
ময়মনসিংহের ভালুকায় পোশাকশ্রমিক দীপু চন্দ্র দাসকে পিটিয়ে হত্যা এবং বস্ত্রহীন করে গাছে ঝুলিয়ে আগুনে পোড়ানোর ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। দলটি বলেছে, এ ঘটনা সমাজ থেকে মনুষ্যত্ববোধ ও যুক্তিবোধ উধাও হয়ে যাওয়ার নজির।
আজ শনিবার সিপিবির সভাপতি কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ ক্বাফী রতনের পক্ষ থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়। নেতৃদ্বয় বলেন, ‘দেশে প্রাণের অধিকার ও আইনের শাসন নেই। উপরন্তু সরকারের কোনো অস্তিত্ব আছে বলে মনে হচ্ছে না।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ভালুকার হত্যাকাণ্ডটি শুধুই নিছক কোনো নৃশংস ঘটনা নয়। সমাজ থেকে মনুষ্যত্ববোধ ও যুক্তিবোধ উধাও হয়ে যাওয়ার নজির। হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া বা দাঁড়িয়ে প্রত্যক্ষ করা শত শত মানুষ যে পৈশাচিক অপরাধে শামিল হয়েছে, সেটা এক ভয়াবহ সামাজিক মনোবৈকল্যকে নির্দেশ করে।’
দেশের এই শোচনীয় অবস্থার দায় অন্তর্বর্তী সরকারকে নিতে হবে উল্লেখ করে সিপিবির নেতারা বলেন, ‘ভালুকাসহ সারা দেশে চলমান সকল বীভৎসতার প্রধান কারণ দেশে ন্যূনতম আইনের শাসন না থাকা। ফলে এখানে প্রাণের অধিকার বলেও কিছু নেই।’
‘হয় দেশে কোনো সরকারের অস্তিত্ব নেই, অথবা সরকারের মদদেই দেশে দ্বৈতশাসন চালু হয়েছে’—উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘অধ্যাপক ইউনূস সরকার যে সংবিধানের অধীন শপথ নিয়েছে, বাস্তবে সেই সংবিধান ও আইনকে পাশ কাটিয়ে শরিয়াহ আইনের প্রচলন ঘটানো হয়েছে। মিথ্যা অপবাদ মাথায় নিয়ে যার নিষ্ঠুর শিকার হয়েছেন দীপু চন্দ্র দাস।’