Thank you for trying Sticky AMP!!

কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়লে মেয়েদের বোরকা পরতে হবে

শাহ আহমদ শফী। ফাইল ছবি

হেফাজত ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী বলেছেন, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের পড়াতে চাইলে বোরকা পরতে হবে। তাদের শিক্ষকও নারী হবেন।

আজ রোববার সন্ধ্যায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে শাহ আহমদ শফী এসব কথা বলেন। একই সঙ্গে কারও বক্তব্য বিকৃত না করার অনুরোধ জানান তিনি। এতে সাধারণ মানুষের মধে৵ বিভ্রান্তির সৃষ্টি ও ভুল–বোঝাবুঝি হয় বলে অভিমত হেফাজতের আমিরের।

বিবৃতিতে আহমদ শফী বলেন, ‘কারও বক্তব্যকে ব্যাখ্যা দিতে হলে আপনাকে তাঁর কথা বুঝতে হবে। অনুধাবন করতে হবে। না বুঝে নিজের মতো করে ব্যাখ্যা দাঁড় করানো একধরনের অপরাধ। আর খণ্ডিত বক্তব্যকে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা আরও বড় অপরাধ। কোনো কিছু লিখতে চাইলে সুস্থ মস্তিষ্কে চিন্তাশীল হয়ে সঠিক কথাটি লিখবেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘একটি মহল আমাকে বিতর্কিত করতে মরিয়া হয়ে মাঠে নেমেছে। আমাকে নারী বিদ্বেষী, নারীশিক্ষাবিরোধী হিসেবে উপস্থাপন করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। আমি এসব কথার জবাব দিয়েছি।’

বিবৃতিতে হেফাজত আমির বলেন, আবারও বলছি, নারীদের জন্য
নিরাপদ পরিবেশে শিক্ষার ব্যবস্থা করুন এবং তাদের জীবন ও ইজ্জতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। কেউ কারও কন্যাকে অনিরাপদ পরিবেশের দিকে ঠেলে দিতে পারে না। কারণ, দৈনিক পত্রিকা খুললেই প্রতিদিন চোখে পড়ছে কোথাও না কোথাও কোনো নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছে অথবা খুন করা হয়েছে। নৈতিকতা অর্জন না হলে ধর্ষণ, খুন ও উত্ত্যক্তকরণ বন্ধ হবে না। নারীর প্রতি বৈষম্য দূর হবে না। ইসলামই ফিরিয়ে দিয়েছে নারীর প্রকৃত সম্মান। আমার কথার সারাংশ হলো উচ্চশিক্ষা কিংবা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াতে চাইলে বোরকা পরতে হবে এবং তাদের শিক্ষকও মহিলা হবেন।

গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর চট্টগ্রামের হাটহাজারীর দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার বার্ষিক মাহফিলে হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী বলেন, ‘আপনাদের মেয়েদের স্কুল-কলেজে দেবেন না। বেশি হলে ক্লাস ফোর বা ফাইভ পর্যন্ত পড়াতে পারবেন। বিয়ে দিলে স্বামীর টাকাপয়সা হিসাব করতে হবে। চিঠি লিখতে হবে স্বামীর কাছে। আর বেশি যদি পড়ান, পত্রপত্রিকায় দেখছেন আপনারা, মেয়েকে ক্লাস এইট, নাইন, টেন, এমএ, বিএ পর্যন্ত পড়ালে ওই মেয়ে আপনার মেয়ে থাকবে না। অন্য কেহ নিয়ে যাবে। পত্রপত্রিকায় এ রকম ঘটনা আছে কি না? ওয়াদা করেন। বেশি পড়ালে মেয়ে আপনাদের থাকবে না। টানাটানি করে নিয়ে যাবে আরেকজন পুরুষ। ওই বক্তবে৵র পর দেশজুড়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এরপরই রোববার তিনি আবার বিবৃতি দিলেন।’

ওই মাহফিলে চট্টগ্রাম ও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মাদ্রাসার সাবেক শিক্ষার্থী ও স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন। চট্টগ্রামের হাটহাজারীর দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার মহাপরিচালক হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী।
আরও পড়ুন 
মেয়েদের স্কুল-কলেজে দেবেন না: আহমদ শফী