
কাঁচাবাজার থেকে আধুনিক শপিং মল—সব জায়গায়ই এখন পলিথিনের রাজত্ব চলছে। লন্ড্রি থেকে কাপড় নিলে, আধা কেজি সবজি কিনলেও হাতে আসে দুটি করে পলিথিন ব্যাগ। কারণ, নিয়ন্ত্রণহীনভাবে পলিথিন উৎপাদনে খরচ খুবই কম। অথচ এই অপচনশীল পলিথিনের আয়ু নাকি ৫০০ বছর পর্যন্ত! কিছুদিন আগে খবরে দেখা গেছে, কর্ণফুলী নদীর তলদেশ ড্রেজিং করা যাচ্ছে না, কারণ সেখানে দুই থেকে সাত মিটার পর্যন্ত পলিথিনের স্তর জমে গেছে। ফলে অত্যাধুনিক ড্রেজিং মেশিনও কাজ করতে পারছে না। শুধু কর্ণফুলী নয়, দেশের প্রায় সব নদ-নদীরই এই মরণদশা এখন বাস্তবতা।
পলিথিন ব্যাগের পাশাপাশি চিপসের মোড়ক, বিভিন্ন প্লাস্টিক বোতল, ই-বর্জ্য—সব মিলিয়ে এখন দেশের পরিবেশ গভীর সংকটে। যদিও অন্যান্য বর্জ্য নিয়ন্ত্রণ কঠিন, কিন্তু পলিথিন নিয়ন্ত্রণে স্পষ্ট আইন রয়েছে, যার অধীনে এর উৎপাদন ও বিক্রি নিষিদ্ধ।
কিছুদিন আগে এক দেশীয় বিজ্ঞানী পাট থেকে পলিথিনের বিকল্প উপাদান উদ্ভাবন করে প্রশংসিত হয়েছেন। বাণিজ্যিকভাবে তা উৎপাদন ও বাজারজাত করার দাবি উঠলেও অজানা কারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখনো নীরব। ১৮ কোটি মানুষের এই দেশে প্রতিদিন তৈরি হচ্ছে হাজার হাজার টন প্লাস্টিক বর্জ্য। তাই বলা যায়, অন্তত পলিথিন ব্যাগের উৎপাদন কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা এখন সময়ের দাবি।
নূরুল আমিন
ঢাকা