
নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করাকেই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ মনে করছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। সে জন্য ‘নির্বাচনী পরিবেশ মনিটরিং কমিটি’ গঠনের দাবি জানিয়েছেন তিনি। আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাওয়ে নির্বাচন ভবনে সাতটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সংলাপে তিনি এই দাবি জানান।
জোনায়েদ সাকির প্রস্তাবিত এই কমিটিতে সরকার, নির্বাচন কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরা থাকবেন। কমিটির কাজ হবে সংঘাত কমাতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানো।
জোনায়েদ সাকি মনে করেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা না থাকলে নির্বাচন কমিশন কেবল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিয়ে ভালো নির্বাচন করতে পারবে না। অতীতে যখন রাজনৈতিক দলগুলো সহযোগিতা করেছে, তখনই কেবল দেশে ভালো নির্বাচন হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকার আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে। তার আগে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ এবং নির্বাচনী বিধিমালা সংস্কার করা হয়েছে।
জোটবদ্ধ হলেও দলগুলোর নিজস্ব প্রতীকে অংশগ্রহণের বাধ্যবাধকতা তুলে নেওয়ার সুপারিশ সংলাপে করেন জোনায়েদ সাকি। একই সঙ্গে ব্যালট পেপারে দলের প্রতীক যেন সহজে বোঝা যায়, সেই বিষয়ে উদ্যোগ নিতে ইসিকে পরামর্শ দেন তিনি। জোনায়েদ সাকি বলেন, নতুন দলগুলোর জন্য প্রতীক স্পষ্ট হওয়া খুবই প্রয়োজন।
ফেস্টুন, বিলবোর্ড ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে প্রশ্ন তুলে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘ইতিমধ্যেই হাজার হাজার ফেস্টুন ও বিলবোর্ড লাগানো হয়েছে, যা কমিশন নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। যেহেতু নির্বাচন কমিশন প্রার্থীর প্রচারের দায়িত্ব নিচ্ছে না, তাই প্রার্থীর জন্য এমন প্রচারের ব্যবস্থা করা উচিত, যা একটি ন্যায্য জায়গা তৈরি করে।’
সংলাপে গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষ থেকে আরও বেশ কয়েকটি দাবি তুলে ধরা হয়। সেগুলো হলো গণভোট এবং জাতীয় নির্বাচনের জন্য আলাদা বুথ ও আলাদা গণনাপদ্ধতি রাখা, ভোটকেন্দ্রে গণমাধ্যমের উপস্থিতি নিশ্চিত করা, আর্থিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে প্রার্থীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের পাশাপাশি মোবাইল ফাইনান্সিংয়ের মাধ্যমে লেনদেনের তথ্যও ইসিতে জমা নেওয়া।