
মানুষের আত্মিক উন্নয়নের মাধ্যমে উন্নত জাতি গঠনে চলচ্চিত্রশিল্প বড় ভূমিকা রাখতে পারে। এমন মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২০ প্রদান অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
হাছান মাহমুদ বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়েছে। মানুষের আত্মিক উন্নয়নের মাধ্যমে একটি উন্নত জাতি গঠন করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। এ জন্য যে সাংস্কৃতিক আন্দোলন ও শিল্প-সংস্কৃতির বিকাশ প্রয়োজন, চলচ্চিত্রশিল্প সে ক্ষেত্রে একটি বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
দেশে চলচ্চিত্রশিল্পের সূচনা নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু অনুধাবন করেছিলেন, পাকিস্তান রাষ্ট্রব্যবস্থায় বাঙালির মুক্তি নিহিত নেই। বঙ্গবন্ধু বুঝতে পেরেছিলেন, পাকিস্তানিরা আমাদের কৃষ্টি, ভাষা ও সংস্কৃতির ওপর আঘাত হানছে। তাই প্রাদেশিক শিল্পমন্ত্রী থাকাকালে এই জনপদের কৃষ্টি-সংস্কৃতি রক্ষা ও চলচ্চিত্রশিল্পের বিকাশের লক্ষ্যে তিনি ১৯৫৭ সালে প্রাদেশিক পরিষদে চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন বিল উত্থাপন করেন। সেই থেকে এ দেশে চলচ্চিত্রশিল্পের প্রাতিষ্ঠানিক যাত্রা শুরু।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এরপর বহু কালজয়ী চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে এবং অনেক চলচ্চিত্র আমাদের স্বাধিকার আদায়ের আন্দোলনে, স্বাধীনতাসংগ্রাম ও স্বাধীনতা–পরবর্তী দেশ গঠনে ভূমিকা রেখেছে।’ তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যে চলচ্চিত্রশিল্পের যাত্রা শুরু হয়েছে, তাঁর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই চলচ্চিত্রশিল্প শুধু স্বর্ণালী দিনই ফিরে পাবে না, বিশ্বদরবারেও স্থান করে নেবে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন। তাঁর পক্ষে তথ্যমন্ত্রী বিজয়ীদের হাতে চলচ্চিত্র পুরস্কার তুলে দেন। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মকবুল হোসেন এ সময় বক্তব্য দেন।