
স্থানীয় পর্যায়ে সুশাসন নিশ্চিতকরণের জন্য একটি কার্যকর স্থানীয় সরকারব্যবস্থার কোনো বিকল্প নেই। স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো কেন দ্রুত বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন, তা নিয়ে লিখেছেন আমীর মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, পারভেজ আজহারুল হক, মোহাম্মদ সেলিম, তৈয়বুর রহমান, আব্দুল লতিফ মাসুম ও ফাতেমা খাতুন
স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে স্থানীয় সরকারকে কার্যকরভাবে গড়ে তোলা এবং স্থানীয় পর্যায়ে সুশাসন নিশ্চিতকল্পে বিভিন্ন সময়ে সাতটি কমিশন ও কমিটি গঠিত হলেও সেসব কমিশন এবং কমিটির সুপারিশ কখনোই কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন হয়নি। চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশে আরেকবার গণতান্ত্রিক রূপান্তরের সম্ভাবনার দুয়ার খুলে যায়।
গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষা থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করেছিল। এর মধ্যে অন্যতম একটি কমিশন হচ্ছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন। স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে গত ২০ এপ্রিল অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর চূড়ান্ত প্রতিবেদন পেশ করে।
আমরা প্রতিবেদনটি মনোযোগসহকারে পড়েছি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি , কালবিলম্ব না করে কমিশনের উল্লেখযোগ্য সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন করুন।
স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনটি অত্যন্ত সুলিখিত, গবেষণাভিত্তিক এবং বাস্তব সমস্যা নিরসনমূলক। এখানে সংগঠন, আইন, রাজনীতি, রাজনৈতিক সংস্কৃতি, ইতিহাসের ধারাবাহিকতা এবং দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত সমস্যার প্রায় সব কটি দিক বিবেচনা করা হয়েছে। রয়েছে আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে নানা সৃজনশীল প্রস্তাব, যা স্থানীয় সংগঠনের নীতি, কাঠামো ও চর্চায় আমাদের শাসনব্যবস্থায় সুদূরপ্রসারী ইতিবাচক পরিবর্তন সূচনা করতে পারে।
বর্তমানে ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পরিষদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কেউই সার্বক্ষণিক নন। কাজের ধরন ও প্রকৃতি মূলত খণ্ডকালীন। খণ্ডকালীন নির্বাহী দিয়ে একটি প্রতিষ্ঠানকে দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করা সম্ভব হয় না। বর্তমান সংস্কার প্রস্তাবে প্রতিটি স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে সার্বক্ষণিক ও খণ্ডকালীন দুই ধরনের নির্বাচিত প্রতিনিধির সমন্বয়ের সুপারিশ করা হয়েছে।
সুপারিশ অনুসারে সব পরিষদ (ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা) চেয়ারম্যানরা এবং পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের মেয়ররা সার্বক্ষণিক নির্বাহী হিসেবে গণ্য হবেন। উপরন্তু তাঁরা তাঁদের পছন্দমতো ৩ থেকে ১০ জন সদস্য/কাউন্সিলর নিয়ে ‘চেয়ারম্যান পরিষদ’ ও ‘মেয়র পরিষদ’ গঠন করতে পারবেন। তবে চেয়ারম্যান ও মেয়ররা পরিষদের সদস্যদের মধ্য থেকে সদস্যদের মাধ্যমে নির্বাচিত হবেন।
পদাধিকারবলে সদস্যপদ দান রহিত করার সুপারিশ করে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে ওয়ার্ড সদস্য নির্বাচনের ব্যবস্থার প্রস্তাব করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ জনসংখ্যা নিয়ে একটি ওয়ার্ড হতে পারে। সে হিসাবে বিদ্যমান ইউনিয়ন পরিষদগুলোয় জনসংখ্যা ও আয়তন অনুসারে ৯ থেকে ৩৯টি ওয়ার্ড হতে পারে।
একটি উপজেলার অধীন ইউনিয়ন পরিষদগুলো উপজেলা পরিষদের তিনটি ওয়ার্ডে বিভক্ত হবে। এভাবে একটি উপজেলা পরিষদে ইউনিয়ন ও পৌরসভার তিন গুণ সদস্য নির্বাচিত হবেন। একইভাবে প্রতিটি উপজেলা জেলা পরিষদের তিনটি ওয়ার্ড হতে পারে। উপজেলার সংখ্যা অনুসারে জেলা পরিষদের সদস্যসংখ্যা নির্ধারিত হবে।
বর্তমান সময়ে স্থানীয় সরকারব্যবস্থা সংস্কারের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো প্রচলিত স্থানীয় শাসনব্যবস্থাকে রাষ্ট্রপতিশাসিত একটি একক ব্যক্তি আধিপত্যাধীন ব্যবস্থা থেকে সমতাভিত্তিক সংসদীয় ব্যবস্থায় পুনর্গঠন করা, অংশগ্রহণমূলক সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং যৌথ নেতৃত্ব নিশ্চিত করা। বর্তমানে সদস্য বা কাউন্সিলরদের মধ্যে যোগ্য ব্যক্তিদের অবদান ও ভূমিকা পালনে নিরুৎসাহিত হয়।
সুপারিশ করা ব্যবস্থায় যোগ্য ব্যক্তিরা সদস্য ও কাউন্সিলর নির্বাচনে অংশগ্রহণে উৎসাহিত হবেন। যাঁরা চেয়ারম্যান বা মেয়র হতে আগ্রহী, তাঁরা প্রথমে সদস্য-কাউন্সিলর নির্বাচিত হবেন। তৃণমূল পর্যায়ে নেতৃত্বের বিকাশ ও জবাবদিহি বৃদ্ধি পাবে। পরিষদ পর্যায়ে সংসদের মতো আলোচনা, তর্কবিতর্কের একটি পরিবেশ সৃষ্টি হবে।
স্থানীয় সরকারের প্রতিটি স্তরে দুটি অংশ বা কক্ষ থাকবে; একটি নির্বাহী এবং অন্যটি আইনসভা প্রকৃতির। একে বিধানিক অংশ বলা হয়েছে, যা কাউন্সিলকে বিতর্ক, আলোচনা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করবে। এর ফলে ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন প্রতিটি প্রতিষ্ঠান এক একটি ‘মিনি পার্লামেন্টে’ রূপান্তরিত হবে।
স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর আইন ও সাংগঠনিক কাঠামোর কারণে বহুস্তরীয় স্থানীয় নির্বাচন ব্যবস্থা রয়েছে। ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পরিষদের আইন ও সাংগঠনিক কাঠামো সম্পূর্ণ ভিন্ন। একটির সাংগঠনিক কাঠামোর সঙ্গে অপরটির কোনো সামঞ্জস্য বা মিল নেই। প্রতিটি স্তরের নির্বাচনব্যবস্থাও তাই ভিন্ন।
একটি পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত পাঁচটি স্থানীয় পরিষদ নির্বাচনে ২ হাজার ৩৮৬ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে এবং ১৯ লাখ ৬২ হাজার লোকবল নিয়োজিত ছিল। অনায়াসে স্থানীয় সরকারের নির্বাচনের এ ব্যয় ৬০০-৭০০ কেটি টাকায় নামিয়ে এনে ১৯ লাখের পরিবর্তে ৯ লাখ জনবল নিয়োগ করে স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করা যায়।
নির্বাচন অনুষ্ঠানের মেয়াদকাল পাঁচটি নির্বাচনের তফসিল বিবেচনায় ২২৫ দিন থেকে ৪৫ দিনে নামিয়ে আনা সম্ভব। ৩৬৫ দিনের একটি বছরে আমরা ২২৫ দিন শুধু অর্থহীন নির্বাচনে ব্যয় করে থাকি। নির্বাচন কমিশনকে বিভিন্ন সময়ের স্থানীয় নির্বাচনের জন্য ১৫ থেকে ২১টি বিধি ও আচরণবিধিমালা তৈরি করতে হয়। এখানে যথাযথ সংস্কার হলে এক বা দুটি বিধিমালার মাধ্যমে সব স্থানীয় নির্বাচন একটিমাত্র তফসিলে সম্পন্ন হতে পারে। এতে সরকারি কর্মকর্তা ও সরকারের অনেক সময় ও অর্থ এবং ব্যক্তি পর্যায়েও প্রচুর অর্থ সাশ্রয় হবে।
দেশে বিদ্যমান তিন স্তরবিশিষ্ট গ্রামীণ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান তথা নিম্নস্তর থেকে ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও জেলা পরিষদ এবং নগরাঞ্চলে দুটি প্রতিষ্ঠান যথা পৌরসভা এবং সিটি করপোরেশন রয়েছে। প্রথমে এ প্রতিষ্ঠানগুলোর কাঠামো এবং বিরাজিত আইনগুলোর পারস্পরিক সম্পর্ক ও সমস্যা এবং তা সমাধানের পথ অনুসন্ধানের বিষয়টি কমিশনের কাজে প্রাধান্য পেয়েছে।
আইনের সঙ্গে বিদ্যমান সাংগঠনিক কাঠামোর অসামঞ্জস্য দূর করে সব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের জন্য অভিন্ন ও সহজবোধ্য একটি গণতান্ত্রিক সংগঠন কাঠামো সৃষ্টির উপায় উদ্ভাবন করা প্রয়োজন ছিল। সেই পটভূমি থেকে সব স্তরের জন্য সমজাতীয় সাংগঠনিক কাঠামো ও একীভূত একটি একক আইনের খসড়া রচনা করা হয়েছে। আইনটি অবশ্যই বিবেচনার দাবি রাখে।
স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান এবং দেশের প্রশাসনিক এককগুলো সমান্তরালে অবস্থান করে। যেমন উপজেলা পরিষদ ও উপজেলার কর্মরত সরকারি দপ্তর ও কর্মচারী পাশাপাশি অবস্থান করেও যেন জল ও তেলের মতো পরস্পর মেশে না। এখানে তাই ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত একীভূত ও সমন্বিত প্রশাসন এবং উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান সৃষ্টির সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হয়েছে।
ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পরিষদের পৃথক কর্মতালিকা রয়েছে। একইভাবে পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের বিশাল কার্যতালিকা থাকলেও তার পেছনে কর্মী, কর্ম ও আর্থিক সহায়তা অবিশ্বাস্যভাবে অপ্রতুল। এটাকে বলা যায় ‘বরাদ্দবিহীন ও কর্মিবিহীন কর্মক্ষেত্র’। এ বিষয়ে বিচার-বিশ্লেষণ করে কমিশন একটি টেকসই পথনকশা যথাযথভাবে সুপারিশের অন্তর্ভুক্ত করেছে।
জেলা পরিষদ মূলত একটি অকার্যকর প্রতিষ্ঠান। এখানে জনসম্পৃক্ত কোনো নির্বাচন নেই। জেলার কাজ, কার্যনির্বাহী ও বরাদ্দকৃত অর্থের সাধারণ এবং সমন্বিত কোনো পরিবীক্ষণ বা নিয়ন্ত্রণ নেই। জেলায় একীভূত ও জবাবদিহিমূলক কোনো প্রশাসন কাঠামো নেই। যা আছে তা হচ্ছে, কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণে পরস্পরবিচ্ছিন্ন ৪০টির মতো দপ্তর-অধিদপ্তরের মাঠ কার্যক্রম। এ ক্ষেত্রে জেলা পরিষদ পুনর্গঠিত করে একটি সমন্বিত জেলা পরিকল্পনা ও জেলা বাজেটের ব্যবস্থা প্রণয়নের সুযোগকে গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হয়েছে।
বিদ্যমান পাঁচ-সাতটি পৃথক মৌলিক আইন ও শতাধিক অধস্তন আইন থাকার পরও শত শত প্রজ্ঞাপন দিয়ে স্থানীয় সরকার চালাতে হয়। এই জটিল আইন, বিধি ও সার্কুলারের কারণে স্থানীয় নেতারা কোনো আইনই অনুসরণ করেন না। প্রয়োজনে তাঁরা লবি-তদবির করে আরও একটি নতুন সার্কুলার বের করে কিংবা অফিসে ধরনা দিয়ে উৎকোচের মাধ্যমে কাজ আদায় করেন। তাই প্রয়োজন ব্যবহারবান্ধব একক আইন। স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন সঠিকভাবে এই ধরনর জটিল সমস্যাগুলো চিহ্নিত করেছে এবং জনগণের স্বার্থে স্থানীয় সরকারের সংগঠন ও আইনকে সময়োপযোগী, কার্যকর ও আরও প্রাণবন্ত করার জন্য সংস্কার প্রস্তাবগুলো প্রণয়ন করেছে।
স্থানীয় সরকারে কর্মরতদের জন্য একটি ‘স্থানীয় সরকার সার্ভিস’ কাঠামো গঠন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে কমিশনের কর্মপরিধিতে স্থান পেয়েছে। কারণ, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো উপযুক্ত ও যোগ্য কর্মচারীর অভাবে ভুগছে। অপর দিকে নানাভাবে নিয়োগ পাওয়া কর্মীদের চাকরির অনিশ্চয়তা দূর করার কোনো যৌক্তিক প্রশাসনিক কাঠামো নেই। অনেকের কোনো পেশাগত কর্মপরিকল্পনা নেই, নেই কোনো অবসর-সুবিধা। বিষয়টি আগে গঠিত তিনটি কমিশনের প্রতিবেদনেও গুরুত্বসহকারে আলোচিত হয়েছে।
স্থানীয় সরকারকে অব্যাহত জ্ঞান ও বুদ্ধিভিত্তিক দিকনির্দেশনা দেওয়া, বিদ্যমান আইন-কানুনে নিরন্তর কল্যাণমুখী পরিবর্তন, অর্থায়নে সমতা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা, বিভিন্ন সময়ে উদ্ভূত দ্বন্দ্ব-সংঘাত নিরসন ইত্যাদি কাজে কার্যকর সহায়তার জন্য স্থায়ী স্থানীয় সরকার কমিশন গঠনের প্রস্তাবটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি স্থায়ী স্থানীয় সরকার কমিশন গঠন করা হলে স্থানীয় সরকারব্যবস্থার উন্নয়ন ও কার্যকারিতা বহুগুণ বৃদ্ধি পেতে পারে।
পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থানীয় সরকারব্যবস্থা-সংক্রান্ত একাধিক আইন ও বিধান বিদ্যমান। আঞ্চলিক পরিষদ আইন, তিনটি পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড আইন, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ আইন, পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি, ১৯০০—এ রকম একাধিক আইনের ফলে প্রায়ই এখতিয়ার, ক্ষমতা ও দায়িত্বের ক্ষেত্রে জটিলতা ও অস্পষ্টতা দেখা দেয়।
দীর্ঘদিন ধরে পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা ও আঞ্চলিক পরিষদে নির্বাচন না হওয়ায় পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থানীয় সরকারব্যবস্থার বৈধতায় সংকট দেখা দিয়েছে। অনির্বাচিত ব্যক্তিদের দ্বারা পরিচালিত হওয়ার ফলে এই প্রতিষ্ঠানগুলো জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে পারছে না। তাই পার্বত্য এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রামের সব প্রতিষ্ঠানের গণতন্ত্রায়ণ ও প্রশাসন উন্নয়নে সব জনগণের কার্যকর সম্পৃক্ততা সৃষ্টি সেখানে শান্তি ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার অন্যতম পূর্বশর্ত।
‘স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন’ প্রতিবেদনের প্রথম খণ্ডে ১৮টি অধ্যায় এবং দ্বিতীয় খণ্ডে চারটি আইনের খসড়া রয়েছে। এখানে ১৪তম অধ্যায়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং দপ্তর-অধিদপ্তর পর্যায়ের সংস্কার প্রস্তাবগুলো বিশেষভাবে প্রণিধানযোগ্য। দ্বিতীয় খণ্ডের একীভূত স্থানীয় আইনের খসড়াটি অবশ্যই অবিলম্বে পাস করার ব্যবস্থা করতে বিশেষভাবে সুপারিশ করি।
আমীর মোহাম্মদ নসরুল্লাহ অধ্যাপক, লোকপ্রশাসন বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
পারভেজ আজহারুল হক অধ্যাপক, লোকপ্রশাসন বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
মোহাম্মদ সেলিম অধ্যাপক লোকপ্রশাসন বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
তৈয়বুর রহমান উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
আব্দুল লতিফ মাসুম সাবেক অধ্যাপক, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
ফাতেমা খাতুন অধ্যাপক লোকপ্রশাসন বিভাগ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
মতামত লেখকদের নিজস্ব