ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের একজন অধ্যাপকের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে গভীরভাবে নাড়া দিয়েছে। শিক্ষার্থীরা তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এবং পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে—এটি গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ। কিন্তু মূল বিষয় হলো, অভিযোগগুলোর ন্যায়সংগত বিচার নিশ্চিত করা। শিক্ষার্থীরা যে যৌন নির্যাতন, বলাৎকার এবং মানসিক ও শারীরিক হয়রানির কথা জানিয়েছেন, তা কোনোভাবেই ক্ষমাযোগ্য নয়।
এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি যত প্রভাবশালী হোক না কেন সেটা ক্ষমার যোগ্য নয়। অপরাধ প্রমাণিত হলে অধ্যাপককে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া আবশ্যক। নজিরবিহীন শাস্তি ছাড়া ভবিষ্যতে এমন অপরাধ প্রতিরোধ সম্ভব নয়।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও মানসিক সুস্থতার বিষয়টি বিশেষভাবে দেখা উচিত। পরিচয় গোপন রাখা, প্রয়োজনীয় কাউন্সেলিং সুবিধা এবং আইনি সহায়তা নিশ্চিত করা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব। যৌন হয়রানি প্রতিরোধ সেলকে আরও কার্যকর করা এখন সময়ের দাবি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন ব্যবস্থা থাকা উচিত যেখানে শিক্ষার্থীরা ভয় ছাড়াই অভিযোগ জানাতে পারে এবং কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তি বিচারপ্রক্রিয়া ব্যাহত করতে না পারে। শিক্ষক নিয়োগে নৈতিকতা ও আচরণ যাচাইয়ের প্রক্রিয়া উন্নয়নও জরুরি।
আমরা চাই একটি নিরাপদ বিশ্ববিদ্যালয়, যেখানে কোনো শিক্ষার্থীকে ভয় বা জুলুমের মধ্যে দিয়ে শিক্ষাজীবন কাটাতে না হয়। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হোক—এটাই আমাদের দাবি।
নুসরাত রুষা শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়