Thank you for trying Sticky AMP!!

গাইবান্ধায় ভোট স্থগিত বোধগম্য নয়: আ.লীগ নেতা হানিফ

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব উল আলম হানিফ

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) কেন গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ স্থগিত করেছে, তা তিনি বুঝে উঠতে পারছেন না। তিনি বলেন, এই নির্বাচনে কোনো কেন্দ্রে গোলযোগ হয়নি, এমনকি ন্যূনতম মারামারির ঘটনাও ঘটেনি। তারপরেও নির্বাচন কমিশনের ওই সিদ্ধান্তে অবাক হয়েছেন তাঁরা।

অনিয়মের অভিযোগে আজ বুধবার  গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। এরপর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়া জানান ক্ষমতাসীন দলের নেতা মাহবুব উল আলম হানিফ। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি কেন্দ্রেই শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণ চলছিল। দলীয় নেতা-কর্মীদের কাছ থেকে টেলিফোন করে খোঁজ নিলাম।  কোথাও কোনো অনিয়ম হয়েছে, এ রকম কেউ বলতে পারেননি। জেলা প্রশাসনে কথা বলেছি, সেখানেও কোনো তথ্য নেই।’

Also Read: পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে, কোনো একটি পক্ষ প্রভাবিত করতে পারছে: সিইসি

মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘প্রথমে কিছু কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করে আবার সব কেন্দ্রে স্থগিত, এরপর নির্বাচন কেন স্থগিত করা হলো। আমরা খুব অবাক হলাম। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু সেটা পারিনি।’
এর আগে দুপুরে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মাহাবুব উল আলম সাংবাদিকদের বলেছিলেন, গাইবান্ধা-৫ আসনের নির্বাচনে কোনো কেন্দ্রেই নৈরাজ্য হয়নি। কমিশন ভবনে বসে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে এতগুলো কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিতের সিদ্ধান্ত ইসি কীভাবে নিল, তা বোধগম্য নয়।

এই উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণে নানা অনিয়মের অভিযোগে প্রথমে ৫৩টি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল জানান, নির্বাচন ভবনে বসে সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছেন তাঁরা। নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সিসি ক্যামেরায় দেখা যায়, কোনো কোনো কেন্দ্রে প্রিসাইডিং অফিসার নিজেই ভোট দিয়ে দিচ্ছেন। কোথাও গোপন বুথে একাধিক ব্যক্তি আনাগোনা করছেন। ভোটে এমন ডাকাতির অনেক অভিযোগ পেয়েছে কমিশন। সে জন্যই নির্বাচনে প্রযুক্তি ব্যবহার করতে চায় ইসি।’