এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন
এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন

একটি দলকে সন্তুষ্ট করতে প্রধান উপদেষ্টা সময় বললে অন্যরা অসন্তুষ্ট হতো: সামান্তা শারমিন

বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের দিক থেকে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট সময় না বলার বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন।

নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে তিনি বলেছেন, একটি দলকে সন্তুষ্ট করার জন্য যদি প্রধান উপদেষ্টা (নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট) সময় বলতেন, তাহলে এর বাইরের সব রাজনৈতিক দল ও পক্ষ অসন্তুষ্ট হতো।

আজ বুধবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টা বৈঠক করে বিএনপির প্রতিনিধিদল। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য জমিরউদ্দীন সরকার, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও সালাহ উদ্দিন আহমদ।

বৈঠক শেষে মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, প্রধান উপদেষ্টা কোনো সুনির্দিষ্ট ডেডলাইন তাঁদের দেননি। তিনি ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচনের কথা বলেছেন। এতে তাঁরা একেবারেই সন্তুষ্ট নন। তাঁরা পরিষ্কার করে বলে দিয়েছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন না হলে দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাবে।

সামান্তা শারমিনের ফেসবুক পোস্ট

বিএনপির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের পর বিকেলে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে এই বৈঠক নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানান এনসিপি নেত্রী সামান্তা শারমিন। তিনি লেখেন, ‘আজ বিএনপি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করেছে। অন্তর্বর্তী সরকার বরাবরই বিএনপিকে অধিক গুরুত্ব দেয়। যদিও সেটা বৈষম্য, কিন্তু ভবিষ্যৎ রাজনীতির সুস্থ পরিবেশের জন্য আমরা সেটা নিয়ে আপত্তি করছি না। তবে একটি দলকে সন্তুষ্ট করার জন্য যদি প্রধান উপদেষ্টা (নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট) সময় বলতেন, তাহলে এর বাইরের সব রাজনৈতিক দল ও পক্ষ অসন্তুষ্ট হতো। বিশেষত তখন যখন জাতীয় ঐকমত্য কমিশন নিরলসভাবে কাজ করছে।’

জুলাই সনদের ভিত্তিতে নির্বাচনের সময় ঠিক হবে উল্লেখ করে সামান্তা শারমিন আরও লিখেছেন, তারপর অন্তর্বর্তী সরকারকে দিতে হবে নির্বাচনপ্রক্রিয়ার রোডম্যাপ (পথনকশা)। বাংলাদেশের জনগণ জানবে কোন কোন বিষয়ে সব পক্ষ একমত হচ্ছে। যদি কোনো রাজনৈতিক দল প্রয়োজনীয় সংস্কারে একমত না হয়, তার ভিত্তিতে তার জনসমর্থন (ভোট) কমবে। তবে একমত হওয়া সংস্কারের পর সবাই নির্বাচনে সোৎসাহে অংশ নেবে। বিশেষত কদিন আগে বলে ওঠা ‘এই সরকারের কোনো সংস্কার মানব না’ নেতাকে নিয়ে করা বৈঠকে এটুকু সাবধানতা দরকার বৈকি।

উল্লেখ্য, গত ১৬ মার্চ এক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছিলেন, ওদের (অন্তর্বর্তী সরকার) হাতের, ওদের কলমের কোনো সংস্কার তাঁরা সহজে মানবেন না। সংস্কার করলে, তাঁরা সংশোধন করবেন।