সবুজবাগ থানা নির্বাচন কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তাসনিম জারা। আজ সোমবার বিকেলে
সবুজবাগ থানা নির্বাচন কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তাসনিম জারা। আজ সোমবার বিকেলে

উই হ্যাভ মেড ইট: তাসনিম জারা

ঢাকা-৯ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য প্রয়োজনীয়সংখ্যক ভোটারের স্বাক্ষরসহ মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তাসনিম জারা। আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর সবুজবাগ থানা নির্বাচন কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি।

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জামায়াতে ইসলামীসহ আট দলের সঙ্গে আসন সমঝোতা করে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণার পর দলের যুগ্ম সদস্যসচিবের পদ থেকে পদত্যাগ করেন তাসনিম জারা। ঢাকা–৯ আসনে এনসিপি থেকে প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন পাওয়া চিকিৎসক তাসনিম জারা পরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে ঘোষণা দেন। এর জন্য তাঁর প্রয়োজন হয় নির্বাচনী আসনের মোট ভোটারের ১ শতাংশের স্বাক্ষর। সংখ্যাটি দাঁড়ায় ৪ হাজার ৬৯৩ জন ভোটারের স্বাক্ষর। দুই দিনে এই স্বাক্ষর সংগ্রহ করে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন করোনাকালে অনলাইনে চিকিৎসাবিষয়ক নানা পরামর্শ দিয়ে পরিচিত হয়ে ওঠা তাসনিম জারা।

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর সোমবার রাত ৯টা ১৭ মিনিটে একটি ফেসবুক পোস্টে তাসনিম জারা লিখেছেন, ‘উই হ্যাভ মেড ইট!!! (আমরা এটা করেছি)।’

পরে জানতে চাইলে তাসনিম জারা প্রথম আলোকে বলেন, মাত্র দেড় দিন সময়ে প্রায় পাঁচ হাজার ভোটারের নাম, স্বাক্ষর ও অন‍্যান‍্য তথ‍্য জোগাড় করা ছিল প্রায় অসম্ভব একটা কাজ। কোনো দল, সংগঠন বা সহযোগী ছাড়া একেবারে শূন্য থেকেই শুরু করতে হয়েছে; কিন্তু মানুষ অভূতপূর্ব সাড়া দিয়েছেন।

তাসনিম জারা বলেন, অনেকে কনকনে শীতের সকাল ৭টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত সঙ্গে থেকেছেন। নিজে স্বাক্ষর করেছেন, পরিবারের সবাইকে নিয়ে এসেছেন। ছোট ছোট টিম ফর্ম (দল গঠন) করে নিজেদের পরিবার ও প্রতিবেশীদের কাছ থেকে ১০-২০-৪০টা করে স্বাক্ষর নিয়ে এসেছেন। এই অগাধ ভালোবাসা ছাড়া মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া কখনোই সম্ভব হতো না।

‘মনে হচ্ছে সত্যি জনগণের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিতে পারলাম,’ বলেন তাসনিম জারা।

ঢাকা–৯ আসনে খিলগাঁও, সবুজবাগ, মুগদা থানা ও মান্ডা এলাকা অন্তর্ভুক্ত। এখানে মোট ভোটার ৪ লাখ ৬৯ হাজার ৩০০ জন।

এনসিপি থেকে পদত্যাগ করে রোববার সকাল থেকে ভোটারদের স্বাক্ষর সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু করেন তাসনিম জারা। এক দিনে প্রায় তিন হাজার ভোটারের স্বাক্ষর সংগ্রহ করেন। শেষ দিনে আজ তাঁর প্রয়োজন ছিল প্রায় ১ হাজার ৫০০ স্বাক্ষর। সকাল থেকে স্বাক্ষর সংগ্রহ শুরু করে তিনি এ লক্ষ্য পূরণ করেন।