সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়ার নানা দিক তুলে ধরেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে
সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়ার নানা দিক তুলে ধরেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে

আরপিও সংশোধন

মামলায় পলাতক আসামিরা জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না

মামলায় পলাতক আসামিরা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। এমন বিধান যুক্ত করে নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।

আজ বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে ঢাকার তেজগাঁওয়ে তাঁর কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক হয়। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়ার নানা দিক তুলে ধরে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, বিভিন্ন মামলায় পলাতক ব্যক্তিরা নির্বাচন করতে পারবেন না, এটিও যুক্ত করা হয়েছে।

পলাতক আসামি বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘পলাতক হচ্ছে—আদালত যখন পলাতক ঘোষণা করেন। যেদিন আদালত আপনাকে আসতে বলছেন, পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে, আসছেন না—আদালত পলাতক ঘোষণা করেন। বিচার চলাকালে পলাতক হয়।’

এর আগে এ মাসেই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে সংশোধনী আনা হয়েছে। সেই সংশোধনী অনুযায়ী মানবতাবিরোধী অপরাধের কোনো মামলায় কারও বিরুদ্ধে ফরমাল চার্জ বা আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হলে সেই ব্যক্তি জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে

গত বছর জুলাই অভ্যুত্থান চলাকালে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আওয়ামী লীগের (বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ) অনেক নেতার বিচার চলছে। এ ছাড়া অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দলটির বহু নেতা আত্মগোপনে চলে গেছেন, যাঁদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী–এমপিরা রয়েছেন। তাঁদের প্রায় সবার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, হত্যা, হত্যাচেষ্টাসহ নানা অভিযোগে মামলা হয়েছে। এই নেতারা আদালত থেকে পলাতক ঘোষিত হলে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ পাবেন না।