ থাকে, তাঁরাই যে মঞ্চে কথা বলেন বা মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন, বিষয়টা সব সময় এ রকম নয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আত্মবিশ্বাসী মানুষেরা শান্তভাবে পরিস্থিতি সামাল দেন। তাঁরা মানুষ হিসেবে নম্র, ভদ্র আর নিজের যা আছে, তা নিয়েই সুখী ও সন্তুষ্ট। আত্মবিশ্বাসী মানুষেরাও ভয় পান, ভুল করেন; তবে তাঁরা বুঝেশুনে ঝুঁকিটা নেওয়ার সাহস দেখান। আত্মবিশ্বাসী মানুষদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তিন বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানুন।

১. তাঁরা নিজেদের চ্যালেঞ্জ ও অস্বস্তিকর পরিবেশে ছুড়ে ফেলেন

আত্মবিশ্বাসী মানুষেরা ‘গ্রোথ’ বা বিকাশে বিশ্বাসী। প্রতিনিয়ত নিজের সেরা সংস্করণ বের করে আনার লক্ষ্য নিয়ে তাঁরা প্রতিদিন ঘুম থেকে ওঠেন আর একটু একটু করে সেই লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যান।

তাঁরা জানেন, যেখানে ‘কমফোর্ট জোন’ শেষ হয়, সেখান থেকেই বিকাশের শুরু। তাই তাঁরা নিজেদের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দাঁড় করাতে বা কঠিন কথোপকথনে অথবা নতুন করে নতুন কিছু শুরু করতে পিছপা হন না।

তাঁরা হারেন, উঠে দাঁড়ান, জেতেন অথবা জেতেন না, তবে নিজের সেরাটা ঢেলে দিয়ে চেষ্টা করেন। নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ করে এগিয়ে যান।

২. খোলা মনে অন্যকে উদ্‌যাপন করেন

আত্মবিশ্বাসী মানুষেরা নিজেকে নিজের মতো করেই গ্রহণ করেন। তাঁরা নিজের শক্তিশালী দিকগুলো সম্পর্কে জানেন। তাঁরা নিজেদের নিয়ে ‘সিকিউরড’। তাই অন্যের সাফল্যে তাঁরা ঈর্ষান্বিত হন না।

অন্যের সঙ্গে নিজের তুলনা করেন না। খোলা মনে অন্যকে উদ্‌যাপন করেন। অন্যের ভেতর থেকে সেরাটা বের করে আনতে সাহায্য করেন। অন্যকে অনুপ্রাণিত করেন, উৎসাহ দেন। আর এ কারণেই তাঁরা অন্যের ভালো বন্ধু, মেন্টর বা নেতা।

৩. নির্দ্বিধায় দেয়াল তুলে দেন

আত্মবিশ্বাসী মানুষেরা নিজেদের সঠিকভাবে মূল্যায়ন করার চেষ্টা করেন। তাঁদের কাছে নিজেদের সময়, এনার্জি, মনোযোগ মূল্যবান। সেটি কাকে, কতটুকু দেবেন, সে বিষয়ে তাঁরা সচেতন। এ কারণেই তাঁরা নির্দ্বিধায় ‘না’ বলেন।

নিজেদের মানসিক স্বাস্থ্যকে সুরক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁরা সচেতন। তাই তাঁরা সব সময় সবার জন্য ‘অ্যাভেইলেবল’ থাকেন না। আর এটাই স্বাভাবিক।

সম্পর্কে দেয়াল তোলা যে স্বাস্থ্যকর, এটা তাঁরা কেবল জানেনই না, মানেনও। নেতিবাচক, টক্সিক মানুষদের থেকে তাঁরা নিরাপদ দূরত্বে থাকেন।

সূত্র: ভেরিওয়েলমাইন্ড