নিউইয়র্কের মেয়র পদে জয়ের পর মা মীরা নায়ারের সঙ্গে মঞ্চে জোহরান মামদানি
নিউইয়র্কের মেয়র পদে জয়ের পর মা মীরা নায়ারের সঙ্গে মঞ্চে জোহরান মামদানি

জোহরান মামদানির রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি তাঁর মায়ের চলচ্চিত্রের কাছে কতটা ঋণী

‘দ্য গার্ডিয়ান’–এ ৭ নভেম্বর প্রকাশিত এই মতামত লিখেছেন রাবিনা খান। লন্ডনভিত্তিক এই লেখক স্থানীয় আজিজ ফাউন্ডেশনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। তিনি একটি জাতীয় দাতব্য সংস্থায় কাজ করেন, যেটি নারীদের ক্ষমতায়নে কাজ করে। লেখাটি কিছুটা স্বাধীনভাবে অনুবাদ করেছেন মুহাম্মদ তাসনীম আলম

জোহরান মামদানি—নিউইয়র্ক শহরের প্রথম মুসলিম মেয়র। ১৮৯২ সালের পর শহরটির সবচেয়ে কম বয়সী মেয়র। এসব কিছুর কারণে তাঁর ভূমি কাঁপানো রাজনৈতিক উত্থান প্রদীপের সব আলো একাই নিয়ে নিয়েছে। কিন্তু কিছুটা দেরিতে হলেও তাঁর উত্থানের পেছনের আলোকস্তম্ভগুলো ধীরে ধীরে রোশনাই ছড়াতে শুরু করেছে। এই রকম একটি আলোকস্তম্ভ তাঁর মা মীরা নায়ার। তিনি অবশ্য অনেক আগে থেকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে দ্যুতি ছড়াচ্ছিলেন।

তিন দশকের বেশি সময় ধরে চলচ্চিত্র নির্মাণ করছেন মীরা নায়ার। পর্দায় (স্ক্রিন) দক্ষিণ এশিয়ার পরিচয় কীভাবে তুলে ধরা হবে, তাঁর ধারাবাহিক কাজ সেই দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিয়েছে। এখন যেহেতু তাঁর ছেলে একটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি পদের দায়িত্ব গ্রহণ করতে যাচ্ছেন, তাই মীরা তিলে তিলে যে সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার গড়ে তুলেছেন, তা পরবর্তী প্রজন্মে প্রতিধ্বনিত হবে বলে মনে হচ্ছে।

আমার মা-বাবা: আপনারাই আমাকে আজকের এই মানুষে পরিণত করেছেন। আপনাদের সন্তান হতে পেরে আমি খুব গর্বিত।
জোহরান মামদানি, নিউইয়র্কের মেয়র হিসেবে জয়ের পর প্রথম ভাষণে

ভারতে জন্ম নেওয়া এবং দিল্লি ও হার্ভার্ডে পড়াশোনা করা মীরা নায়ার নিজেকে প্রতিনিয়ত বিশ্বের নানা সংস্কৃতির রূপ ও রসে সমৃদ্ধ করেছেন। এই সাংস্কৃতিক, ভৌগোলিক ও মানসিক মিশ্রণই তাঁর গল্পের প্রাণ।

তাঁর পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রথম সিনেমা ‘সালাম বম্বে’! মুক্তি পায় ১৯৮৮ সালে। ‘গার্ডিয়ান’–এর এক সমালোচনায় এটাকে ‘ভয়াবহ রকমের নিরাবেগ, কিন্তু প্রাণশক্তিতে ভরপুর’ চলচ্চিত্র বলে আখ্যায়িত করা হয়। এতে ভারতের পথশিশুদের দগদগে জীবন শক্তিশালীভাবে উঠে এসেছে। এই ছবি মুক্তি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি চলচ্চিত্র নির্মাতার স্বীকৃতি পান।

আত্মপরিচয়, অভিবাসন এবং কোনো সমাজে সব শ্রেণি ও লিঙ্গের মানুষের অঙ্গীভূত হওয়া নিয়ে মীরা নায়ারের দীর্ঘ দিনের অস্বাভাবিক সূক্ষ্ম অনুসন্ধানের সূচনা হয়েছিল ‘সালাম বম্বে!’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। এখন দেখা যাচ্ছে, এসব বিষয় তাঁর ছেলে জোহরানের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিরও প্রাণকেন্দ্রে রয়েছে।
সালাম বোম্বে (১৯৮৮) চলচ্চিত্রের একটি দৃশ্য

আত্মপরিচয়, অভিবাসন এবং কোনো সমাজে সব শ্রেণি ও লিঙ্গের মানুষের অঙ্গীভূত হওয়া নিয়ে মীরা নায়ারের দীর্ঘদিনের অস্বাভাবিক সূক্ষ্ম অনুসন্ধানের সূচনা হয়েছিল ‘সালাম বম্বে’! চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। এখন দেখা যাচ্ছে, এসব বিষয় তাঁর ছেলে জোহরানের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিরও প্রাণকেন্দ্রে রয়েছে।

‘সালাম বম্বে’! শ্রেষ্ঠ বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র বিভাগে অস্কার মনোনয়ন পায়। এখন পর্যন্ত এটিই দ্বিতীয় ভারতীয় চলচ্চিত্র, যেটি একাডেমি অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনয়ন পেয়েছে। সিনেমাটির জন্য মীরা কান চলচ্চিত্র উৎসবে ক্যামেরা দ’অর পুরস্কার লাভ করেন। এখন পর্যন্ত অস্কারের জন্য মনোনয়ন পাওয়া ভারতের দ্বিতীয় সিনেমাও এটি। এই সিনেমা থেকে অর্জিত অর্থ দিয়ে ‘সালাম বালক ট্রাস্ট’ প্রতিষ্ঠা করেন মীরা। অলাভজনক এই প্রতিষ্ঠান দিল্লি ও মুম্বাইয়ের পথশিশুদের এখনো সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।

মীরার পরবর্তী সিনেমা ছিল ‘মিসিসিপি মাসালা’। ১৯৯১ সালে তৈরি সিনেমাটিতে তরুণ অভিনেতা ডেঞ্জেল ওয়াশিংটন ও সারিতা চৌধুরী প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন। যুক্তরাষ্ট্রের সুদূর দক্ষিণে বসবাসরত ভারতীয় অভিবাসীরা যেসব জটিল বর্ণবাদী সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছিলেন, এসব নিয়ে শুরুর দিকে যেসব সিনেমা তৈরি হয়েছিল, ‘মিসিসিপি মাসালা’ সেগুলোর মধ্যে অন্যতম।

দুই বর্ণের তরুণ-তরুণীর প্রেমকাহিনিকে কেন্দ্র করে ‘মিসিসিপি মাসালা’র গল্প আবর্তিত হয়েছে। এতে পরিচয়, স্থানচ্যুতি এবং সমাজে অন্তর্ভুক্তির বিষয়গুলো দারুণ সংবেদনশীলতার সঙ্গে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। সিনেমাটি তৈরির মধ্য দিয়ে বিভিন্ন সংস্কৃতির মধ্যে মেলবন্ধনের ভাষ্যকার হিসেবে মীরার খ্যাতি সুদৃঢ় হয়। ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে এটি প্রথমবারের মতো দেখানো (প্রিমিয়ার) হয়। সেখানে এটি সেরা চিত্রনাট্য পুরস্কার জেতে।

পর্দায় (স্ক্রিন) দক্ষিণ এশিয়ার পরিচয় কীভাবে তুলে ধরা হবে, তাঁর ধারাবাহিক কাজ সেই দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিয়েছে। এখন যেহেতু তাঁর ছেলে একটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি পদের দায়িত্ব গ্রহণ করতে যাচ্ছেন, তাই মীরা তিলে তিলে যে সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার গড়ে তুলেছেন, তা পরবর্তী প্রজন্মে প্রতিধ্বনিত হবে বলে মনে হচ্ছে।
মিসিসিপি মাসালা (১৯৯১) চলচ্চিত্রের একটি দৃশ্য

মীরা একই ধরনের নির্ভীক মনোভাব নিয়ে পরবর্তী সময়ে আরও বেশি প্ররোচনামূলক ও বৈশ্বিকভাবে বৈচিত্র্যময় চলচ্চিত্র তৈরি করেন। ১৯৯৬ সালে তৈরি ‘কামসূত্র: আ টেল অব লাভ’ এমনই একটি চলচ্চিত্র। ভারতের ১৬ শতকের সমাজজীবনের প্রেক্ষাপটে এতে নারীর যৌনতা ও স্বাধীন সিদ্ধান্ত (এজেন্সি) গ্রহণের নানা দিক দেখানো হয়েছে। ভারতের চলচ্চিত্রে এসব বিষয় নিয়ে তেমন একটা কাজ হয় না।

২০০১ সালে তৈরি ‘মনসুন ওয়েডিং’-এর মধ্য দিয়ে মূলধারার সিনেমায় সাফল্য পান মীরা। এটি একটি পারিবারিক ড্রামা। ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির একটি ব্যস্ত বিয়ে অনুষ্ঠানকে ঘিরে এগিয়ে যাওয়া এই গল্পে ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মধ্যে উত্তেজনা দেখানো হয়েছে। সিনেমাটির সুর একই সঙ্গে আনন্দঘন ও নিরানন্দময়। এটি ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা চলচ্চিত্রে বিভাগে ‘গোল্ডেন লায়ন’ পুরস্কার জেতে। যুক্তরাজ্যের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্যবসায়িকভাবে সাফল্য পায়। এর গল্পে দক্ষিণ এশিয়ার প্রবাসীদের আত্মপরিচয়, পারিবারিকভাবে আয়োজিত বিয়ে এবং পারিবারিক কলহের নানা দিক ফুটে উঠেছে।

পাঁচ বছর পর ভারতীয় বাঙালি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক ঝুম্পা লাহিড়ীর উপন্যাস ‘দ্য নেমসেক’ অবলম্বনে পরবর্তী সিনেমা তৈরি করেন মীরা। ধীরগতির এই চলচ্চিত্রে ভারতীয়-আমেরিকান একটি পরিবারের কয়েক দশকের জীবন দেখানো হয়েছে। নিঃশব্দ, ভাবগম্ভীর ও অপূর্ব চিত্রায়ণে নির্মিত চলচ্চিত্রটি সাংস্কৃতিক দ্বৈততার সবচেয়ে আবেগঘন অনুভূতির অন্যতম প্রকাশ বলে বিবেচনা করা হয়। নায়ারের আগের কাজগুলোর মতো এতেও দেখা যায়, দুটি ভিন্ন জগতে একসঙ্গে বাঁচতে গেলে কোনোটিরই পুরোপুরি অধীন হওয়া যায় না। কোনোটির প্রতিই একনিষ্ঠ হওয়া যায় না। এটা এক বিশেষ অনুভূতি, যা নেমসেকে অত্যন্ত সংবেদনশীলতার সঙ্গে বুনেছেন জোহরান মামদানির মা মীরা নায়ার।

পাকিস্তান বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক মহসিন হামিদের উপন্যাস ‘দ্য রিলাকট্যান্ট ফান্ডামেন্টালিস্ট’কে ২০১২ সালে চলচ্চিত্রে রূপ দিয়ে সমালোচকদের কিছুটা উসকে দেন মীরা নায়ার। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর টুইন টাওয়ারে হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রে বিপদে পড়া এক পাকিস্তানি যুবকের এই গল্পে মূল চরিত্রে অভিনয় করেন রিজ আহমেদ। মীরার অন্যান্য কাজের মতো এই সিনেমাও যথেষ্ট সুনাম কুড়িয়েছে।

নায়ার ২০১৬ সালে ‘কুইন অব কাতওয়ে’ নামের ভিন্ন ঘরানার একটি চলচ্চিত্র তৈরি করেন। উগান্ডার রাজধানী কাম্পালার বস্তি থেকে উঠে আসা প্রতিভাবান কিশোরী দাবাড়ু ফিওনা মুতেসির জীবন নিয়ে তৈরি এই মর্মস্পর্শী সিনেমাটিও দর্শক ভালোভাবে গ্রহণ করে।

তিনি একধরনের সাংস্কৃতিক সক্রিয়তা সৃষ্টি করেছেন, যা প্রান্তিক মানুষের জীবনে মর্যাদা ও মানবিকতার স্বীকৃতি এনে দিয়েছে। রাস্তার শিশু, নথিপত্রবিহীন অভিবাসী, সমকামী প্রেমিক-প্রেমিকা কিংবা দ্বিতীয় প্রজন্মের অভিবাসী—নায়ারের চলচ্চিত্রে তারা কেউই প্রান্তিক নয়।
দ্য নেমসেক (২০০৬) চলচ্চিত্রের একটি দৃশ্য

দক্ষিণ এশিয়ার মানুষের জীবনকে যেভাবে একধরনের গৎ ও গণ্ডিতে আবন্ধ করে ফেলা হয়, আজীবন তা–ই ভাঙার চেষ্টা করেছেন মীরা নায়ার। তাঁর চরিত্রগুলো জটিল, গল্পগুলো বিস্তৃত। তাঁর সব গল্পেই বিরোধ, ঘনিষ্ঠতা ও আবেগের সত্যতা পরস্পরের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে। তার সব চলচ্চিত্রই সুস্পষ্টভাবে রাজনৈতিক। তবে তা কোনোভাবেই শিক্ষামূলক বা বক্তৃতাধর্মী মনে হয় না। কারণ, তিনি পরিবার, স্মৃতি ও সম্পর্কের ভাষার মধ্য দিয়ে তাঁর ভাবনা প্রকাশ করেন।

একই দৃষ্টিভঙ্গি হয়তো গড়ে তুলেছে তাঁর ছেলের রাজনৈতিক চেতনা। সাবেক আবাসন অধিকারকর্মী মামদানি নিজেই বলেছেন—তাঁর জীবনে বাবা-মায়ের প্রভাব ছিল গভীর, বিশেষ করে মায়ের সংস্কৃতিগত শিকড়ের প্রতি অনুরাগ ও ন্যায়ের ওপর জোর দেওয়াটা তাঁর চিন্তায় বড় ভূমিকা রেখেছে।
সমর্থকদের সামনে জোহরান মামদানি। পাশে তাঁর বাবা মাহমুদ মামদানি, স্ত্রী রমা দুওয়াজি ও মা মীরা নায়ার (ডানে)। ব্রুকলিন, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র, ৪ নভেম্বর ২০২৫

নায়ারের দৃষ্টিভঙ্গিই হয়তো তাঁর ছেলে জোহরান মামদানির রাজনৈতিক মনোভাব গড়তে সহায়তা করেছে। সাবেক আবাসন অধিকারকর্মী ও নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের সাবেক অ্যাসেম্বলিম্যান মামদানি নিজেই একবার বলেছিলেন, তাঁর জীবনে মা-বাবার গভীর প্রভাব রয়েছে। বিশেষ করে সাংস্কৃতিক শিকড়ের প্রতি মায়ের অনুরাগ ও ন্যায়ের প্রতি জোর—জোহরানের দৃষ্টিভঙ্গি গঠনে বড় ভূমিকা রেখেছে।

শুধু চলচ্চিত্রজগতে নয়, বরং নাগরিক জীবনে মীরার প্রভাব প্রবল। তিনি একধরনের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সূচনা করেছেন, যা প্রান্তিক মানুষের জীবনে মর্যাদা এবং মানবিকতার স্বীকৃতি এনে দিয়েছে। রাস্তার শিশু, নথিপত্রবিহীন অভিবাসী, সমকামী প্রেমিক-প্রেমিকা কিংবা দ্বিতীয় প্রজন্মের অভিবাসী—এসব মানুষের কেউ নায়ারের চলচ্চিত্রে প্রান্তিক নন। বরং এসব প্রান্তিক মানুষের গল্পই ৬৮ বছর বয়সী এই পরিচালকের চলচ্চিত্রের বাতিঘর।

অপেরা পরিচালনা, শিক্ষকতা, উগান্ডার রাজধানী কাম্পালায় একটি চলচ্চিত্র বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি মীরা নায়ারকে সিনেমার নতুন আঙ্গিক (ফর্ম) নিয়েও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে দেখা যায়। গল্প বলার মধ্য দিয়ে সমাজের প্রান্তিক মানুষের ক্ষমতায়ন ঘটানোই তাঁর সব কাজের মূলকথা।

মীরা নায়ার পরিচালিত চলচ্চিত্রের পোস্টার

মীরার সাম্প্রতিকতম কাজ বিক্রম শেঠের বিখ্যাত উপন্যাস ‘আ সুইটেবল বয়’ উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি টিভি সিরিজ। ২০২০ সালে বিবিসির জন্য তিনি সিরিজটি তৈরি করেন, যেখানে সব অভিনেতা-অভিনেত্রীই ভারতীয়।

এখন নিউইয়র্ক যখন নতুন প্রজন্মের এক আমেরিকান মেয়রকে স্বাগত জানাচ্ছে, যিনি বয়সে যুবক, যাঁর গায়ের রং বাদামি এবং ধর্ম ইসলাম—তখন মীরার কাজ এবং তাঁর ছেলের রাজনৈতিক উত্থানের ধারাবাহিকতা মিলিয়ে দেখার সুযোগটি হাতছাড়া করা যায় না।

নিউইয়র্কের কুইন্স শহরের রাস্তায় নিজের ছেলে রাজনৈতিক প্রচার শুরুর অনেক আগেই আরও বেশি অন্তর্ভুক্তিমূলক সাংস্কৃতিক পরিসর তৈরি করতে চলচ্চিত্রের মাধ্যমে পরিবর্তনমুখী গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো সেরে রেখেছিলেন মীরা নায়ার। মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর দেওয়া প্রথম ভাষণে সেই ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে জোহরান মামদানি বলেছিলেন, ‘আমার মা-বাবা: আপনারাই আমাকে আজকের এই মানুষে পরিণত করেছেন। আপনাদের সন্তান হতে পেরে আমি খুব গর্বিত।’