বিশ্লেষণ

বৈদেশিক মুদ্রার ‘রিজার্ভ-প্রীতি’ কেন বিভ্রান্তিকর

অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে সামষ্টিক অর্থনৈতিক কার্যক্রম যত সক্রিয় হবে, রিজার্ভের পরিমাণও তত পরিবর্তিত হবে। ফলে রিজার্ভের পরিমাণের প্রতিদিনের ওঠানামা জনপরিসরের আলোচনার কেন্দ্রে মূলত অগভীর অর্থনৈতিক বিশ্লেষণকে উৎসাহিত করে এবং গুরুত্বপূর্ণ কাঠামোগত ও বিশ্লেষণমুখী বিষয়গুলোকে আড়ালে রেখে দেয়। বৈদেশিক মুদ্রার ‘রিজার্ভ-প্রীতি’ কেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষণে বিভ্রান্তিকর হতে পারে, তা নিয়ে লিখেছেন জ্যোতি রাহমান

গণ–অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ক্রমে ধ্বংস হওয়ার সময়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণকে তাদের বিভ্রান্তিমূলক উন্নয়ন বয়ানের অন্যতম মূল সূচক হিসেবে ব্যবহার করেছে।

এই তথাকথিত ‘বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ-প্রীতি’ এমন এক অস্বাভাবিক মাত্রায় পৌঁছেছিল যে বিগত সরকার ২০২১ সালে দেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ (৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের) রিজার্ভ অর্জনের ‘কৃতিত্ব’ দাবি করেছিল। কিন্তু বাস্তবতা হলো, সেই সময়ে দেশ গভীর অর্থনৈতিক সংকটের দিকে ধাবিত হচ্ছিল।

সে সময় কোনো অর্থনীতিবিদ বা অর্থনৈতিক বিশ্লেষক এই প্রশ্ন তোলেননি, যেখানে ২০১৬ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে রিজার্ভ ৩২ থেকে ৩৩ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে ঘোরাফেরা করছিল, সেই পরিমাণ হঠাৎ করেই ২০২১ সালের আগস্টে কীভাবে ৪৮ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হলো।

এই জবাবদিহিহীন মনোভাব বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ–সংক্রান্ত হিসাব ও তথ্য ব্যবস্থাপনায় আন্তর্জাতিক মানদণ্ড হতে বিচ্যুতির জন্ম দেয়। এটা স্পষ্ট হয়ে ওঠে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে, যখন বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ঋণসুবিধা গ্রহণ করে।

ঋণসুবিধাটির অন্যতম মৌলিক শর্ত ছিল ‘অর্থপ্রবাহের ভারসাম্য ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ অবস্থান নির্দেশিকা (ষষ্ঠ সংস্করণ) (বিপিএম ৬)’ অনুসারে মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ (জিআইআর) প্রকাশ করা।

এ ঋণটির প্রাক্‌-অনুমোদন পর্যায়ের আলোচনাকালে আইএমএফ উল্লেখ করে যে বাংলাদেশ বিপিএম ৬-এর মানদণ্ড অনুযায়ী তার আন্তর্জাতিক রিজার্ভের হিসাব প্রকাশ করছে না।

 বিস্ময়করভাবে, আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের বাইরে গিয়ে রিজার্ভ হিসাবায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের সে সময়কার চর্চা বিষয়ে কোনো অর্থনীতিবিদ এটা নিয়ে কথা বলার প্রয়োজনীয়তা বা সাহস দেখাননি।

এখন পাঠকের সুবিধার্থে বলি, বিপিএম ৬ অনুযায়ী জিআইআর বলতে বোঝায় বিদেশি মুদ্রা, স্বর্ণ, এসডিআর ও আইএমএফের রিজার্ভ পজিশনের সমষ্টি, যা অবাধে ব্যবহারযোগ্য।

বিপিএম ৬ অনুসারে আমাদের রিজার্ভ এখন ২৭ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার। ভারতে জিআইআর দিয়ে প্রায় ১১ মাসের আমদানি মেটানো সম্ভব, শ্রীলঙ্কায় ৩ মাস আর বাংলাদেশে বর্তমানে তা ৩ দশমিক ৩ মাস; যেখানে এশিয়ান গড় ৬ দশমিক ৫ মাস এবং আইএমএফ মনে করে ‘স্বাভাবিক’ সময়ে ৩ মাস পর্যাপ্ত।

২০২৫ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে রেমিট্যান্স–প্রবাহ ছিল প্রায় ৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু একই সময়ে আমদানি পরিশোধ ১২ শতাংশ বেড়েছে এবং বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপও বৃদ্ধি পেয়েছে, ফলে রিজার্ভ শক্তিশালী হওয়ার পথ এখনো বন্ধুর।

২.

একটু পেছনে ফেরা যাক। বাংলাদেশ ২০১২ সালে তিন বছরের জন্য আইএমএফের অধীন একটি ঋণসুবিধা গ্রহণ করেছিল, যা শেষ হয় ২০১৫ সালে। যেহেতু এটিও ছিল বর্ধিত ঋণসুবিধা কর্মসূচির (ইসিএফ) আওতায়, তাই বিপিএম ৬ অনুসারে মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রকাশ করা সেই কর্মসূচির অন্যতম বাধ্যতামূলক শর্ত ছিল।

এর অর্থ, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হিসাবায়নে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড থেকে বিচ্যুত হওয়ার প্রবণতা ২০১৬ সালের আগে শুরু হয়নি।

শর্ত অনুসারে বাংলাদেশ ব্যাংক বিপিএম ৬ অনুসারে রিজার্ভের হিসাবায়ন করলেও এর পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব ‘স্বদেশীয়’ পদ্ধতি অনুসারেও আন্তর্জাতিক রিজার্ভের পরিমাণ হিসাবায়ন ও প্রকাশ করছে।

পৃথিবীর অন্য কোনো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ক্ষেত্রে একই সময়ে একই অর্থনৈতিক সূচকের বিষয়ের দুটি ভিন্ন অঙ্ক জনসমক্ষে প্রকাশের এমন নজির আদৌ আছে কি না সন্দেহ।

আশ্চর্যের বিষয়, এখন পর্যন্ত দেশের অর্থনৈতিক বিশ্লেষক বা বিশেষজ্ঞ মহল থেকেও এ বিষয়ে বড় কোনো প্রশ্ন তোলা হয়নি।

স্বৈরাচারী শাসনামলের অবসানের পরও বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক একই সঙ্গে দুটি ভিন্ন অঙ্ক প্রকাশ করে জনগণকে কী বার্তা দিতে চায়, সে বিষয়টি নিয়ে এখন পর্যন্ত কেন যেন কোনো আলোচনা বিশেষজ্ঞ মহলে হয় না।

ফলে প্রশ্ন থেকেই যায়, বর্তমান আইএমএফ ঋণ কর্মসূচি শেষ হওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংক কি বিপিএম ৬-এর মানদণ্ড অনুযায়ী রিজার্ভের পরিমাণ প্রকাশ অব্যাহত রাখবে, নাকি তা বন্ধ করবে?

গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হওয়া দরকার রিজার্ভের পরিমাণের প্রকৃত অর্থনৈতিক তাৎপর্য কী? এটি কি আগামী তিন মাসের বা ছয় মাসের সম্ভাব্য বৈদেশিক মুদ্রায় পরিশোধযোগ্য বা দায় মেটাতে যথেষ্ট? যদি যথেষ্ট হয়, তবে সেই তথ্য ও প্রমাণ কোথায়? আগামী তিন, ছয় বা বারো মাসের বৈদেশিক মুদ্রার অন্তঃপ্রবাহ ও বহিঃপ্রবাহের প্রক্ষেপণ কোথায় প্রকাশিত হয়েছে?

৩.

এই ‘দ্বৈত পদ্ধতির রিজার্ভ’ প্রশ্নের বাইরে আরও একটি কৌতূহলোদ্দীপক বিষয় হলো, শুধু রিজার্ভের পরিমাণ নিয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর অতি উৎসাহী মনোভাব।

যেমন পত্রিকায় প্রকাশিত হলো, রিজার্ভের বর্তমান পরিমাণ প্রায় ৩০ বিলিয়ন ডলার। এখন এই পরিমাণটা কি ভালো নাকি খারাপ? যদি ভালো হয়, তাহলে কীভাবে ভালো?

এক বছর আগে ২০ বিলিয়ন ডলার ছিল, এখন ৩০ বিলিয়ন ডলার সে জন্য ভালো? নাকি বর্তমানে রপ্তানি-আমদানি-রেমিট্যান্স পরিস্থিতির তুলনায় এই পরিমাণ ভালো? নাকি ভবিষ্যতে রপ্তানি-আমদানি-রেমিট্যান্স পরিস্থিতি কী হতে পারে তার তুলনায় এই পরিমাণ ভালো?

মানে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হওয়া দরকার রিজার্ভের পরিমাণের প্রকৃত অর্থনৈতিক তাৎপর্য কী? এটি কি আগামী তিন মাসের বা ছয় মাসের সম্ভাব্য বৈদেশিক মুদ্রায় পরিশোধযোগ্য বা দায় মেটাতে যথেষ্ট? যদি যথেষ্ট হয়, তবে সেই তথ্য ও প্রমাণ কোথায়? আগামী তিন, ছয় বা বারো মাসের বৈদেশিক মুদ্রার অন্তঃপ্রবাহ ও বহিঃপ্রবাহের প্রক্ষেপণ কোথায় প্রকাশিত হয়েছে?

কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা সরকারের ‘পর্যাপ্ত রিজার্ভ’ দাবির পেছনে কি প্রাতিষ্ঠানিক, পদ্ধতিগত বা বিশ্লেষণভিত্তিক কোনো প্রমাণ বা তথ্য বা গবেষণা রয়েছে? থাকলে সেটা কেন জনসমক্ষে প্রকাশিত হচ্ছে না?

এসব মৌলিক প্রশ্নই সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়মিতভাবে উত্থাপন করা প্রয়োজন।

৪.

আমরা যদি বছর পঁচিশেক বা তারও পেছনে ফিরে যাই তাহলে দেখতে পাব, তখনো বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ খুবই অস্থির অবস্থায় ছিল।

১৯৯৭ সালের এশিয়ান ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইসিসের পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বেশ বিরূপভাবে প্রভাবিত হওয়ার কারণে তৎপরবর্তী কিছু বছর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেশ কঠিন সময় পার করে।

যেমন ১৯৯৭-৯৮ অর্থবছর শেষে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল শূন্য দশমিক শূন্য ২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই রিজার্ভ ১৯৯৮ অর্থবছরে গিয়ে দাঁড়ায় শূন্য দশমিক ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। (তথ্যসূত্র: বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য–বিষয়ক ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরের বার্ষিক প্রকাশনা এবং বাংলাদেশ সরকারের এক্সটার্নাল রিসোর্স ডিভিশনের (ইআরডি) ওয়েবসাইট)

শুধু রিজার্ভের এই পরিমাণের দিকে তাকালে তো মনে হতেই পারে, তখন বাংলাদেশে সম্ভবত চরম অর্থনৈতিক সংকট চলছিল, হয়তো আমরা আমদানির দাম পরিশোধ করতে পারছিলাম না। অথচ তখন (১৯৯৮ সাল) বাংলাদেশে এক ভয়াল বন্যা হওয়া সত্ত্বেও কোনো ধরনের খাদ্যসংকটে পড়েনি।

সেই সময়ে থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়ার ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইসিসের (অর্থনৈতিক সংকট) কারণে মুদ্রা অবমূল্যায়ন হয় কোরিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার মতো এই অঞ্চলের উন্নত দেশগুলোর, যার আঁচ লাগে সুদূর রাশিয়া ও ব্রাজিলে।

সেই পরিপ্রেক্ষিতে টাকার মূল্য ধরে রাখা ছিল জরুরি; মূল্যস্ফীতি, বিশেষ করে খাদ্য মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য এবং তৎকালীন মুদ্রানীতিকে বৈদেশিক উন্নয়ন–সহযোগীরা যৌক্তিকই মনে করেছিল।

সে কারণেই ১৯৯৭-১৯৯৯ সালের মধ্যকার সময়ে রিজার্ভের যে পরিমাণ এখানে দেখানো হলো, এর বিস্তারিত তাৎপর্য বুঝতে হলে আমাদের সেই সময়কার আমদানি-রপ্তানি-রেমিট্যান্স এবং বৈদেশিক মুদ্রার অন্তঃপ্রবাহ-বহিঃপ্রবাহের অন্য বিষয়গুলোর দিকে তাকাতে হবে। শুধু রিজার্ভের পরিমাণ আমাদের কোনো অর্থবহ দিকনির্দেশনা দেখাতে পারবে না।

৫.

অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে সামষ্টিক অর্থনৈতিক কার্যক্রম যত সক্রিয় হবে, রিজার্ভের পরিমাণও তত পরিবর্তিত হবে। ফলে রিজার্ভের পরিমাণের প্রতিদিনের ওঠানামা জনপরিসরের আলোচনার কেন্দ্রে মূলত অগভীর অর্থনৈতিক বিশ্লেষণকে উৎসাহিত করে এবং গুরুত্বপূর্ণ কাঠামোগত ও বিশ্লেষণমুখী বিষয়গুলোকে আড়ালে রেখে দেয়।

উদাহরণস্বরূপ, দেশীয় বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ধারাবাহিক ডলার ক্রয়-বিক্রয়ের প্রভাব কী? কিংবা যদি বৈদেশিক মুদ্রানীতি ও নিয়ন্ত্রণব্যবস্থাকে আরও উদার করা হয়, তবে তা দেশের রিজার্ভের ওপর কী প্রভাব ফেলবে?

আবার একটি মৌলিক কিন্তু কম আলোচিত প্রশ্ন হলো, কীভাবে প্রবাসী আয়নির্ভরতা হ্রাস করে রিজার্ভের টেকসই ভিত্তি তৈরি করা সম্ভব? অথবা বাংলাদেশ থেকে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ যদি বৈধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়, তাহলে তা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও বৈদেশিক মুদ্রার বাজারকে কীভাবে প্রভাবিত করবে?

এ ধরনের গঠনমূলক প্রশ্ন ও আলোচনাগুলো সামনে নিয়ে আসা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য অত্যন্ত জরুরি। রিজার্ভের দৈনন্দিন উত্থান-পতন নিয়ে ‘ফেটিশিজম’ পরিহার করা।

আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য হওয়া উচিত বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের আন্তর্জাতিক রিজার্ভ ব্যবস্থাপনার জবাবদিহি, স্বচ্ছতা, দক্ষতা ও দায়িত্বশীলতা নিয়ে তথ্যনির্ভর ও বস্তুনিষ্ঠ আলোচনা করা।

এর কারণ, আবেগপ্রবণ প্রতিক্রিয়া নয়, বরং প্রাজ্ঞ আলোচনা ও সমালোচনাই জাতীয় অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।

রিজার্ভ নিয়ে অহেতুক আবেগ নয়, বরং বাস্তব তথ্যের ওপর ভিত্তি করে নীতিনির্ধারণই আমাদের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে পারে।

  • জ্যোতি রাহমান অর্থনীতিবিষয়ক লেখক; আইএমএফের হয়ে বিভিন্ন দেশে কাজ করেছেন।

  • লেখায় সহায়তা করেছেন ফিন্যান্সিয়াল সেক্টর পলিসি স্পেশালিস্ট আসিফ ইকবাল

    *মতামত লেখকের নিজস্ব