মানুষ মূলত বদভ্যাসের কারণে নিজের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন করতে পারে না
মানুষ মূলত বদভ্যাসের কারণে নিজের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন করতে পারে না

যেসব বদভ্যাসের কারণে একজন ব্যক্তি আজীবন দরিদ্রই থেকে যায়

আপনি কোথায় জন্ম নিয়েছেন, তা আপনার ভাগ্য। কিন্তু আপনি কেমন জীবন যাপন করবেন, তা অনেকটাই আপনার নিয়ন্ত্রণে থাকে। মানুষ মূলত বদভ্যাসের কারণে নিজের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন করতে পারে না। কী সেসব বদভ্যাস? এর কতটি আপনার মধ্যে আছে? মিলিয়ে দেখুন।

  • ‘করব’—এই মনোভাব রাখা। যা কিছু আজ করে ফেলা সম্ভব, তা আগামীকালের জন্য ফেলে রাখা।

  • বছরের পর বছর অল্প বেতনের চাকরি করে যাওয়া। ভালো কিছুর জন্য আন্তরিকভাবে চেষ্টা না করা।

  • অন্যে আপনাকে নিয়ে কী ভাবছে, তাতে গুরুত্ব দেওয়া।

  • নিজের অবস্থার জন্য অন্যকে দোষারোপ করা।

  • আর্থিকভাবে সচ্ছল বা ধনী হওয়ার চেয়ে ‘বড়লোকি’ দেখানোয় বেশি মনোযোগী হওয়া।

  • ‘পারফেক্ট কন্ডিশন’ বা অনুকূল পরিস্থিতির জন্য অপেক্ষা করা। সাধারণত অপেক্ষা করতে করতেই জীবন কেটে যায়।

  • অভিযোগ করা।

  • অস্বস্তিকর বা চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি এড়িয়ে চলা।

  • প্রতিজ্ঞা করা, প্রতিজ্ঞা ভাঙা। বিশেষ করে সামর্থ্যের বাইরে প্রতিশ্রুতি দেওয়া।

  • একবার ব্যর্থ হওয়ার পর আর নতুন করে শুরু না করা।

  • পরচর্চা করা।

  • মধ্যমপন্থা অবলম্বন করা বা ‘সেফ গেম’ খেলা।

  • সারা দিন ব্যস্ত থাকা। কিন্তু কী কাজে? সেই ফলাফল কারও দৃষ্টিগোচর না হওয়া।

  • বেশি কথা বলা, কম শোনা, কম কাজ করা।

  • অন্যে কী করছে, সেদিকে মনোযোগ দেওয়া।

  • ভুল থেকে শিক্ষা না নেওয়া। একই ভুল বারবার করা।

  • ‘আমিই সঠিক’—এই মনোভাব পোষণ করা। অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস।

  • সবকিছু ব্যক্তিগতভাবে নেওয়া আর আবেগতাড়িত হয়ে যাওয়া।

  • আয় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যয়ও বেড়ে যাওয়া।

  • সঞ্চয় না বাড়ানো। একাধিক উৎস থেকে আয় না বাড়ানো। ঝুঁকি না নেওয়া। বিনিয়োগ না করা।

  • সারাক্ষণ সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগা।

  • সব সময় নিজের সঙ্গে অন্যের তুলনা করতে থাকা।

  • অন্যকে খুশি করে চলা।

  • শিক্ষার চেয়ে বিনোদনকে অধিক গুরুত্ব দেওয়া।

  • ‘মাইন্ডলেস স্ক্রলিং’—অর্থাৎ ক্রমাগত অহেতুক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ডুবে থাকা।


সূত্র: কি ফর সাকসেস