
প্রয়াত বামপন্থী রাজনীতিক ও তাত্ত্বিক বদরুদ্দীন উমর শাসকশ্রেণির ইতিহাস বিকৃতির বিরুদ্ধে আজীবন লেখনীর মাধ্যমে এক হাতে লড়াই করে গেছেন। শাসকশ্রেণির নির্মিত ইতিহাসে মিথ্যার মূর্তি ভেঙে দিয়েছেন। অতীতের গণসংগ্রামের নায়ক হিসেবে জনগণকে তিনি প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
পিকআপ ভ্যান শ্রমিক ঐক্য আয়োজিত স্মরণসভায় বক্তারা এ কথা বলেন। শুক্রবার বিকেলে ঢাকায় রায়েরবাজার বধ্যভূমি শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে এ স্মরণসভার আয়োজন করা হয়।
গত ৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বদরুদ্দীন উমর মারা যান। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর।
শ্রমিকনেতা মোহাম্মদ আলমগীর স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন। বক্তব্য দেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল সম্পাদক ফয়জুল হাকিম, বাংলাদেশ লেখক শিবিরের সাধারণ সম্পাদক শফী রহমান, ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের রফিক আহমেদ, ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৌরভ রায় ও ঢাকা অঞ্চলের সম্পাদক মো বুরহান। স্মরণসভার শুরুতে প্রয়াত বদরুদ্দীন উমরের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়।
স্মরণসভায় ফয়জুল হাকিম বলেন, ‘কমরেড বদরুদ্দীন উমর শাসকশ্রেণির ইতিহাস বিকৃতির বিরুদ্ধে আজীবন লেখনীর মাধ্যমে এক হাতে লড়াই করে গেছেন। অতীতের গণসংগ্রামের নায়ক হিসেবে জনগণকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।’
শফী রহমান বলেন, বড়লোকশ্রেণির শাসনকাঠামো উচ্ছেদ করে জনগণের হাতে ক্ষমতা আনা এবং সামাজিক মালিকানা কায়েমের লক্ষ্যে বদরুদ্দীন উমর আজীবন কাজ করে গেছেন।
রফিক আহমেদ বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী সরকার উচ্ছেদ হয়ে গেলেও শ্রমজীবী জনগণের অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। তাই অবস্থা পরিবর্তনের জন্য শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, সংগঠন গড়ে তুলতে হবে।